মধ্যযুগীয় ইসলামি বিশ্বে জ্যোতির্বিদ্যা
From Wikipedia, the free encyclopedia
ইসলামি জ্যোতির্বিদ্যা গঠিত হয় ইসলামি বিশ্বে সৃষ্ট জ্যোতির্বিজ্ঞান-সংক্রান্ত অগ্রগতি নিয়ে, বিশেষত ইসলামি স্বর্ণযুগে (৯-১৩শ শতাব্দীতে),[1] এবং বেশিরভাগই লেখা হয় আরবি ভাষায়। এসব অগ্রগতির বেশিরভাগ সঙ্ঘটিত হয় মধ্যপ্রাচ্য, মধ্য এশিয়া, আল-আন্ডালুস, এবং উত্তর আফ্রিকায়, এবং পরবর্তীতে দূর প্রাচ্য এবং ভারতে। এর বহিরাগত দ্রব্য এবং সেসব দ্রব্যের বিসদৃশ উপাদানের সংমিশ্রনে ইসলামি চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের একটি বিজ্ঞান সৃষ্টি করে, যা ঘনিষ্ঠভাবে অন্যান্য ইসলামি বিজ্ঞানের জন্মের সাথে সমান্তরাল। এসবের অন্তর্ভুক্ত হয় বিশেষত গ্রিক, সাসানীয়, এবং ভারতীয় রচনাসমূহ, যেগুলো অনুবাদ হয়েছিল এবং ভিত্তিস্বরূপ হয়েছিল।[2]
মধ্যযুগের গোড়ার দিকে জ্ঞানহ্রাসের পর ইসলামি জ্যোতির্বিজ্ঞান বাইজেন্টাইন[3] এবং ইউরোপীয়[4] জ্যোতির্বিজ্ঞানকে পুনর্জীবিত করতে এক উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করে, বিশেষ করে বারো শতকে আরবি রচনাগুলো ল্যাটিন ভাষায় অনুবাদ করার মাধ্যমে। ইসলামি জ্যোতির্বিজ্ঞানের চীনা জ্যোতির্বিজ্ঞান[5] এবং মালিয়ান জ্যোতির্বিজ্ঞানের উপরও প্রভাব ছিল।[6][7]
আকাশে উল্লেখযোগ্য পরিমাণের তারকা , যেমন আল্ডেবারান, অল্টেয়ার এবং ডিনেব, জ্যোতির্বিজ্ঞানের পরিভাষা যেমন এলিডাড, আজিমুথ এবং নাদির, এখনও তাদের আরবি নামে উল্লেখিত হয়।[8][9] বর্তমানে ইসলামিক জ্যোতির্বিজ্ঞানের সাহিত্যের এক বিশাল সংকলন বিদ্যমান আছে, সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে প্রায় ১০,০০০ সংখ্যার পাণ্ডুলিপি, যাদের বেশির ভাগই পঠিত বা তালিকাভুক্ত হয়নি। তারপরও, জ্যোতির্বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে ইসলামি সক্রিয়তার এক ন্যায্য নির্ভুল চিত্র পুনর্নির্মিত করা যায়।[10]