অপারেশন ওভারলর্ড
From Wikipedia, the free encyclopedia
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে মিত্রবাহিনী যে সামরিক অভিযানের মাধ্যমে পশ্চিম ইউরোপে নাৎসি জার্মানি নেতৃত্বাধীন অক্ষবাহিনীর বিরুদ্ধে আক্রমণের সূচনা করেছিল, অপারেশান ওভারলর্ড সেই অভিযানের সামরিক নাম। ১৯৪৪ সালের ৬ জুন ইংলিশ চ্যানেল সংলগ্ন ফ্রান্সের নরম্যান্ডি অবতরণের মাধ্যমে অপারেশান ওভারলর্ডের অধীনে মিত্রবাহিনীর ব্যাপক আক্রমণ শুরু হয়। প্রাথমিক ভাবে নরম্যান্ডিতে অবতরণের লক্ষ্যে ৬ জুন তারিখে মার্কিন, ব্রিটিশ ও কানাডীয় মোট ১৬০,০০০ সৈন্য ইংলিশ চ্যানেল অতিক্রম করে। পরবর্তীকালে আগস্ট মাস পর্যন্ত আরও তিরিশ লক্ষাধিক সৈন্য এই অভিযানে প্রেরণ করা হয়।
অপারেশান ওভারলর্ড | |||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|
মূল যুদ্ধ: দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ | |||||||
মিত্রবাহিনীর রসদবাহী পরিবহন হতে সৈন্যদের জন্য রসদ ও প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদির খালাস সম্পন্ন হচ্ছে। | |||||||
| |||||||
বিবাদমান পক্ষ | |||||||
পশ্চিমা মিত্রবাহিনী | নাৎসি জার্মানি | ||||||
সেনাধিপতি ও নেতৃত্ব প্রদানকারী | |||||||
ডোয়াইট আইজেনহাওয়ার (মিত্রবাহিনীর সর্বাধিনায়ক) আর্থার টেডার (সহ-সর্বাধিনায়ক) বার্নার্ড মন্টগোমরি (অধিনায়ক, স্থলবাহিনী) ট্রাফোর্ড লে-ম্যালরি (অধিনায়ক, বিমানবাহিনী) বারট্রাম রামসে (অধিনায়ক, নৌবাহিনী) |
গার্ড ভন রানস্টেড আরউইন রমেল | ||||||
শক্তি | |||||||
১,৪৫২,০০০ (২৫ জুলাই)[1] ২,০৫২,২৯৯ (২১ আগস্ট, শুধুমাত্র উত্তর ফ্রান্সে)[2] |
৩৮০,০০০ (২৩ জুলাই)[3]- ১,০০০,০০০+ (সমস্ত ফ্রান্স জুড়ে)[5] | ||||||
হতাহত ও ক্ষয়ক্ষতি | |||||||
২২৬,৩৮৬জন হতাহত[8] |
২০৯,৮৭৫[13] – ৪৫০,০০০জন হতাহত[14] | ||||||
ফ্রান্স: ১৯,৮৬০ বেসামরিক নিহত[16] |
নরম্যান্ডি সহ অন্যান্য উপকূলগুলো দখলের পর তিন সপ্তাহ যাবৎ শক্তি সঞ্চয়ের প্রক্রিয়া চলতে থাকে, যার পরে অপর একটি সামরিক অভিযান কোবরার অধীনে নরম্যান্ডি থেকে মিত্রবাহিনী ইউরোপের গভীরে আক্রমণ ছড়িয়ে দেয়ার কাজ শুরু করে। নরম্যান্ডিকে কেন্দ্র করে চলতে থাকা যুদ্ধের ব্যাপ্তি ছিল প্রায় দু’মাস যেখানে অন্যান্য মিত্র রাষ্ট্রসমূহ আকাশপথে ও নৌপথে যে যেভাবে পারে অবদান রাখছিল। অপারেশান ওভারলর্ডের ফলশ্রুতিতে ২৫ আগস্ট তারিখে প্যারিসকে নাৎসি জার্মানির দখলমুক্ত করা হয়।