ম্যাডি জিগলার
From Wikipedia, the free encyclopedia
ম্যাডিসন নিকোল জিগলার (জন্ম সেপ্টেম্বর ৩০, ২০০২)[1], যিনি ম্যাডি জিগলার নামেই অধিক পরিচিত,[2] একজন মার্কিন নৃত্যশিল্পী, অভিনেত্রী এবং মডেল। তিনি মার্কিন টেলিভিশন চ্যানেল লাইফটাইম'এ প্রচারিত রিয়ালেটি অনুষ্ঠান ড্যান্স মমস এ ২০১১ থকে (মাত্র ৮ বছর বয়সে) ২০১৬ সাল পর্যন্ত হাজির হওয়ার জন্য পরিচিত হন। ২০১৪ সাল থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত তিনি জনপ্রিয় অস্ট্রেলীয় গায়িকা সিয়ার ছয়টি গানের ভিডিওতে অভিনয় করার জন্য ব্যাপক খ্যাতি অর্জন করেন, যেগুলোর মধ্যে "ক্যান্ডেইলার" এবং "ইলেকট্রিক হার্ট" অন্যতম, যেটি ক্রমসঞ্চিতভাবে ইউটিউবে এখন পর্যন্ত ৩.৫ বিলিয়নেরও বেশি বার দেখা হয়েছে। ম্যাডি জিগলারকে চলচ্চিত্রে ছোট পর্দায় এবং কনসার্টেও হাজির হতে দেখা গেছে এছাড়াও তিনি বিভিন্ন ম্যাগাজিনের মোড়কের মডেল হিসেবেও কাজ করেছেন এবং বিভিন্ন ব্রান্ড সমূহের বিজ্ঞাপনেও কাজ করেছেন, অন্য ব্রান্ড সমূহের মধ্যে ক্যাপিজো, রালফ লওরেন এবং টার্গেট এর মত স্বনামধন্য ব্রান্ড অন্যতম। তিনি ২০১৫, ২০১৬ এবং ২০১৭ সালের মধ্যে প্রত্যেক বছরই, জনপ্রিয় মার্কিন ম্যাগাজিন টাইম তাদের করা "সর্বাধিক প্রভাবশালী ৩০ জন কিশোর/কিশোরী" এর তালিকায় তার নাম প্রকাশ করে।
২০১৬ সালে ম্যাডি জিগলার মার্কিন নৃত্য প্রতিযোগিতামূলক অনুষ্ঠান সো ইউ থিংক ইউ ক্যান ড্যান্স: দ্য নেক্সট জেনারেশন এর অভিষেক মৌসুমে বিচারকের দায়িত্ব পালন করেন , এছাড়াও ২০১৬ এবং ২০১৭ সালে অস্ট্রেলীয় গায়িকা সিয়ার সাথে উত্তর আমেরিকা সফর করেন এবং তার বোনের সাথে অষ্ট্রেলিয়াও সফর করেছেন পরবর্তীতে ২০১৭ সালে আবারও সিয়ার সাথে সফর করেন। ২০১৭ সালে প্রকাশিত হওয়া তার সংক্ষিপ্ত আত্মজীবনী; দ্য ম্যাডি ডায়েরিজটি ছিল জনপ্রিয় মার্কিন সংবাদপত্র দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস এর নিউ ইয়র্ক টাইমস বেস্ট সেলার তালিকায় স্থান পায়, যা ২০১৭ সালে যুক্তরাষ্ট্রে সবচেয়ে বেশি বিক্রি হওয়া সেরা বইগুলোর একটি তালিকা।[3] ২০১৬ সালে তিনি ফ্রান্স এবং কানাডার যৌথ পরিচালনায় নির্মিত গীতিনাট্যের অ্যানিমেশন ভিত্তিক চলচ্চিত্র বালেরিনা-এ আর্বিভূত হন (২০১৬ সালে মুক্তি পায়) এবং ২০১৭ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত মার্কিন দৃশ্যকাব্যময় চলচ্চিত্র দ্য বুক অব হেনরিতে অভিনয়ের মাধ্যমে চলচ্চিত্র অভিনেত্রী হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ইন্সটাগ্রামে তার ১০ মিলিয়নেরও বেশি অনুসারী রয়েছে।