উত্তর-পূর্ব ভারত
উত্তর-পূর্ব ভারতীয় রাজ্যগুলোর সমষ্টি / From Wikipedia, the free encyclopedia
উত্তর-পূর্ব ভারত ভারতের এক ভৌগোলিক অঞ্চল ও প্রশাসনিক বিভাগ।[5] এটি অরুণাচল প্রদেশ, আসাম, ত্রিপুরা, নাগাল্যান্ড, মণিপুর, মিজোরাম, মেঘালয় ও সিকিম—এই আট রাজ্য নিয়ে গঠিত। এর মধ্যে প্রথম সাত রাজ্য "সপ্তভগিনী" এবং সিকিম "ভ্রাতারাজ্য" হিসাবে পরিচিত।[6]
উত্তর-পূর্ব ভারত | |
---|---|
ভারতের অঞ্চল | |
স্থানাঙ্ক: ২৬° উত্তর ৯১° পূর্ব / 26; 91 | |
দেশ | ভারত |
রাজ্য | |
বৃহত্তম শহর | গুয়াহাটি |
অন্যান্য উল্লেখযোগ্য শহর (২০১১)[1] | |
আয়তন | |
• মোট | ২,৬২,১৮৪ বর্গকিমি (১,০১,২৩০ বর্গমাইল) |
জনসংখ্যা (২০১১) | |
• মোট | ৪,৫৭,৭২,১৮৮ |
• আনুমানিক (২০২২)[2] | ৫,১৬,৭০,০০০ |
• জনঘনত্ব | ১৭০/বর্গকিমি (৪৫০/বর্গমাইল) |
বিশেষণ | উত্তর-পূর্ব ভারতীয় |
সময় অঞ্চল | ভারতীয় প্রমাণ সময় (ইউটিসি+৫:৩০) |
তফসিলি ভাষা |
ভারতের উত্তর-পূর্ব অঞ্চল ও অন্যান্য প্রতিবেশী দেশের মধ্যে ৫,১৮২ কিমি (৩,২২০ মাইল) দীর্ঘ আন্তর্জাতিক সীমান্ত রয়েছে এবং এটি তার মোট ভৌগোলিক সীমান্তের প্রায় ৯৯%। উত্তরে চীনের সাথে ১,৩৯৫ কিমি (৮৬৭ মাইল) দীর্ঘ, পূর্বদিকে মিয়ানমারের সাথে ১,৬৪০ কিমি (১,০২০ মাইল) দীর্ঘ, দক্ষিণপশ্চিমে বাংলাদেশের সাথে ১,৫৯৬ কিমি (৯৯২ মাইল) দীর্ঘ, পশ্চিমে নেপালের সাথে ৯৭ কিমি (৬০ মাইল) দীর্ঘ এবং উত্তরপশ্চিমে ভুটানের সাথে ৪৫৫ কিমি (২৮৩ মাইল) দীর্ঘ সীমান্ত রয়েছে।[7] অঞ্চলটির আয়তন ২,৬২,১৮৪ বর্গকিলোমিটার (১,০১,২৩০ বর্গমাইল), যা ভারতের মোট আয়তনের প্রায় ৮%। সংকীর্ণ শিলিগুড়ি করিডোর উত্তর-পূর্ব অঞ্চলকে ভারতের বাকি অংশের সাথে যুক্ত করে।
উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলো উত্তর-পূর্ব পরিষদের (এনইসি) সদস্য।[6] ১৯৭১ সালে উত্তর-পূর্বের রাজ্যের উন্নয়নের জন্য এই পরিষদ গড়ে তোলা হয়েছিল। ২০০২ সালে সিকিম উত্তর-পূর্ব পরিষদের অষ্টম সদস্য রাজ্যে পরিণত হয়েছিল।[8][9] ভারতের "লুক ইস্ট" সংযোগ প্রকল্প উত্তর-পূর্ব অঞ্চলকে পূর্ব এশিয়া ও আসিয়ানের সাথে সংযুক্ত করে। আসামের গুয়াহাটি শহর[10] ও পশ্চিমবঙ্গের শিলিগুড়ি শহর[11] উভয় "উত্তর-পূর্ব ভারতের প্রবেশদ্বার" নামে পরিচিত এবং গুয়াহাটি উত্তর-পূর্ব অঞ্চলের বৃহত্তম শহর।