তারাওয়া
From Wikipedia, the free encyclopedia
তারাওয়া পশ্চিম-মধ্য প্রশান্ত মহাসাগরের দ্বীপরাষ্ট্র কিরিবাসের অন্তর্গত গিলবার্ট দ্বীপপুঞ্জের উত্তরভাগে অবস্থিত একটি প্রবালপ্রাচীরবেষ্টিত দ্বীপ বা অ্যাটল ও রাজধানী।[1][2][3] দ্বীপটি অস্ট্রেলিয়ার ৪৫০০ কিলোমিটার উত্তর-পূর্বে অবস্থিত। এটি কিরিবাসের সবচেয়ে জনবহুল অ্যাটল দ্বীপ। তারাওয়ার ইংরেজি ভি অক্ষরের আকৃতিবিশিষ্ট ৩৫ কিলোমিটার দীর্ঘ প্রবালপ্রাচীরটি ৩০টিরও বেশি খণ্ডদ্বীপ নিয়ে গঠিত। এদের মধ্যে বাইরিকি, বোনরিকি, বেতিও ও বিকেনিবেউ প্রধান চারটি খণ্ডদ্বীপ। অন্যান্য খণ্ডদ্বীপগুলিতে যাবার জন্য নৌকা ব্যবহার করতে হয়। অ্যাটলটি একটি বাণিজ্যিক ও শিক্ষাকেন্দ্র। তারাওয়ার দক্ষিণ দিকের বেতিও, বাইরিকি ও বিকেনিবেউ খণ্ডদ্বীপগুলিতে বন্দর সুবিধা আছে। বোনরিকিতে একটি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এবং বাইরিকিতে জাতীয় সরকারের প্রধান কার্যালয় অবস্থিত। এছাড়া বাইরিকিতে দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি শাখা অবস্থিত, যা ১৯৭৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। বেতিওতে হালকা শিল্পকারখানা আছে। এখান থেকে কোপরা (নারকেলের শুকানো শাঁস) ও শুক্তিপুট (ঝিনুকের খোলার ভেতরের রঙধনু বর্ণের চকচকে উপাদান) রপ্তানি করা হয়। ১৯৪৩ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালে দ্বীপটিতে মার্কিন মেরিন বাহিনী এবং জাপানি দখলকারী বাহিনীর মধ্যে তীব্র যুদ্ধ সংঘটিত হয়, যার নাম তারাওয়ার যুদ্ধ। মার্কিনীরা দ্বীপটি দখলে নিতে সক্ষম হয়। যুদ্ধের পরে তারাওয়াকে ব্রিটিশ শাসনাধীন গিলবার্ট ও এলিস দ্বীপপুঞ্জের রাজধানী বানানো হয়। ১৯৭৯ সালে কিরিবাস দ্বীপরাষ্ট্র স্বাধীনতা লাভ করলে এটি রাষ্ট্রটির রাজধানীতে পরিণত হয়। দক্ষিণ তারাওয়া গোটা প্রশান্ত মহাসাগরের সবচেয়ে জনঘনত্ববিশিষ্ট এলাকাগুলির একটি। তারাওয়ার মোট আয়তন ৩১ বর্গকিলোমিটার এবং এখানে প্রায় ৫৬ হাজার লোকের বাস, যা কিরিবাসের মোট জনসংখ্যার প্রায় অর্ধেক।[4][5]
ভূগোল | |
---|---|
অবস্থান | Pacific Ocean |
স্থানাঙ্ক | ১°২০′ উত্তর ১৭৩°০০′ পূর্ব |
দ্বীপপুঞ্জ | গিলবার্ট দ্বীপপুঞ্জ |
আয়তন | ৫০০ বর্গকিলোমিটার (১৯০ বর্গমাইল) |
সর্বোচ্চ উচ্চতা | ৩ মিটার (১০ ফুট) |
প্রশাসন | |
কিরিবাস | |
জনপরিসংখ্যান | |
জনসংখ্যা | ৫৬,২৮৪ (২০১০) |