জনকল্যাণ অর্থনীতি
From Wikipedia, the free encyclopedia
জনকল্যাণ অর্থনীতি হল অর্থনীতির এমন একটি শাখা যা ব্যষ্টিক অর্থনীতির পদ্ধতিসমূহ ব্যবহার করে একটি অর্থনীতির উৎপাদনের ফ্যাক্টরগুলো সঠিকভাবে সমাজের মানুষের উন্নয়নে ব্যয় হচ্ছে কি না তা নিরূপণ করে। এটি সাধারণ সামাজিক ও অর্থনৈতিক সাম্যাবস্থা বোঝাতেও ব্যবহৃত হয়।[1] জনকল্যাণ অর্থনীতিতে একটি সমাজের কতটুকু উন্নয়ন হল তা মাপতে ব্যক্তি এবং প্রতিষ্ঠানের অর্থনৈতিক কার্যকলাপগুলো আর্থিক এককে পরিমাপ করা হয় কারণ ব্যক্তি এবং প্রতিষ্ঠান হল সমাজেরই একটি অংশ এবং তাদের সমস্টিক অর্থনৈতিক কার্যকলাপ পুরো সমাজের কার্যকলাপকেই প্রতিফলিত করে। তাই সামাজিক উন্নয়ন বলতে সমাজের সকল ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকেই গণ্য করা হয় অপদিকে যদি শুধুমাত্র একটি ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের অর্থনৈতিক কার্যকলাপ বিবেচনায় আনা হয় তবে তাকে সামাজিক উন্নয়ন না বলে ব্যক্তিকেন্দ্রিক উন্নয়ন হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
এক দৃষ্টিকোণ থেকে দেখা হলে প্রত্যেকটি মানুষই সমাজের অংশ তাই যদি প্রত্যেক মানুষের অর্থনৈতিক দক্ষতা সমস্টিকভাবে নিরূপণ করা হয় তবে তা সমাজেরই উন্নয়নকে প্রতিফলিত করবে। তবে এর কিছু ভিত্তিগত সমস্যা রয়েছে। কিছু কিছু অর্থনৈতিক অবস্থা আছে যেখানে কোন ব্যক্তি নিজের উন্নয়ন করলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে অপর কোন ব্যক্তি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সেখানে ব্যক্তিকেন্দ্রিক উন্নয়ন দিয়ে সামাজিক উন্নয়ন পরিমাপ করা সম্ভব নয়। আরেকটি দৃষ্টিকোণ থেকে দেখলে একটি সমাজের সম্পদের বণ্টন, অর্থনৈতিক সমতা ও অন্যান্য বিষয় পরিমাপ করা হলে তা প্রকৃতপক্ষে সমাজের উন্নয়নকেই প্রতিফলিত করে।[2]
কোন সমাজের উন্নয়ন পরিমাপ করতে হলে ঐ অর্থনীতির দক্ষতা, আয় বৈষম্য, সম্পদের সমতা, লিঙ্গ বৈষম্য, সরকারী নীতি এবং জনগণের অর্থনৈতিক স্বাধীনতার কথা গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করা হয়। এছাড়া একটি সমাজের মানব উন্নয়ন সূচক যত বেশি হয় সামাজিক উন্নয়ন তত বেশি ত্বরান্বিত হয় বলে ধরে নেওয়া হয়।