তিব্বতীয় মালভূমি
From Wikipedia, the free encyclopedia
তিব্বতীয় মালভূমি চীনে ছিংহাই-তিব্বত মালভূমি[1] বা কুইং-জ্যাং মালভূমি[2] বা হিমালয় মালভূমি নামেও পরিচিত মধ্য এশিয়া[3][4][5][6] ও পূর্ব এশিয়ার[7][8][9][10] একটি বিশাল উচ্চভূমি। মালভূমিটি বেশিরভাগ তিব্বত স্বায়ত্বশাসিত অঞ্চলের এবং চীনের কিংহাইয়ের পাশাপাশি ভারতের লাদাখ (জম্মু ও কাশ্মীর) এবং লাহল ও স্পিটি (হিমাচল প্রদেশ) এলাকা নিয়ে গঠিত। এটি উত্তর থেকে দক্ষিণে প্রায় ১,০০০ কিলোমিটার (৬২০ মাইল) এবং পূর্ব থেকে পশ্চিমে ২,৫০০ কিলোমিটার (১,৬০০ মাইল) প্রসারিত। মালভূমিটির গড় উচ্চতা ৪,৫০০ মিটারের (১৪,৮০০ ফুট) অধিক। তিব্বতী মালভূমিকে কখনও কখনও "বিশ্বের ছাদ" বলা হয়, কারণ এটি সমুদ্রতল থেকে ৩ মাইল (৪.৮ কিমি) উপরে অবস্থিত এবং পৃথিবীর দুইটি সর্বোচ্চ পর্বত শৃঙ্গ মাউন্ট এভারেস্ট এবং কে ২ মালভূমিটিকে বেষ্ঠিত করে রাখা পর্বতশ্রেণীতে অবস্থিত। এটি ২৫,০০,০০০ বর্গ কিলোমিটার এলাকা (৯,৭০,০০০ বর্গ মাইল) (মেট্রোপলিটান ফ্রান্সের আকারের প্রায় পাঁচ গুণ) সহ বিশ্বের বৃহত্তম এবং সর্বাধিক উচ্চতার মালভূমি।[11] কখনও কখনও তিব্বতীয় মালভূমিকে তৃতীয় মেরু হিসাবে আখ্যা দেয়া হয়। তিব্বতী মালভূমি আশেপাশের অঞ্চলে বেশিরভাগ নদী প্রবাহগুলির জল-উৎসকে ধারণ করে। হাজার হাজার হিমবাহ এবং অন্যান্য ভৌগোলিক ও পরিবেশগত বৈশিষ্ট্য জল সংরক্ষণ ও প্রবাহ বজায় রাখার জন্য "জল টাওয়ার" হিসাবে কাজ করে মালভূমিটি। তিব্বতী উপদ্বীপে বিশ্বউষ্ণায়নের (গ্লোবাল ওয়ার্মিংয়ের) প্রভাব পর্যবেক্ষণ বর্তমান বিশ্বে তীব্র বৈজ্ঞানিক আগ্রহের বিষয়।[12][13][14][15]
তিব্বতীয় মালভূমি | |
---|---|
青藏高原 (Qīng–Zàng Gāoyuán, Qinghai–Tibet Plateau) | |
মাপ | |
দৈর্ঘ্য | ২,৫০০ কিলোমিটার (১,৬০০ মাইল) |
প্রস্থ | ১,০০০ কিলোমিটার (৬২০ মাইল) |
আয়তন | ২৫,০০,০০০ বর্গকিলোমিটার (৯,৭০,০০০ বর্গমাইল) |
ভূগোল | |
অবস্থান | গণচীন (তিব্বত, ছিংহাই), Western Sichuan, Northern Yunnan) ভারত (লাদাখ, লাহল ও স্পিটি) পাকিস্তান (Gilgit Baltistan) নেপাল উত্তরাঞ্চল |
রেঞ্জের স্থানাঙ্ক | ৩৩° উত্তর ৮৮° পূর্ব |