জাইশ আল-জিহাদ আল-মুকাদ্দাস
From Wikipedia, the free encyclopedia
জাইশ আল-জিহাদ আল-মুকাদ্দাস (Arabic: جيش الجهاد المقدس; Jaysh al-Jihad al-Muqaddas) (আর্মি অব দ্য হলি ওয়ার নামেও পরিচিত) ছিল ফিলিস্তিনি আরবদের নিয়ে গঠিত একটি অনিয়মিত যোদ্ধা দল। ১৯৪৭-৪৮ সালে এই বাহিনী ফিলিস্তিন গৃহযুদ্ধে নেতৃত্ব দেয়। আবদুল কাদির আল-হুসাইনি ও হাসান সালামা এর নেতৃত্ব দেন।[1] একে হুসাইনির ব্যক্তিগত বাহিনী বলা হয়।[2] আরব লীগ এদের পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে জাইশ আল-ইনকাজ আল-আরাবি গঠন করে যাতে তাদের প্রতিরোধ করা যায় এবং ফিলিস্তিনি আরব নেতৃত্ব বহাল থাকার তার নিজস্ব পরিকল্পনা বহাল থাকে। সেসাথে স্বাধীন রাজনৈতিক ও সামরিক ক্ষমতার ব্যবহার প্রতিরোধও এর উদ্দেশ্য ছিল। তবে আরব সরকারগুলো কয়েক হাজার স্বেচ্ছাসেবককে উভয় বাহিনীতে যোগ দানে বিরত রাখে।[3]
জাইশ আল-জিহাদ আল-মুকাদ্দাস আর্মি অব দ্য হলি ওয়ার جيش الجهاد المقدس | |
---|---|
নেতা | আবদুল কাদির আল-হুসাইনি, হাসান সালামা |
অপারেশনের তারিখ | ১৯৪৭-১৯৪৯ |
সদরদপ্তর | বির জাইত |
সক্রিয়তার অঞ্চল | ফিলিস্তিন |
মতাদর্শ | জায়নবাদ বিরোধী |
মিত্র | মিশর ইঙ্গ-মিশরীয় সুদান সিরিয়া জর্ডান লেবানন ইরাক সৌদি আরব ইয়েমেন Arab Liberation Army মুসলিম ব্রাদারহুড |
বিপক্ষ | ইসরায়েল |
খণ্ডযুদ্ধ ও যুদ্ধ | ১৯৪৭-৪৮ ফিলিস্তিন গৃহযুদ্ধ
|
১৯৪৭ সালের ডিসেম্বর আবদুল কাদির আল-হুসাইনি জেরুজালেম সেক্টরে আসেন এবং ১৯৪৮ সালের মার্চ নাগাদ ১২৮ জন লোক তার কাছে ছিল। তিনি বির জাইত নামক স্থানে তার সদরদপ্তর স্থাপন করেন এবং জেরুজালেমের দিকে ইহুদি যানবাহনের উপর আক্রমণ করে শহরে অবরোধ সৃষ্টি করেন। হাসান সালামা ৯৫০ জনের সাথে ও ২২৮ জন অনিয়মিত লোক সেনা নিয়ে "তেল আবিব-জেরুজালেম" সড়কের প্রবেশপথে লিড্ডা ও রামল নামক স্থানে অপারেশনের দায়িত্ব নেন।[4][5]
জাইশ আল-জিহাদ আল-মুকাদ্দাসের অধীনে স্থানীয় প্রতিরক্ষার জন্য ৫০,০০০ এর বেশি ফিলিস্তিনি আরব ছিল। কিন্তু ইসরায়েলের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় বাইরে পাঠানোর জন্য সব মিলিয়ে ৫,০০০ থেকে ১০,০০০ সেনা ছিল।
১৯৪৮ সালের ৮ এপ্রিল কাসতাল পাহাড়ের নিয়ন্ত্রণের জন্য যুদ্ধের সময় হুসায়নি হাতাহাতি লড়াইয়ে নিহত হন। তার বাহিনী হাগানাহর কাছ থেকে কাসতাল উদ্ধার করে। ইতিপূর্বে হাগানাহ ১০০ জনের মত সেনা নিয়ে অপারেশন নাকশনের সময় একটি গ্রাম দখল করে।[6] তারা মুতজার ইহুদি বসতির দিকে পিছু হটে।[7] পালমাচ সেনারা ৮-৯ এপ্রিল রাতে গ্রামই পুনরায় দখল করে নেয়। অধিকাংশ বাড়ি উড়িয়ে দেয়া হয় এবং পাহাড়টি কমান্ড পোস্ট হিসেবে ব্যবহৃত হতে থাকে।[8][9] হুসায়নির মৃত্যুর ফলে তার সেনাদের মধ্যে মনোবলে চিড় ধরেছিল।[10]
১৯৪৮ সালের ২২ সেপ্টেম্বর প্রথম আরব ইসরায়েলি যুদ্ধের সময় নিখিল ফিলিস্তিন সরকার গঠিত হলে এটি জাইশ আল-জিহাদকে পুনরায় গঠন করে এবং ফিলিস্তিনকে স্বাধীন করার লক্ষ্য ঘোষণা দেয়। তবে সরকারের নিজস্ব কোন অর্থ ছিল না। তারা মিশরের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হত এবং ফলপ্রসূ ছিল না।
১৯৪৮ সালের অক্টোবরে জর্ডান, জাইশ আল-জিহাদের বেশ কিছু ইউনিটকে ঘিরে ফেলে নিরস্ত্র করার জন্য আরব লিজিওনকে আদেশ দেয়।[11]
|