পরীক্ষা
বৈজ্ঞানিক প্রক্রিয়া / From Wikipedia, the free encyclopedia
কোনো ধারণাকে সমর্থন, খণ্ডন বা যাচাই করার জন্য কার্যপ্রণালীকে পরীক্ষা বলে। পরীক্ষায় কোন নির্দিষ্ট গুনকে প্রভাবিত করে সেটির ফলাফল বর্ণনা করা হয়। এর মাধ্যমে পরীক্ষা কারণ এবং প্রভাবের অন্তর্দৃষ্টি প্রদান করা যায়। উদ্দেশ্য এবং মাত্রার ভিত্তিতে পরীক্ষার পার্থক্য আছে। কিন্তু প্রতিটি পরীক্ষাই ফলাফলের পুনরাবৃত্তিমূলক পদ্ধতি এবং যৌক্তিক বিশ্লেষণের উপর নির্ভর করে। প্রাকৃতিক পরীক্ষামূলক গবেষণারও অস্তিত্ব রয়েছে।
একজন শিশু মাধ্যাকর্ষণকে বোঝার জন্য কিছু সাধারণ পরীক্ষা করতে পারে, যেথায় বিজ্ঞানীদের দল কয়েক বছর ধরে শৃঙ্খলাবদ্ধ অনুসন্ধানের মাধ্যমে ঘটনাটিকে আরও ভালোভাবে বুঝতে পারে। পরীক্ষা এবং অন্যোন্য হাতে-কলমে কার্যক্রম শ্রেণীকক্ষে শিক্ষার্থীদের বিজ্ঞান শিক্ষায় অতি গুরুত্বপূর্ণ। পরীক্ষা ফলাফলের মান বাড়ায় এবং একটি শিক্ষার্থীকে উক্ত বিষয়ে আরও নিয়জিত ও আগ্রহী করে; বিশেষ করে যখন এটি দীর্ঘ সময় ধরে ব্যবহৃত হয়। [1] ব্যক্তিগত এবং অনানুষ্ঠানিক প্রাকৃতিক তুলনা(যেমন কিছু চকলেটের স্বাদগ্রহণ করে পছন্দেরটি খুজে নেওয়া) থেকে অত্যন্ত নিয়ন্ত্রিত(যেমন অতিপারমাণবিক কণার সম্পর্কে তথ্য জানতে গবেষণায় অনেক বিজ্ঞানী কর্তৃক নিয়োজিত প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি) পর্যন্ত পরীক্ষার ভিন্নতা দেখা যায়। প্রাকৃতিক বিজ্ঞানে এবংসামাজিক বিজ্ঞানের পরীক্ষার মধ্যে উল্লেখযোগ্য পার্থক্য রয়েছে।
পরীক্ষায় সাধারণত নিয়ন্ত্রণাবলি থাকে, যা একমাত্র স্বাধীন চলক বাদে অন্যান্য চলকের প্রভাব হ্রাস করার জন্য তৈরি করা হয়। এটি সচরাচর নিয়ন্ত্রিত পরিমাপ এবং অন্যান্য পরিমাপের মধ্যে তুলনার মাধ্যমে ফলাফলের নির্ভরযোগ্যতা বাড়িয়ে দেয়। বৈজ্ঞানিক নিয়ন্ত্রণাবলি বৈজ্ঞানিক পদ্ধতির অংশ। আদর্শভাবে, একটি পরীক্ষায় সকল চলক নিয়ন্ত্রিত থাকে (নিয়ন্ত্রিত পরিমাপের মাধ্যমে দায়ী) এবং কোন চলকই অনিয়ন্ত্রিত থাকে না। এ ধরনের একটি পরীক্ষায় যদি সকল নিয়ন্ত্রণাবলি আশা অনুযায়ী কাজ করে তাহলে এটি সিদ্ধান্ত নেওয়া যায় যে, পরীক্ষাটি প্রত্যাশার অনুসরণে কাজ করেছে ও ফলাফল পরীক্ষিত চলকের প্রভাব।