রস্টোর স্তর তত্ত্ব
From Wikipedia, the free encyclopedia
রস্টোর স্তর তত্ত্ব অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ব্যাখ্যায় অন্যতম প্রধান একটি ইতিহাসভিত্তিক মডেল। ১৯৬০ সালে প্রকাশিত পুস্তক The Stages of Economic Growth: A Non-communist manifesto-এ ওয়াল্ট হুইটম্যান রস্টো তার স্তর তত্ত্ব উপস্থাপন করেন। পুস্তকের শিরোনাম থেকে অনেকে মনে করেন যে তিনি মার্ক্সের তত্ত্বের একটি বিকল্প প্রদান করতে চেয়েছিলেন।[1] তার বিশ্লেষণে একটি অর্থনীতি পাঁচটি স্তরের মধ্যে দিয়ে যাত্রা করে[2] -
- সনাতন সমাজ
- উড্ডয়নের পূর্বাবস্থা
- উড্ডয়নকাল
- পূর্ণ বিকাশের পথে যাত্রা
- উচ্চ গণভোগের কাল
সনাতন সমাজের বেশিষ্ট্যগুলো হল:
- সম্ভাবনা থাকা সত্ত্বেও এ সমাজে উৎপাদন সীমিত
- প্রাচীন ও অনুন্নত প্রযুক্তি
- অর্থনীতি মূলত কৃষিভিত্তিক
- কিছু শিল্প স্থাপিত হলেও অনুন্নত প্রযুক্তির কারণে উৎপাদিকা সীমাবদ্ধ
- শ্রেণীবিভক্ত সমাজ ও কেন্দ্রীভূত ক্ষমতা
- ক্ষমতায় জমির মালিকদের প্রভাব বেশি
- নিরক্ষরতার কারণে সমাজ ভোগনির্ভর ও কুসংস্কারাচ্ছন্ন
- জীবনযাত্রার মান নিচু; অধিক জনসংখ্যার ফলে খাদ্য ঘাটতি বিরাজমান
- কখনও কখনও যুদ্ধ ও মহামারীর কারণে জীবনযাত্রা ব্যহত হয়।
উড্ডয়নের পূর্বাবস্থা সমাজ বিবর্তনের দ্বিতীয় স্তর। এ স্তর আসলে একটি ক্রান্তিকাল। এ সময় অর্থনীতি স্বয়ংক্রিয় হওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় শক্তি অর্জন করে। এ শক্তি অর্জনের পেছনে কয়েকটি বিষয় উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করে। তার মধ্যে অন্যতম হল-
- আধুনিক অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের উপযোগী শিক্ষা
- ব্যাংক ও অন্যান্য সংস্থার সৃষ্টি, ফলে সঞ্চয় ও বিনিয়োগের সুবিধা বৃদ্ধি
- আধুনিক শিল্পের বিকাশ
- ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার
- প্রাকৃতিক সম্পদ আহরণ ও প্রাকৃতিক পরিবেশ নিয়ন্ত্রণ