শীর্ষ প্রশ্ন
সময়রেখা
চ্যাট
প্রসঙ্গ
মারাঠা সাম্রাজ্য
ভারতীয় উপমহাদেশে ১৬৭৪-১৮১৮ সাম্রাজ্য উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
Remove ads
মারাঠা সাম্রাজ্য (মারাঠি: मराठा साम्राज्य) হল একটি ঐতিহাসিক সাম্রাজ্য, যা খ্রিষ্টীয় সপ্তদশ শতাব্দী হতে ঊনবিংশ শতাব্দীর প্রথমভাগ পর্যন্ত (১৬৭৪ - ১৮১৮) ভারতবর্ষের দুই-তৃতীয়াংশ জুড়ে বিদ্যমান ছিলো। এর প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন ছত্রপতি শিবাজী। মুঘল সম্রাট আওরঙ্গজেবের মৃত্যুর পর মারাঠা সাম্রাজ্য পেশোয়ার(প্রধানমন্ত্রী) অধীনে বহুগুণ বিস্তৃত হয়। বিস্তারের সর্বোচ্চ সময়ে এটি উত্তরে পেশাওয়ার থেকে দক্ষিণ ভারতে কর্ণাটক পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল(যদিও তামিলনাড়ুতে পৃথক মারাঠা রাজ্য ছিল)। মুঘল সাম্রাজ্য ধ্বংস হলে ভারতে শেষ হিন্দু সাম্রাজ্য হিসেবে মারাঠা সাম্রাজ্যকেই বিবেচনা করা হয়। ১৭৬১ সালে মারাঠারা পানিপথের তৃতীয় যুদ্ধে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির সাথে পরাজিত হয় যা উত্তর দিকে তাদের সাম্রাজ্যের বিস্তার রোধ করে। এর ফলে উত্তর ভারত কার্যত কিছুদিন মারাঠা সাম্রাজ্য থেকে বেরিয়ে যায়। যদিও ১৭৭০ সালে উত্তর ভারত আবার মারাঠা সাম্রাজ্যের অধীনে আসে। কিন্তু মারাঠা সাম্রাজ্য সম্রাটের অধীনে কেন্দ্রীয় ভাবে শাসিত হওয়ার পরিবর্তে পেশোয়া ও অন্যান্য অঞ্চলের মারাঠা শাসকদের অধীনে বিভক্ত হয়ে যায় ও কনফেডারেসি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। ১৮১৮ সালের মধ্যে ইঙ্গ-মারাঠা যুদ্ধে ব্রিটিশদের কাছে মারাঠা সাম্রাজ্যের চূড়ান্ত পরাজয় ও বিলুপ্তি ঘটে।
সাম্রাজ্যের একটি বৃহৎ অংশ ছিল সমুদ্রবেষ্টিত এবং কানোজি আংরের মতো দক্ষ সেনাপতির অধীনস্থ শক্তিশালী নৌ-বাহিনী দ্বারা সুরক্ষিত। তিনি প্রতিপক্ষের, বিশেষত পর্তুগিজ ও ব্রিটিশদের নৌ-আক্রমণ সাফল্যের সাথেই প্রতিহত করেন।[২] সুরক্ষিত সমুদ্রসীমা এবং শক্তিশালী দুর্গব্যবস্থা মারাঠাদের সামরিক ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
Remove ads
ইতিহাস
শিবাজী ও তার বংশধর


শিবাজী (১৬৩০-১৬৮০) ছিলেন ভোঁসলে বংশের একজন মারাঠা অভিজাত এবং মারাঠা রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা।[৩] শিবাজী ১৬৪৫ সালে বিজাপুরের সালতানাতের বিরুদ্ধে একটি প্রতিরোধের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন টোর্না দুর্গ জয় করে, তারপরে আরও অনেক দুর্গ তার নিয়ন্ত্রণে রেখে এবং হিন্দবী স্বরাজ্য (হিন্দু জনগণের স্ব-শাসন [৪])প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি রায়গড়কে রাজধানী করে একটি স্বাধীন মারাঠা রাজ্য তৈরি করেন[৫] এবং তার রাজ্য রক্ষার জন্য মুঘলদের বিরুদ্ধে সফলভাবে যুদ্ধ করেন। তিনি ১৬৭৪ সালে নতুন মারাঠা রাজ্যের ছত্রপতি (সার্বভৌম) হিসাবে মুকুট লাভ করেন।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]
তার অধীনে মারাঠা আধিপত্য ছিল উপমহাদেশের প্রায় ৪.১%, কিন্তু এটি বৃহৎ অঞ্চলে বিস্তৃত ছিল। তার মৃত্যুর সময়,[৩] এটিকে প্রায় ৩০০টি দুর্গ দিয়ে শক্তিশালী করা হয়েছিল এবং প্রায় ৪০,০০০ অশ্বারোহী, এবং ৫০,০০০ সৈন্য এবং সেইসাথে পশ্চিম উপকূল বরাবর নৌ স্থাপনা দ্বারা রক্ষা করা হয়েছিল। সময়ের সাথে সাথে, রাজ্যের আকার এবং ভিন্নতা বৃদ্ধি পাবে;[৬] তার নাতির শাসনের সময় এবং পরে ১৮ শতকের প্রথম দিকে পেশোয়াদের অধীনে, এটি একটি বিশাল রাজ্যে পরিণত হয়।[৭]
শিবাজীর দুটি পুত্র ছিল: সম্ভাজি এবং রাজারাম, যাদের মা ভিন্ন ছিল এবং সৎ ভাই ছিলেন।
Remove ads
বিদ্রোহ
মারাঠা সম্রাজ্যের উল্লেখযোগ্য বিদ্রোহগুলোর মধ্যে অন্যতম বিদ্রোহ হলো মহাদেব মন্দির বিদ্রোহ। মহাদেবের মন্দিরে একদল রাম ভক্ত এসে রাম নাম বলা শুরু করে ফলে শুরু হয় রাম ভক্ত সন্যাসী এবং মহাদেব এর মন্দিরের পুরোহিতদের মধ্যে মারামারি। এটি ধীরে ধীরে বিদ্রোহে রূপ নেয়। যদিও মারাঠা সম্রাট সম্ভাজী কঠোর হস্তে দমন করেছিল।[৮]
ভূগোল
আধুনিক ভারতের পূর্ব পরিকল্পনাকারী মারাঠা সম্রাজ্য ।যার ভৌগলিক অবস্থান ছিল বিশাল। তারা চেয়েছিল ব্রিটিশ রাজের পতনের মাধ্যমে স্বাধীন ভারত প্রতিষ্ঠা করতে। যার নাম দিয়েছিল গান্ডিয়ান । কিন্তু ১৮১৮ সালে মারাঠা সম্রাজ্যের পতন হয়। [৯]
সরকার ও সামরিক বাহিনী
শাসক, প্রশাসক এবং জেনারেলরা
আরো দেখুন
তথ্যসূত্র
আরো পড়ুন
বহিঃসংযোগ
Wikiwand - on
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Remove ads