ইউটু
From Wikipedia, the free encyclopedia
ইউটু ডাবলিন, আয়ারল্যান্ডের একটি রক ব্যান্ড। ইউটুর সদস্যরা হলেন বোনো (ভোকালএবং গিটার্ দ্য এজ (গিটার, কি-বোর্ড এবং ভোকাল), এডাম ক্লেটন (বেজ গিটার) এবং ল্যারি মুলেন জুনিয়র (ড্রামস এবং পারকাশন)
ইউটু | |
---|---|
প্রাথমিক তথ্য | |
উদ্ভব | ডাবলিন, আয়ারল্যান্ড |
ধরন | রক, অল্টারনেটিভ রক, পাঙ্ক উত্তর |
কার্যকাল | ১৯৭৬–বর্তমান |
লেবেল | মার্কারি, ইন্টারস্কোপ, আইল্যান্ড |
সদস্য | বোনো দ্য এজ এডাম ক্লেটন ল্যারি মুলেন জুনিয়র |
ওয়েবসাইট | u2 |
ব্যান্ডটি ১৯৭৬ সালে মাউন্ট টেম্পল সেকন্ডারি স্কুলে গঠিত হয় এবং সদস্যেরা সবাই সে সময়ে ছিলেন নিতান্তই সঙ্গীতে আগ্রহী কয়েকজন কিশোর। চার বছরের মধ্যে তারা আইল্যান্ড রেকর্ডসের সাথে চুক্তিবদ্ধ হন এবং তাদের প্রথম অ্যালবাম বয় মুক্তি পায়। ১৯৮০র দশকের মাঝামাঝি সময়ের মধ্যেই তারা আন্তর্জাতিক পরিচিতি লাভ করেন। তবে তারা রেকর্ড বিক্রির চেয়ে লাইভ পার্ফর্মেন্সের কারণেই অধিকতর জনপ্রিয় ছিলেন। এ অবস্থার পরিবর্তন ঘটে ১৯৮৭ সালে, যখন তাদের অ্যালবাম দ্য জশুয়া ট্রি মুক্তি পায়[1], যা রোলিং স্টোন পত্রিকার মতানুযায়ী ব্যান্ডটিকে হিরো থেকে সুপারস্টারে পরিণত করে।[2]
তাদের ১৯৯১ সালের অ্যালবাম আখটুং বেইবি এবং পাশাপাশি জু টিভি ট্যুর ছিল ব্যান্ডটির জন্যে সঙ্গীত ও ভাবধারার পুনরাবিষ্কারের। ব্যান্ডিটির সদস্যদের নিজেদের অনুভূত হওয়া সাঙ্গীতিক নিশ্চলতা এবং ১৯৮০র শেষ দিকের বিরূপ সমালোচনার জবাব দিতে ইউটু তাদের সুর ও পরিবেশনায় ড্যান্স মিউজিক এবং অল্টারনেটিভ রক এর সন্নিবেশ ঘটায়, যার মাধ্যমে তারা তাদের পূর্ববর্তী শ্লেষ ও আত্মবিষাদপূর্ণ ভাবভঙ্গিমায় প্রভূত পরিবর্তন সাধন করেন। ১৯৯০ এর দশকে তাদের নিজেদের নিয়ে নানান পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলে। ২০০০ সালে থেকে ইউটু অনেকখানি প্রচলিত ধারার সঙ্গীতে মনোনিবেশ করে, যা তাদের পূর্বকার সাঙ্গীতিক অভিজ্ঞতার মিশেলে তৈরি।
ইউটু এখন পর্যন্ত ১২ টি স্টুডিও অ্যালবাম মুক্তি দিয়েছে এবং তারা জনপ্রিয় সঙ্গীতের ধারায় সর্বাধিক বিক্রিত এবং আলোচিত ব্যান্ডদের মধ্যে অন্যতম। তারা এ পর্যন্ত ২২ টি গ্রামি অ্যাওয়ার্ড জয় করেছে,[3] যা অন্য যেকোন ব্যান্ডের তুলনায় অধিক[4] এবং তাদের ১৫ কোটিরও অধিক রেকর্ড বিক্রিত হয়েছে। ২০০৫ সালে ব্যান্ডটি রক অ্যান্ড রোল হল অফ ফেমে স্থান করে নেয়। রোলিং স্টোন ম্যাগাজিন ইউটু কে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ ১০০ শিল্পীর তালিকায় ২২ নম্বরে স্থান দেয়।[5] তাদের ক্যারিয়ার জুড়ে বিভিন্ন সময়ে ইউটুর সদস্যরা ব্যান্ড ও ব্যক্তি পর্যায়ে বিভিন্ন মানবিক অধিকার ও মানবসেবামূলক কাজে অংশ নিয়েছেন, যার মধ্যে রয়েছে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল, ওয়ান/তথ্য কর্মসূচি, প্রোডাক্ট রেড এবং দ্য এজের মিউজিক রাইজিং কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছেন।