মাইকেল মধুসূদন দত্ত
বাঙালি কবি ও নাট্যকার / From Wikipedia, the free encyclopedia
মাইকেল মধুসূদন দত্ত (২৫ জানুয়ারি ১৮২৪ – ২৯ জুন ১৮৭৩) ঊনবিংশ শতাব্দীর অন্যতম শ্রেষ্ঠ বাঙালি কবি এবং নাট্যকার ও প্রহসন রচয়িতা।[2] তাকে বাংলার নবজাগরণ সাহিত্যের অন্যতম পুরোধা ব্যক্তিত্ব গণ্য করা হয়। ঐতিহ্যের অনুবর্তিতা অমান্য করে নব্যরীতি প্রবর্তনের কারণে তাকে আধুনিক বাংলা সাহিত্যের প্রথম বিদ্রোহী কবি হিসেবেও অভিহিত করা হয়।
মাইকেল মধুসূদন দত্ত | |
---|---|
স্থানীয় নাম | মধুসূদন দত্ত [n.s.] |
জন্ম | (১৮২৪-০১-২৫)২৫ জানুয়ারি ১৮২৪ সাগরদাঁড়ি, যশোর, বেঙ্গল প্রেসিডেন্সি, ব্রিটিশ ভারত (বর্তমান বাংলাদেশ) |
মৃত্যু | ২৯ জুন ১৮৭৩(1873-06-29) (বয়স ৪৯)[1] কলকাতা, ব্রিটিশ ভারত (অধুনা ভারত) |
ছদ্মনাম | টিমোথি পেনপোয়েম |
পেশা | কবি, নাট্যকার |
জাতীয়তা | ব্রিটিশ ভারতীয় |
বিষয় | সাহিত্য |
সাহিত্য আন্দোলন | বাংলার নবজাগরণ |
দাম্পত্যসঙ্গী | রেবেকা ম্যাকটাভিস হেনরিতা সোফিয়া হোয়াইট |
সন্তান | নেপোলিয়ন শর্মিষ্ঠা |
ব্রিটিশ ভারতের(বর্তমান বাংলাদেশের) যশোর জেলার এক সম্ভ্রান্ত কায়স্থ বংশে জন্ম হলেও মধুসূদন যৌবনে খ্রিষ্টধর্ম গ্রহণ করে মাইকেল মধুসূদন নাম গ্রহণ করেন এবং পাশ্চাত্য সাহিত্যের দুর্নিবার আকর্ষণবশত ইংরেজি ভাষায় সাহিত্য রচনায় মনোনিবেশ করেন। জীবনের দ্বিতীয় পর্বে মধুসূদন নিজ মাতৃভাষার প্রতি মনোযোগ দেন। এ পর্বে তিনি বাংলায় নাটক, প্রহসন ও কাব্যরচনা করেন। মাইকেল মধুসূদন বাংলা ভাষায় সনেট ও অমিত্রাক্ষর ছন্দের প্রবর্তক। তার সর্বশ্রেষ্ঠ কীর্তি অমিত্রাক্ষর ছন্দে রামায়ণের উপাখ্যান অবলম্বনে রচিত মেঘনাদবধ কাব্য নামক মহাকাব্য।
মধুসূদনের ব্যক্তিগত জীবন ছিল নাটকীয় এবং বেদনাঘন। মাত্র ৪৯ বছর বয়সে কলকাতায় এই মহাকবির মৃত্যু হয় এক শোকাবহ অবস্থার মধ্য দিয়ে।