Loading AI tools
ভারতীয় অভিনেত্রী উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
মমতাজ জাহান দেহলভি (১৪ ফেব্রুয়ারি, ১৯৩৩ - ২৩ ফেব্রুয়ারি, ১৯৬৯; যিনি মধুবালা নামেই বেশি পরিচিত) একজন অন্যতম ভারতীয় অভিনেত্রী, যিনি অনেক হিন্দি ধ্রুপদী চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন।[1][2][3] তার সমসাময়িক নার্গিস এবং মীনা কুমারীর বিপরীতে তাকে হিন্দি চলচ্চিত্রের সর্বাধিক প্রভাবশালী ব্যক্তিত্ব হিসেবে গণ্য করা হয়।[4] তিনি ভারতীয় চলচ্চিত্র ইতিহাসের সর্বাধিক সুন্দর-আকর্ষণীয় অভিনেত্রী হিসেবেও গণ্য হন।[5][6]
মধুবালা | |
---|---|
मधुबाला | |
জন্ম | মমতাজ জাহান বেগম দেহলভি ১৪ ফেব্রুয়ারি ১৯৩৩ |
মৃত্যু | ২৩ ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯ ৩৬) বোম্বে, মহারাষ্ট্র, ভারত | (বয়স
জাতীয়তা | ভারতীয় |
নাগরিকত্ব | ভারত |
পেশা | অভিনেত্রী |
কর্মজীবন | ১৯৪২–১৯৬৪ |
উল্লেখযোগ্য কর্ম | মুঘল-ই-আজম (১৯৬০) |
আদি নিবাস | দিল্লী |
দাম্পত্য সঙ্গী | কিশোর কুমার (বি. ১৯৬০; বিচ্ছেদ. ১৯৬৯) (তার মৃত্যু) |
পিতা-মাতা | আতাউল্লাহ খান (বাবা) আয়েশা বেগম (মা) |
মমতাজ জাহান নাম দিয়ে অভিনয় শুরু করলেও অভিনেত্রী দেবিকা রাণী তার নাম দেন মধুবালা। মধুবালা শিশুশিল্পী হিসেবে বলিউডে অভিনয় শুরু করলেও মূল নারী চরিত্রে অভিনয় শুরু করেন ১৪ বছর বয়সে কিদার শর্মার 'নীলকমল' ছবিতে রাজকাপুরের নায়িকা হয়ে। ১৯৪৯ থেকে ১৯৬৪ সাল পর্যন্ত মাত্র ২৯ বছরের অভিনয় জীবনে প্রায় ৭০টি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন।[7][8] 'মুঘল-ই-আজম' (১৯৬০) মধুবালার জীবনের শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র।
মধুবালা ১৯৩৩ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি একটি দরিদ্র পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।[9] তার বাবা পাকিস্তানের পেশোয়ারের এক টোব্যাকো কোম্পানিতে চাকরি করতেন; কিন্তু তার চাকরি চলে যাওয়াতে সংসারে অভাবের কারণে মধুবালা অভিনয়ে যোগ দেন। এগারো ভাইবোনের মধ্যে তিনি ছিলেন পঞ্চম এবং পাঁচ জন মারা যায় খুব ছোটোবেলায়। এরপর তার পিতা বোম্বে শহরে (বর্তমান মুম্বাই) চলে অসেন।[10]
কথিত অছে, মধুবালা যখন খুব ছোট তখন এক দরবেশ তাকে দেখে ভবিষ্যতবাণী করেছিলেন যে, তিনি জীবনে অনেক খ্যাতি অর্জন করবেন কিন্তু সুখী হতে পারবেন না এবং তিনি অকালে মারা যাবেন।
এই অনুচ্ছেদটি খালি। আপনি এখানে যোগ করে সাহায্য করতে পারেন। |
এই অনুচ্ছেদটি খালি। আপনি এখানে যোগ করে সাহায্য করতে পারেন। |
এই অনুচ্ছেদটি খালি। আপনি এখানে যোগ করে সাহায্য করতে পারেন। |
মধুবালা ব্যক্তিগত জীবনে কয়েকবার সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। সে সময়ের জনপ্রিয় অভিনেতা দিলীপ কুমারের সাথে তার প্রেম কাহিনী বেশ সাড়া জাগিয়েছিল।[11] পাঁচ বছর প্রেমের পর দিলীপ কুমার দুটো শর্ত দিয়েছিলেন মধুবালাকে। প্রথমত, নিজের পরিবার ছাড়তে হবে। দ্বিতীয়ত, ছাড়তে হবে অভিনয়ও। বলিউড ছাড়তে রাজি হলেও নিজের মা-বাবাকে ছাড়তে নারাজ ছিলেন মধুবালা। এর পরই দিলীপ কুমার-মধুবালার সম্পর্ক ভেঙ্গে যায়।[7]
এরপর 'ঢাকে কি মালমাল' (১৯৫৬) ছবিতে বিখ্যাত গায়ক ও কমিডি কিং নামে খ্যাত কিশোর কুমারের সাথে পরিচয় হয় এবং ১৯৬০ সালে তাকেই বিয়ে করেনl এবং মধুবালা যতদিন জীবিত ছিলেন ততদিন তাদের দুজনের মধ্যে সম্পর্ক ছিল
এছাড়া মধুবালাকে নিয়ে পরিচালক কিদার শর্মা, কামাল আমরোহী, প্রেমনাথ এবং পাকিস্তানি রাজনীতিবিদ জুলফিকার আলী ভুট্টোর প্রেমের গুজব ছড়িয়েছে সে সময়।
মধুবালার হৃৎপিন্ডে জন্মগত ছিদ্র ছিল। ১৯৫০ সালে তার শারীরিক এ সমস্যা ধরা পড়ে যার অধুনিক নাম ভেন্ট্রিকুলার সেফটাল ডিফেক্ট (ভিএসডি)[12] এবং তখন ভারতে এর চিকিৎসা ছিল না। মধুবালার ক্যারিয়ারের স্বার্থে পরিবারের পক্ষ থেকেই অসুখটা তখন গোপন করা হয়। কাজের চাপ আর বদ্ধ স্টুডিওয়ে দিনের পর দিন কাটাতে কাটাতে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। শুটিং সেটে প্রায়ই অসুস্থ হয়ে পড়তেন। ১৯৬০ সালে কিশোর কুমারকে বিয়ের পর লন্ডন যান মধুবালা। কিন্তু চিকিৎসকরা জানিয়ে দেন, বড়জোর এক বছর বাঁচবেন তিনি। কিন্তু পরে আরো নয় বছর অসুখের সাথে লড়াই করে অবশেষে ২৩ ফেব্রুয়ারি, ১৯৬৯ সালে মাত্র ৩৬ বছর বয়সে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।[10]
১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ তারিখে তার ৮৬তম জন্মদিনে গুগল ডুডল তৈরি করে সম্মাননা প্রদান করে।[13]
মধুবালা অভিনীত চলচ্চিত্রের তালিকা[14]
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.
Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.