দক্ষিণ আফ্রিকায় দেওবন্দ আন্দোলন
দেওবন্দ আন্দোলনের ইতিহাস / From Wikipedia, the free encyclopedia
ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনের অংশ হিসেবে ভারতের উত্তরপ্রদেশের সাহারানপুর জেলার দেওবন্দে ১৮৬৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় দারুল উলুম দেওবন্দ। এই দেওবন্দ থেকে একটি সংস্কারবাদী আন্দোলনের সূচনা হয় যা দেওবন্দ আন্দোলন নামে পরিচিত৷ বর্তমানে দেওবন্দ আন্দোলনের একটি আন্তর্জাতিক উপস্থিতি রয়েছে। ভারতীয় উপমহাদেশের বাইরে দক্ষিণ আফ্রিকা এমনই একটি দেশ যেখানে দেওবন্দ আন্দোলন পরিপূর্ণরূপে বিকশিত হয়েছে। ভারতীয় গুজরাটি বণিক শ্রেণির মাধ্যমে দক্ষিণ আফ্রিকায় এই আন্দোলনের সূচনা হয়।[1] দেওবন্দ আন্দোলনের ইসলামি শিক্ষা ব্যবস্থা, তাবলিগ জামাত, তাসাউফ এবং জমিয়তের মত সামাজিক-রাজনৈতিক সংগঠনগুলোর সব প্রয়োজনীয় উপাদান দক্ষিণ আফ্রিকায় পুরোপুরিভাবে কাজ করছে। দক্ষিণ আফ্রিকার মাদ্রাসাগুলো ইসলামি উচ্চ শিক্ষা প্রদান করে এবং এখন বিদেশিদের জন্য ইসলামি শিক্ষার কেন্দ্র হয়ে উঠেছে যারা দেওবন্দের নমুনায় শিক্ষা গ্রহণে আগ্রহী। তাদের স্নাতকদের অনেকেই পশ্চিমা ছাত্র বিশেষ করে যুক্তরাজ্য এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে। দক্ষিণ আফ্রিকার কিছু মাদ্রাসা বিশ্বজুড়ে স্বীকৃত, যা ফতোয়া পরিষেবা দেয়। অনুরূপভাবে, দক্ষিণ আফ্রিকা এখন অনুবাদ এবং সংকলনের মাধ্যমে ইংরেজি ভাষাতে অসাধারণ ইসলামি সাহিত্য তৈরির জন্য পরিচিত। একইভাবে তাবলিগ জামাতের বিষয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা একটি কেন্দ্রস্থল যা সমগ্র দক্ষিণ ও পূর্ব আফ্রিকার সাথে প্রসারিত হয়। দক্ষিণ আফ্রিকার মাদ্রাসার স্নাতকরা তাবলিগ জামাতের পথে তাদের সময় ব্যয় করে। দেওবন্দের কয়েকজন আধ্যাত্মিক ব্যক্তিত্বের মাধ্যমে দক্ষিণ আফ্রিকায় দেওবন্দের তাসাউফের ঐতিহ্য গড়ে উঠে। তার মধ্যে অন্যতম মুহাম্মদ জাকারিয়া কান্ধলভি, মুহাম্মদ মাসিহুল্লাহ খান, মাহমুদ হাসান গাঙ্গুহি, আসআদ মাদানি। দক্ষিণ আফ্রিকার দেওবন্দি মুসলমানদের অনেক গুরুত্বপূর্ণ ও প্রভাবশালী শিক্ষা ও সামাজিক-রাজনৈতিক সংগঠন রয়েছে যা জনগণকে শিক্ষিত করার এবং ধর্মীয় ও সামাজিক ক্রিয়াকলাপে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তার মধ্যে অন্যতম জমিয়তুল উলামা দক্ষিণ আফ্রিকা, মুসলিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল।[2]