আন্তর্জাতিক আইনের উৎস
From Wikipedia, the free encyclopedia
আন্তর্জাতিক আইনের উৎস আইন সৃষ্টির সাথে সম্পর্কিত। এ আইন একদিনে গড়ে উঠে নি। ধীরে ধীরে কতিপয় উৎসের ওপর ভিত্তি করে এটি গড়ে উঠেছে। বহু বছর ধরে বিচার-বিশ্লেষণ ও বিতর্কের পরে অনেক প্রভাবশালী রাষ্ট্রের সাধারণ সম্মতিক্রমে তা গড়ে উঠেছে এবং ধীরে ধীরে সুপ্রতিষ্ঠিত হয়েছে। অর্থাৎ আন্তর্জাতিক আইনের বিধান সৃষ্টি হচ্ছে এমন একটি প্রক্রিয়া যার ফলাফল হল আন্তর্জাতিক আইন।
আন্তর্জাতিক আইনের উৎসগুলোকে দুই ভাগে ভাগ করা যায়:
- আনুষ্ঠানিক উৎস;
- বস্তুগত উৎস।
একটি নির্দিষ্ট প্রক্রিয়া ও পদ্ধতিতে সার্বভৌম রাষ্ট্রের সাধারণ সম্মতি সৃষ্টি হয়। এ সাধারণ সম্মতি আন্তর্জাতিক আইনের মূল ভিত্তি। রাষ্ট্রসমূহের এ সাধারণ সম্মতি আন্তর্জাতিক আইনকে বৈধতা দান করে। সুতরাং আন্তর্জাতিক আইন পালনের মূলসূত্র হিসেবে সাধারণ সম্মতিকে ধরে নিয়ে "জনগণের ইচ্ছা" যা রাষ্ট্রসমূহের সমন্বিত ইচ্ছা দ্বরা প্রতিফলিত হচ্ছে, তাকে আন্তর্জাতিক আইনের আনুষ্ঠানিক উৎস বলা হয়।
আবার যেসব বিষয় বা বস্তু আন্তর্জাতিক আইনের উপস্থিতির সাক্ষ্য দেয় অর্থাৎ যে প্রকৃত উৎস থেকে আইন তার শক্তি আহরণ করে, তাকে বস্তুগত উৎস বলে। আন্তর্জাতিক চুক্তি, প্রথা, আন্তর্জাতিক আদালতের সিদ্ধান্ত বা জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের গৃহীত প্রস্তাবাবলী বস্তুগত উৎসের অন্তর্গত। আন্তর্জাতিক আইন মূলত প্রথাভিত্তিক আইনের একটি অন্যতম উৎস হিসেবে স্বীকৃত। প্রথাই আন্তর্জাতিক আইনের প্রাথমিক উৎস এবং অনেকাংশে প্রথাসমূহই ক্রমান্বয়ে চুক্তিতে রূপান্তরিত হয়েছে। সাম্প্রতিককালে আন্তর্জাতিক আইনের উৎস হিসেবে ন্যায়পরায়ণতাকে বিবেচনায় আনা হয়।