শীর্ষ প্রশ্ন
সময়রেখা
চ্যাট
প্রসঙ্গ
প্রথম কুমারগুপ্ত
ভারতীয় নৃপতি, গুপ্ত রাজবংশীয় শাসক উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
Remove ads
প্রথম কুমারগুপ্ত বা কুমারগুপ্ত মহেন্দ্রাদিত্য (রাজত্বকাল: ৪১৫ খ্রিষ্টাব্দ-৪৪৫ খ্রিষ্টাব্দ) একজন গুপ্ত সম্রাট ছিলেন। তার রাজত্বকালে তিনি পূর্বে বঙ্গ থেকে পশ্চিমে কাথিয়াওয়াড় এবং উত্তরে হিমালয় থেকে দক্ষিণে নর্মদা নদী পর্য্যন্ত গুপ্ত সাম্রাজ্যের বিস্তার অটুট রাখতে সক্ষম হন। তার রাজত্বকালের অন্তিম পর্যায়ে পুষ্যমিত্র জনজাতির বিদ্রোহ ও শ্বেত হুণ জাতির আক্রমণের কারণে তাকে বিব্রত হতে হয়েছিল।
Remove ads
লেখ
প্রথম কুমারগুপ্তের শাসনকালে উৎকীর্ণ বেশ কয়েকটি শিলালেখ ও তাম্রশাসন আবিষ্কৃত হয়েছে। বিলসড গ্রামে আবিষ্কৃত একটি শিলালেখ থেকে জানা যায় যে, প্রথম কুমারগুপ্তের রাজত্বকালে ৯৬ গৌপ্তাব্দে বা ৪১৫ খ্রিষ্টাব্দে ধ্রুবশর্মা নামক এক ব্যক্তি একটি মন্দির, তোরণ ও ধর্মসত্র নির্মাণ করেছিলেন।[১] এলাহাবাদ জেলার গঢ়োয়া গ্রাম থেকে প্রাপ্ত অপর একটি শিলালেখ থেকে জানা যায় যে, ৯৮ গৌপ্তাব্দে বা ৪১৫ খ্রিষ্টাব্দে মাতৃদাস নামক অপর এক ব্যক্তি অপর একটি ধর্মসত্র নির্মাণ করেন।[২] প্রথম কুমারগুপ্তের রাজত্বকালে গোশর্ম নামক এক জৈন সাধক উদয়গিরি গুহাসমূহে তীর্থঙ্কর পার্শ্বনাথের মূর্তি প্রতিষ্ঠা করেন।[৩] রাজশাহী জেলার ধানাইদহ গ্রাম থেকে একটি তাম্রশাসন আবিষ্কৃত হয়, যাতে প্রথম কুমারগুপ্তের নাম উৎকীর্ণ রয়েছে। রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়[৪] ও পরে রাধাবিনোদ বসাক এই তাম্রশাসনের দুইটি ভিন্ন পাঠোদ্ধার করেন। ১৯০৯ খ্রিষ্টাব্দের ইটা জেলার ভরডিডিহ গ্রামে প্রাপ্ত এক শিবলিঙ্গের নিচের অংশে একটি লেখ থেকে জানা যায় যে, ১১৭ গৌপ্তাব্দ বা ৪৩৬ খ্রিষ্টাব্দে পৃথিবীষেণ নামক প্রথম কুমারগুপ্তের প্রধান কর্মচারী পৃথিবীশ্বর এই শিবলিঙ্গ প্রতিষ্ঠা করেন।[৫]
Remove ads
মুদ্রা
সারাংশ
প্রসঙ্গ
প্রথম কুমারগুপ্তের নামাঙ্কিত যে সকল স্বর্ণমুদ্রা আবিষ্কৃত হয়েছে, সেগুলিতে বিভিন্ন ধরনের প্রতিকৃতি লক্ষ্য করা যায়। এক ধরনের স্বর্ণমুদ্রায় এক পিঠে তীর ধনুক হাতে রাজমূর্তি ও অপর পিঠে লক্ষ্মীর মূর্তি খোদিত রয়েছে। হুগলি জেলার মাধবপুর[৬] ও মহানাদ গ্রামে[৭][৮] এই জাতীয় মুদ্রা আবিষ্কৃত হয়। আলেকজান্ডার কানিংহাম গয়া জেলা থেকে[৯] ও ওয়ারেন হেস্টিংসের আমলে কালীঘাট থেকেও[১০] একই ধরনের কিন্তু নিকৃষ্ট মানের মুদ্রা আবিষ্কৃত হয়। প্রথম কুমারগুপ্তের দ্বিতীয় ধরনের স্বর্ণমুদ্রার এক পিঠে অশ্বারূঢ় রাজার প্রতিকৃতি ও অপর পিঠে পদ্মাসনে উপবিষ্টা লক্ষ্মীর মূর্তি খোদিত রয়েছে। হুগলি জেলার মাধবপুর গ্রামে[৬][১১][১২] ও মেদিনীপুর জেলার তমলুক শহরে[১৩][১৪] এই ধরনের মুদ্রা আবিষ্কৃত হয়। প্রথম কুমারগুপ্তের তৃতীয় ধরনের স্বর্ণমুদ্রার এক পিঠে শিকাররত রাজার প্রতিকৃতি ও অপর পিঠে সিংহবাহিনী দেবী মূর্তি খোদিত রয়েছে, যা মাধবপুর গ্রামে আবিষ্কৃত হয়।[১৫] অপর এক ধরনের স্বর্ণমুদ্রার এক পিঠে হাতির পিঠে রাজার প্রতিকৃতি ও অপর পিঠে দেবীমূর্তি অঙ্কিত রয়েছে, যা হুগলি জেলার মহানাদ গ্রামে আবিষ্কৃত হয়।[৭][১৬] প্রথম কুমারগুপ্তের নামাঙ্কিত অপর এক ধরনের মুদ্রা বর্ধমান জেলা থেকে আবিষ্কৃত হয়েছে, যার এক পিঠে ময়ূরকে খাদ্য প্রদান রত রাজমূর্তি ও অপর পিঠে ময়ূরবাহন কার্তিকের মূর্তি অঙ্কিত রয়েছে।[১৭] যশোহর জেলার মহম্মদপুর গ্রাম থেকে প্রথম কুমারগুপ্তের নামাঙ্কিত রৌপ্য মুদ্রা আবিষ্কৃত হয়েছে।[১৮]
Remove ads
তথ্যসূত্র
বহিঃসংযোগ
Wikiwand - on
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Remove ads