গৌতম বুদ্ধ
ভারতীয় দার্শনিক, সংস্কারক ও বৌদ্ধ ধর্মের প্রতিষ্ঠাতা / From Wikipedia, the free encyclopedia
গৌতম বুদ্ধ হলেন বৌদ্ধধর্মের ২৮তম বুদ্ধ ও একজন সম্যাক সম্বুুদ্ধ (তপস্বী) ও জ্ঞানী, [5] যাঁর তত্ত্ব অনুসারে বৌদ্ধধর্ম প্রবর্তিত হয়।[পাদটীকা 4] তিনি সিদ্ধার্থ গৌতম, শাক্যমুনি বুদ্ধ [পাদটীকা 5] অথবা ‘বুদ্ধ’ উপাধি অনুযায়ী শুধুমাত্র বুদ্ধ নামেও পরিচিত। অনুমান করা হয়, তিনি খ্রিস্টপূর্ব ৬২৫ অব্দে একদা প্রাচীন ভারতের পূর্বাঞ্চলে জীবিত ছিলেন এবং শিক্ষাদান করেছিলেন। [6][7][8] [পাদটীকা 6] গৌতম বুদ্ধ ভোগবাসনা চরিতার্থ-করণ এবং তার অঞ্চল জুড়ে প্রচলিত শ্রমণ আন্দোলনের আদর্শ অনুসারে অনুসারীদের কঠোর তপস্যার মধ্যে মধ্যপন্থা শিক্ষা দিয়েছিলেন। [9] পরবর্তীকালে তিনি মগধ এবং কোশলসহ পূর্ব ভারতের অন্যান্য অঞ্চলেও শিক্ষাদান করেছিলেন। [8][10] তিনি মিথ্যাদৃষ্টি, অজ্ঞানতা, তৃষ্ণা, পুনর্জন্ম এবং কষ্ট থেকে মুক্ত হয়ে পরম সুখ নির্বাণের পথ শিখিয়েছিলেন।[7][8][পাদটীকা 6]
গৌতম বুদ্ধ | |
---|---|
অন্য নাম | সিদ্ধার্থ গৌতম, সিদ্ধাত্থ গোতম, শাক্যমুণি বুদ্ধ,শাক্যসিংহ |
ব্যক্তিগত তথ্য | |
জন্ম | সিদ্ধার্থ গৌতম আনুমানিক খ্রিস্টপূর্ব ৫৬৬ অথবা ৪৮৬অব্দ[1][2][পাদটীকা 1] |
মৃত্যু | মহাপরিনির্বাণ লাভ আনুমানিক খ্রিস্টপূর্ব ৪৮৩ অথবা ৪০০ অব্দে (৮০ বছর) [পাদটীকা 1] |
দাম্পত্য সঙ্গী | যশোধরা |
সন্তান | |
পিতামাতা | |
যে জন্য পরিচিত | বৌদ্ধধর্মের প্রতিষ্ঠাতা |
অন্য নাম | সিদ্ধার্থ গৌতম, সিদ্ধাত্থ গোতম, শাক্যমুণি বুদ্ধ,শাক্যসিংহ |
ঊর্ধ্বতন পদ | |
পূর্বসূরী | কস্সপ বুদ্ধ [4] |
উত্তরসূরী | মৈত্রেয় বুদ্ধ [4] |
গৌতম বুদ্ধ | |||||||||||||||||||||||
চীনা নাম | |||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
চীনা | 佛陀 | ||||||||||||||||||||||
| |||||||||||||||||||||||
বর্মী নাম | |||||||||||||||||||||||
বর্মী ভাষা | ဂေါတမ ဗုဒ္ဓ | ||||||||||||||||||||||
ভিয়েতনামীয় নাম | |||||||||||||||||||||||
ভিয়েতনামী বর্ণমালা | Tất-đạt-đa Cồ-đàm | ||||||||||||||||||||||
থাই নাম | |||||||||||||||||||||||
থাই | พระพุทธเจ้า | ||||||||||||||||||||||
কোরীয় নাম | |||||||||||||||||||||||
হাঙ্গুল | 부처 | ||||||||||||||||||||||
| |||||||||||||||||||||||
জাপানি নাম | |||||||||||||||||||||||
কাঞ্জি | 釈迦 | ||||||||||||||||||||||
হিরাগানা | しゃか | ||||||||||||||||||||||
| |||||||||||||||||||||||
বাংলা নাম | |||||||||||||||||||||||
বাংলা | গৌতম বুদ্ধ | ||||||||||||||||||||||
নেপালি নাম | |||||||||||||||||||||||
নেপালি | गौतम बुद्ध | ||||||||||||||||||||||
san নাম | |||||||||||||||||||||||
san | गौतम बुद्ध |
বৌদ্ধরা তাকে সেই বোধিপ্রাপ্ত বা দিব্য [11] শিক্ষক মনে করে, যিনি সম্পূর্ণ বুদ্ধত্ব অর্জন করেছেন এবং নিজের অন্তর্দৃষ্টির কথা সবাইকে জানিয়ে দিয়ে চেতন সত্ত্বাদের পুনর্জন্ম এবং দুঃখের সমাপ্তি ঘটাতে সাহায্য করেছেন। বৌদ্ধরা বিশ্বাস করেন যে গৌতম বুদ্ধের জীবনকাহিনী, কথোপকথনের বিবরণ, সন্ন্যাস নিয়মাবলী তার মৃত্যুর পর হতে সঙ্গায়নের মাধ্যমে বুদ্ধের বাণী সংরক্ষণ করে রাখতেন। ইতিহাসে এ রকম এই পর্যন্ত ছয়টি সঙ্গায়ন হয়েছে। প্রথম সঙ্গায়ন হয় বুদ্ধের মহাপরিনির্বাণের পর রাজা অজাতশত্রুর পৃষ্ঠপোষকতায় ভারতের সপ্তপর্ণী গুহায় এবং এর দ্বিতীয়টি হয় বৈশালীতে কালাশোকের পৃষ্ঠপোষকতায় । তৃতীয়টি হয় সম্রাট অশোক মৌর্যের পৃষ্ঠপোষকতায়। এভাবে বড় বড় রাজা ও শাসকদের পৃষ্ঠপোষকতায় ত্রিপিটক বুদ্ধবচন সংরক্ষিত হয়ে আসছে। [12]