ফলিত অর্থনীতি শাস্ত্র
From Wikipedia, the free encyclopedia
ফলিত অর্থনীতি শাস্ত্র, ফলিত অর্থনীতিবিদ্যা বা সংক্ষেপে ফলিত অর্থনীতি বলতে নির্দিষ্ট অবস্থিতিতে অর্থনৈতিক তত্ত্ব ও অর্থমিতির ধারণাগুলির প্রয়োগ অধ্যয়নকারী শাস্ত্রকে বোঝায়। অর্থনীতি শাস্ত্রকে দুইটি প্রধান ভাগে ভাগ করা যায়, একটি হল কেন্দ্রীয় অর্থনীতি শাস্ত্র, অপরটি হল ফলিত অর্থনীতি শাস্ত্র।[1] ফলিত অর্থনীতি শাস্ত্রে কেন্দ্রীয় অর্থনীতি শাস্ত্রকে অর্থাৎ অর্থনৈতিক তত্ত্ব ও অর্থমিতির ধারণাগুলিকে বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রয়োগ করা হয়, যাদের মধ্যে আছে জনতাত্ত্বিক অর্থনীতি শাস্ত্র, শ্রম অর্থনীতি শাস্ত্র, ব্যবসায় অর্থনীতি শাস্ত্র, শিল্প সংগঠন, কৃষি অর্থনীতি শাস্ত্র, উন্নয়ন অর্থনীতি শাস্ত্র, শিক্ষা অর্থনীতি শাস্ত্র, প্রকৌশল অর্থনীতি শাস্ত্র, আর্থিক অর্থনীতি শাস্ত্র, স্বাস্থ্য অর্থনীতি শাস্ত্র, মুদ্রা অর্থনীতি শাস্ত্র, গণ অর্থনীতি শাস্ত্র ও অর্থনৈতিক ইতিহাস, ইত্যাদি। অর্থনৈতিক উন্নয়নের দৃষ্টিকোণ থেকে ফলিত অর্থনীতি শাস্ত্রের উদ্দেশ্য হল ব্যবসায়িক চর্চা ও জাতীয় পর্যায়ের নীতি নির্ধারণের উন্নয়ন সাধন করা।[2]
ফলিত অর্থনীতি শাস্ত্রে অর্থনীতির কেন্দ্রীয় তত্ত্বগুলির বিমূর্তন হ্রাস করা হয়। এজন্য বিভিন্ন পন্থা অবলম্বন করা হতে পারে। একদিকে অর্থমিতি, আগম-নির্গম (ইনপুট-আউটপুট) বিশ্লেষণ বা ছদ্মায়ন ব্যবহার করে বাস্তব অভিজ্ঞতাভিত্তিক প্রাক্কলন সম্পাদন করা হতে পারে। অন্যদিকে দৃষ্টান্ত বা নজির অধ্যয়ন (কেস স্টাডি), ঐতিহাসিক সাদৃশ্য ও তথাকথিত সাধারণ কাণ্ডজ্ঞান বা প্রাকৃতজনের জ্ঞানও ব্যবহার করা হতে পারে।[3] পন্থার এই বিভিন্নতার কারনে রজার ব্যাকহাউজ ও জেফ বিডল ফলিত অর্থনীতি শাস্ত্রের ধারণাটি অস্পষ্ট চরিত্রের বলে যুক্তি দিয়েছেন, যার বহুসংখ্যক অর্থ হতে পারে।[4] মোটা দাগের পদ্ধতিগত পৃথকীকরণের আলোচনায় একটি উৎস ফলিত অর্থনীতি শাস্ত্রকে বাস্তবধর্মী অর্থনীতি শাস্ত্র কিংবা আদর্শধর্মী অর্থনীতি শাস্ত্র - এই দুইয়ের কোনওটিতেই স্থান দেয়নি বরং এটিকে "অর্থনীতি শাস্ত্রের কলা" হিসেবে বর্ণনা করেছে; অন্য ভাষায় ফলিত অর্থনীতি শাস্ত্র হল "বেশিরভাগ অর্থনীতিবিদ বাস্তব বিশ্বে যা করে থাকেন" তাই হল ফলিত অর্থনীতি শাস্ত্র।[5]