শীর্ষ প্রশ্ন
সময়রেখা
চ্যাট
প্রসঙ্গ
কুতুব মিনার
ভারতের দিল্লিতে অবস্থিত একটি মিনার উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
Remove ads
কুতুব মিনার (হিন্দি: क़ुतुब मीनार, উর্দু: قطب منار, ক্বতুব মীনার্ বা ক়ুতুব্ মীনার্) ভারতের নতুন দিল্লিতে অবস্থিত একটি স্তম্ভ বা মিনার, যা বিশ্বের সর্বোচ্চ ইটনির্মিত মিনার।[১] দিল্লী সালতানাতের প্রথম শাসক কুতুবুদ্দিন আইবেকের আদেশে ১১৯৩ খ্রিস্টাব্দে কুতুব মিনারের নির্মাণকাজ শুরু হয় তবে ১৩৮৬ খ্রিস্টাব্দে মিনারের উপরের তলাগুলোর কাজ সম্পূর্ণ করেন ফিরোজ শাহ তুঘলক। কুতুব মিনার ইন্দো-ইসলামি স্থাপত্যের এক গুরুত্বপূর্ণ এবং অন্যতম প্রাচীন নিদর্শন।

এর আশেপাশে আরও বেশ কিছু প্রাচীন এবং মধ্যযুগীয় স্থাপনা ও ধ্বংসাবশেষ রয়েছে, যা একত্রে কুতুব মিনার চত্বর হিসেবে পরিচিত।[২] এই চত্বরটি ইউনেস্কো কর্তৃক বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান হিসেবে তালিকাবদ্ধ হয়েছে এবং এটি দিল্লির অন্যতম জনপ্রিয় পর্যটনকেন্দ্র। এটি ২০০৬ সালে সর্বোচ্চ পরিদর্শিত সৌধ, পর্যটকের সংখ্যা ছিল ৩৮.৯৫ লাখ যা তাজমহলের চেয়েও বেশি, যেখানে তাজমহলের পর্যটন সংখ্যা ছিল ২৫.৪ লাখ।[৩] প্রখ্যাত সুফি কুতুবউদ্দিন বখতিয়ার কাকীর নামানুসারে এর নামকরণ করা হয়।[৪]
Remove ads
ইতিহাস
সারাংশ
প্রসঙ্গ
ঘুরিদের অবদান
কুতুব মিনার নির্মাণের পরিকল্পনা ও অর্থায়ন করা হয়েছিল ঘুরিদের দ্বারা, যারা ভারতে চলে আসেন এবং তাদের সাথে ইসলাম ধর্মের অনুসারী ছিলেন। ঘুরিদের , ঐতিহাসিকভাবে শানসাবানী নামে পরিচিত, ছিল তাজিক বংশোদ্ভূত একটি গোষ্ঠী যা বর্তমান পশ্চিম আফগানিস্তানের পাহাড়ী অঞ্চল ঘোর প্রদেশ থেকে আগত। একাদশ শতাব্দীর শেষ থেকে দ্বাদশ শতাব্দীর প্রথম দিকে, এই যাযাবর গোষ্ঠীর বিভিন্ন সম্প্রদায় একত্রিত হয়, যারা যাযাবর সংস্কৃতি হারিয়ে ফেলে। এ সময় তারা ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে।
পরবতীতে, তারা আধুনিক ভারতে বিস্তৃত হয় এবং দ্রুত দেশের একটি উল্লেখযোগ্য অংশের নিয়ন্ত্রণ নেয়। ঘুরীরা ১১৭৫-৭৬ সালে পশ্চিম পাঞ্জাবের মুলতান ও উচ,বাহাওয়ালপুর , ১১৭৭ সালে পেশোয়ারের আশেপাশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল এবং ১১৮৫-৮৬ সালে সিন্ধু অঞ্চলকে যুক্ত করে। ১১৯৩ সালে, কুতুবুদ্দিন আইবেক দিল্লী জয় করেন এবং প্রদেশে একটি ঘূরিদ গভর্নরশিপ প্রয়োগ করেন। ১১৯৩ সালে কুতুব মিনার কমপ্লেক্সে জামাতের মসজিদ প্রতিষ্ঠিত হয়। অতীতে, পণ্ডিতরা বিশ্বাস করতেন যে কমপ্লেক্সটি ঘূরিদের নতুন বিষয়গুলির মধ্যে ইসলামে ধর্মান্তরিত করার পাশাপাশি একটি সামাজিক-ধর্মীয় ব্যবস্থার প্রতি ঘূরিদের আনুগত্যের প্রতীক হিসাবে তৈরি করা হয়েছিল। এখন নতুন তথ্য এসেছে যে ইসলামে ধর্মান্তরিতকরণ নতুন সংযোজনের শীর্ষ অগ্রাধিকার ছিল না এবং এর পরিবর্তে ঘুরিদ গভর্নররা আলোচনার মাধ্যমে স্থানীয় সংস্কৃতি এবং ইসলামের সংশ্লেষণ করতে চেয়েছিলেন।
কুতুব মিনারটি ধিল্লিকার দূর্গের কিলা রাই পিথোরার ধ্বংসাবশেষের উপর নির্মিত হয়েছিল। কুতুব মিনার শুরু হয়েছিল কুওয়াত-উল-ইসলাম মসজিদের পরে, যেটি ১১৯২ সালের দিকে দিল্লী সালতানাত-এর প্রথম সালতানাত মামলুক সালতানাত-এর প্রথম শাসক কুতুবুদ্দিন আইবেক দ্বারা নির্মাণকার্য শুরু হয়।
সাধারণত মনে করা হয় যে টাওয়ারটির নামকরণ করা হয়েছে কুতুবুদ্দিন আইবকের নামে , যিনি এটি শুরু করেছিলেন। এটাও সম্ভব যে এটি কুতুবউদ্দিন বখতিয়ার কাকীর নামে নামকরণ করা হয়েছে, যিনি ১৩ শতকের একজন সুফি সাধক, কারণ শামসুদ্দিন ইলতুৎমিশ তাঁর ভক্ত ছিলেন।
এটি ক্লোস্টার দ্বারা ঘেরা একটি আয়তক্ষেত্রাকার প্রাঙ্গণ নিয়ে গঠিত, ২৭টি জৈন ও হিন্দু মন্দিরের খোদাই করা স্তম্ভ এবং স্থাপত্যে নির্মিত, যা কুতুব-উদ-দিন আইবক প্রধান পূর্ব প্রবেশদ্বারের শিলালিপিতে লিপিবদ্ধ করেছিলেন। পরবর্তীতে, একটি উঁচু খিলানযুক্ত পর্দা তৈরি করা হয় এবং তৃতীয় মামুলুক সুলতান শামসুদ্দিন ইলতুতমিশ (খ্রিস্টাব্দ ১২১০-৩৫) এবং দ্বিতীয় খিলজি সুলতান আলাউদ্দিন খিলজি দ্বারা মসজিদটি বড় করা হয়। প্রাঙ্গণের লোহার স্তম্ভটিতে খ্রিস্টীয় চতুর্থ শতাব্দীর ব্রাহ্মী লিপিতে সংস্কৃতে একটি শিলালিপি রয়েছে, যে অনুসারে স্তম্ভটি চন্দ্র নামক এক পরাক্রমশালী রাজার স্মরণে বিষ্ণুপদ নামে পরিচিত পাহাড়ে বিষ্ণুধ্বজ (দেবতা বিষ্ণুর মান) হিসাবে স্থাপন করা হয়েছিল।
মসজিদ কমপ্লেক্সটি ভারতীয় উপমহাদেশে টিকে থাকা প্রাচীনতমগুলির মধ্যে একটি।
১৫০৫ সালে, একটি ভূমিকম্প দ্বারা কুতুব মিনার ক্ষতিগ্রস্ত হয়; এটি মেরামত করেছিলেন দ্বিতীয় লোদি সুলতান সিকান্দার লোদি ।
পরবর্তীতে, ১৮০৩ সালের ১ সেপ্টেম্বর একটি বড় ভূমিকম্পে পুনরায় মারাত্মক ক্ষতি হয়। ব্রিটিশ ভারতীয় সেনাবাহিনীর মেজর রবার্ট স্মিথ ১৮২৮ সালে টাওয়ারটি সংস্কার করেন এবং পঞ্চম তলায় একটি স্তম্ভযুক্ত কুপোলা স্থাপন করেন। ১৮৪৮ সালে ভারতের গভর্নর জেনারেল দ্য ভিসকাউন্ট হার্ডিঞ্জের নির্দেশে কুপোলাটি নামানো হয়। পরবর্তী সময়ে এটি কুতুব মিনারের পূর্বে স্থল স্তরে পুনঃস্থাপন করা হয়েছিল, যেখানে এটি অবশিষ্ট রয়েছে।
এটি ১৯৯৩ সালে ইউনেস্কো কর্তৃক বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থানের তালিকায় যুক্ত হয়।
Remove ads
পূর্বনির্মিত কিছু এজাতীয় মিনার ও কুতুব মিনারে তার প্রভাব
সারাংশ
প্রসঙ্গ
আফগানিস্থানে সম্প্রতি মেন্রোজ প্রদেশের ‘শাহ্ পোশ্’-এ খননকালে একটি মিনারের ধ্বংসাবশেষ আবিষ্কৃত হয়েছে।[৫] নবম অথবা দশম-শতাব্দীর প্রথম দিক একটি মসজিদের অনতিদূরে সেই মিনারটি নির্মিত হয়েছিল।[৫] সামানিদ্-ইটের তৈরি এই মিনারের শুধু পাদদেশটুকুই আবিষ্কৃত হয়েছে—কিন্তু তার প্ল্যান কুতুব মিনারের ছন্দে গড়া। একটি করে কোণ এবং একটি করে গোলাকৃতি (বাঁশী) পর-পর সাজানো, ঠিক যেমনটি দেখা যায় কুতুব মিনারে।[৫] বিশেষজ্ঞ শ্রী আর. সেনগুপ্তের মতে এই মিনারটি[৬] প্ল্যানিং-এ পূর্বযুগে নির্মিত সামানিদ্-বংশের বুখারার শাসক ইস্মাইল (৮৯২–৯০৭) নির্মিত একটি মিনারের ছাপ পড়েছে। সেটিও প্রথম নয়—তারও পূর্বে নির্মিত হয়েছিল আফগানিস্থানের প্রাচীনতম মস্জিদ একটি মিনার—স্থানীয় লোকেরা যার পরিচয় দিতে বলে বল্ক্-এর ‘নাও গাম্বাদ’ (Naw Gumbad—‘নয়া গম্বুজ’)।
কুতুব মিনারের সঙ্গে শাহ্-পোশ্ মিনারের কিছুটা সাদৃশ্য থাকলেও তার পরিকল্পনা যেন বেশি করে ছাপ ফেলেছে ‘জাম’-এ নির্মিত গিয়াসউদ্দিন ঘুরীর (১১৫৭–১২০২) অপর একটি মিনার।[৫] বাস্তবিকপক্ষে, ঘুরীরা অনেকগুলি বিজয় মিনার নির্মাণ করেছিলেন, আফগানিস্তানের বিভিন্ন অঞ্চলে। ঘোরী-বংশের অন্যতম নিয়ামক আলাউদ্দীন (১১৫১–১১৫৭) প্রসঙ্গে ঐতিহাসিক জুজ্জানী (Juzjani) লিখেছেন, পরাজিত গজনীর শাহ্-এর হাত থেকে শাসন-ক্ষমতা গ্রহণ করে নিষ্ঠুর আলাউদ্দীন রাজধানীকে ভস্মীভূত করে, এবং ‘জাহান-সুজ’ (জাহান: পৃথিবী; সুজ: দগ্ধকারী) খেতাব গ্রহণ করে একটি নতুন রাজধানীর করে—‘ফিরোজ কোহ’। সেখানে সে একাধিক মস্জিদ এবং মিনার বানায়। সবচেয়ে নৃশংস ও ন্যাক্কারজনক সংবাদ হল—ঐতিহাসিক জুজ্জানী বলেছেন—সম্রাটের অভিলাষ অনুসারে ঐ মস্জিদ ও মিনার গেঁথে তোলার সময় জল ব্যবহার করা হয়নি—মশল্লা প্রস্তুত করতে জলের পরিবর্তে ব্যবহার করা হয়েছিল পরাজিত বিধর্মী বন্দীদলের রক্ত!![৭]
এখানেই ধারাবাহিকতায় ছেদ টানা যাচ্ছে না। ফার্গুসন-সাহেব [৮] বলেছেন, কুতুব মিনারের পূর্বযুগে গজনীতে দুটি মিনার গেঁথে তোলা হয়েছিল, যা ভারতে প্রবেশের পূর্বে কুতুবউদ্দিন আইবক নিঃসন্দেহে দেখেছেন। প্রথমটির নির্মাতা গজনীর মাহ্মুদ (৯৯৭ খ্রীষ্টাব্দ); অপরটি তাঁর পুত্র মাসুদ। মরুপ্রান্তরের মাঝখানে দণ্ডায়মান এ-দুটি নিঃসঙ্গ মিনারও কোনো মসজিদ বা ইমারতের অঙ্গ নয়;— যা মূলত স্বয়ংসম্পূর্ণ মিনার। প্রথমোক্ত মিনারটি ৪২.৭ মিটার (১৪০ ফুট) উঁচু। মিনারটি নীচের দিকে অষ্টভুজ—দুটি বর্গক্ষেত্র একে অপরের কর্ণের সমান্তরালে বসিয়ে বানানো এবং ঊর্ধ্বাংশ বৃত্তাকার।
কুতুব মিনারের সঙ্গে এই গজনী-মিনারের তুলনামূলক বিচার করলে দেখা যাবে উচ্চতা বৃদ্ধি পেয়েছে ১৪০ ফুট থেকে ২৪২ ফুট।[৫] দ্বিতল-পরিকল্পনা বর্ধিত হয়েছে চারতলার বিস্তারে।[৫] নিচের দুটি বর্গক্ষেত্রের ‘৪×২’ কোণার পরিকল্পনা সম্প্রসারিত হয়েছে তিনটি বর্গক্ষেত্রের ‘৩×৪’ বারো কোণায়, এবং ঐ বারোটি কোণার মাঝে মাঝে ‘বাঁশী’ সংযোজিত করে।[৫]
Remove ads
গঠন
সারাংশ
প্রসঙ্গ
অনুমান করা হয় প্রথম তল পর্যন্ত (২৭.৫ মি:) পৌঁছবার অনেক আগেই কুতুবউদ্দিন আইবকের মৃত্যুবরণ হয়;[৫] বাকি তিনটি তলা গেঁথে তোলেন তার দামাদ ইল্তুৎমিস্।[৫] কুতুব মিনারের উচ্চতা ৭১.২৪ মিটার বা ২৩৪ ফুট। ভূমি-অংশে বৃত্তের ব্যাস ১৪.৩২ মিটার, এবং উপরের অংশে ২.৭৫ মিটার।[৫] সর্বসমেত সোপান সংখ্যা ৩৭৯;[৫] মিনারটি যথাক্রমে ১৩২৬ এবং ১৩৬৮ খ্রীষ্টাব্দে দুবার বজ্রপাতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়; প্রথমবার মুহম্মদ তুগলুক এবং দ্বিতীয়বার ফিরোজশাহ্ তুগলুক সেই ক্ষতিগ্রস্ত মিনারের সংস্কার করান। আরও পরে ১৫০৩ খ্রীষ্টাব্দে সিকান্দার লোদী মিনারের সর্বোচ্চ তলটি পুনরায় সংস্কার করান।[৫] প্রাথমিক অবস্থায় এটি চারতলা মিনার ছিল; ফিরোজশাহ্ সংস্কারের সময় সর্বোচ্চ তলটি দু’ভাগে বিভক্ত করেন—ফলে বর্তমানে ওটা পাঁচতলা।[৫] প্রাথমিক অবস্থায় সবটাই ছিল লাল-পাথরের গাঁথনি; ফিরোজশাহ্ মেরামতির সময় উপরের দুটি তলা সাদা মার্বেল দিয়ে তৈরী করান।[৫]
মিনারের নীচের তলায় ছাব্বিশটি পল-তোলা। পর্যায়ক্রমে একটি গোলাকৃতি একটি কোণ-বিশিষ্ট।[৫] সৈয়দ মুজতবা আলীর ভাষায়—“একটা বাঁশি, একটা কোনা পর পর সাজানো।” তার মানে পর-পর দুটি বাঁশি কেন্দ্রবিন্দুতে ৩০ ডিগ্রি কোণ রচনা করছে। আর তাকেই দু-আধখানা করে কোণগুলি সাজানো। দ্বিতলেও ছাব্বিশটি খাঁজ, প্রতিটি খাঁজ কেন্দ্রে ১৫ ডিগ্রি কোণ রচনা করছে। এবং তারা গোলাকৃতি বা ‘বাঁশি’।[৫] তিনতলাতেও সেই ছাব্বিশ ভাগের ছন্দ, অর্থাৎ ১৫ ডিগ্রির ব্যবস্থাটা পাকা আছে, যদিও এবার বাঁশি খোয়া গেছে, সবই কোণাকৃতি।[৫] এর উপরে তূরীয় অবস্থা—না বাঁশির তান, না কৌণিক অন্তরায়; স্রেফ গোলাকার।[৫] লক্ষ্য করলে দেখা যাবে এই ছন্দ বদলাবার অনুপ্রেরণাটাও এসেছে গজনীর মাহ্মুদী মিনার থেকে, যদিও ব্যাপকতায়, বিন্যাসে, এবং জ্যামিতিক তুলনামূলকভাবে তার পূর্বসূরীকে অনেক পিছনে ফেলে গেছে।[৫]
মিনার যে ক্রমশঃ মোটা-থেকে-সরু হয়ে উঠেছে তার মৌল হেতু নিঃসন্দেহে দৃঢ়তা বা ভারসাম্যের প্রয়োজনে। যে ইমারত তলায় চওড়া, উপরে সরু তা দীর্ঘস্থায়ী; যেমন মিশরের পিরামিড—ঝড়ে উল্টে পড়ার সম্ভাবনা সেখানে আদৌ নেই। এখানে কিন্তু স্থপতি ভারসাম্যের প্রয়োজনের চেয়েও এই সরু-মোটার ছন্দটা বেশি প্রকট করেছেন। উদ্দেশ্য: দর্শককে বিভ্রান্ত করা! অর্থাৎ মিনার বাস্তবে যত উঁচু, এজন্য তার চেয়েও সেটা বেশি মনে হয়।[৫] যে ছন্দে দিল্লীর জামে মসজিদ বা তাজের মিনারিকা মোটা-থেকে-সরু হয়েছে এখানে সেই ছন্দটা আরও প্রকট।[৫]
কুতুব মিনার বিভিন্ন নলাকার শ্যাফট দিয়ে গঠিত যা বারান্দা দ্বারা পৃথকীকৃত। মিনার লাল বেলেপাথর দিয়ে তৈরি যার গাত্রে পবিত্র কোরআনের আয়াত খোদাই করা রয়েছে। ভূমিকম্প এবং বজ্রপাতের দরুন মিনারটি একাধিকবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়, কিন্তু সেটি পরবর্তী শাসকগণ সংস্কার করেন। ফিরোজ শাহ-এর শাসনকালে মিনারের দুই শীর্ষ তলা বজ্রপাতে ক্ষতিগ্রস্ত হলে তিনি তা সংস্কার করেন। ১৫০৫ সালে একটি ভূমিকম্পের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত সিকান্দার লোদী তা সংস্কার করেন। কুতুব মিনারের দক্ষিণ-পশ্চিম থেকে ২৫ ইঞ্চি একটি ঢাল আছে যা “নিরাপদ সীমা” হিসেবে বিবেচিত হয়।
Remove ads
স্থাপত্য
গ্যালারি
- Decorative motifs on upper levels
- Inscription panels of Kufic calligraphy running around the ornate balcony
- কাছ থেকে তোলা বেলকনির দৃশ্য
- কাছ থেকে তোলা ক্যালিগ্রাফির দৃশ্য
- বাগানে থাকা লন্ঠন যা পূর্বে মিনারচূড়ায় ব্যবহৃত হতো
- মিনারের পুরো দৃশ্য
- ইলতুতমিশের সমাধির ভিতর দিক
- দূর থেকে দেখা মিনার
- কুতুব মিনারে থাকা "কুতুব মিনার" লেখা ফলক
- সূর্যাস্তের সময় কুতুব মিনার
- সন্ধ্যায় গাছের আড়ালে কুতুব মিনার
- কুতুব মিনার ও মেহরৌলি স্তম্ভ একসাথে
Remove ads
তথ্যসূত্র
বহিঃসংযোগ
Wikiwand - on
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Remove ads