রুবিক’স কিউব
একটি ঘনাকার যান্ত্রিক ধাঁধা / From Wikipedia, the free encyclopedia
রুবিক’স কিউব (ইংরেজি: Rubik's Cube) একটি ঘনাকার যান্ত্রিক ধাঁধা। ১৯৭৪ সালে হাঙ্গেরীয় ভাস্কর ও স্থাপত্যের অধ্যাপক এর্নো রুবিক এটি উদ্ভাবন করেন। রুবিক নিজে এর নাম দিয়েছিলেন ম্যাজিক কিউব (Magic Cube), কিন্তু পরবর্তীতে ১৯৮০ সালে Ideal Toys নামের এক খেলনা প্রস্তুতকারী কোম্পানী এর নাম দেয় রুবিক্স কিউব অর্থাৎ রুবিকের ঘনক।
রুবিক’স কিউব | |
---|---|
অন্য নাম | ম্যাজিক কিউব |
ধরন | কম্বিনেশন পাজল |
উদ্ভাবক | এর্নো রুবিক |
কোম্পানি | রুবিক'স ব্র্যান্ড লিঃ |
দেশ | হাঙ্গেরি |
উপলব্ধতা | ১৯৭৭ (হাঙ্গেরিয়ান ম্যাজিক কিউব); ১৯৮০ (রুবিক’স কিউব, সারা বিশ্ব জুড়ে)–বর্তমান |
দাপ্তরিক ওয়েবসাইট |
রুবিক্স কিউব সাধারণত ৩x৩x৩ মাত্রাবিশিষ্ট ঘনকাকৃতির হয়ে থাকে। ঘনকের প্রতিটি তল আবার ৯টি করে বর্গক্ষেত্রে বিভক্ত থাকে। এই ছোট বর্গক্ষেত্রগুলি ৬টি ভিন্ন রঙের যেকোন একটি রঙে রাঙানো থাকে। রুবিক্স কিউবের যান্ত্রিক কৌশল এমন হয় যে, ঘনকের যেকোন একটি তলের সবগুলো বর্গকে তাদের আপেক্ষিক অবস্থান পরিবর্তন না করেই একত্রে ঘোরানো সম্ভব। এভাবে ঘুরিয়ে রুবিকস্ কিউবকে বিভিন্ন রকম অবস্থা বা কনফিগারেশনে (configuration) নিয়ে যাওয়া সম্ভব। রুবিকস্ কিউবের বিভিন্ন রকম সংষ্করণ আছে, তার মধ্যে ২x২x২ মাত্রার পকেট কিউব, ৪x৪x৪ মাত্রার রুবিক্স রিভেঞ্জ (Rubik's Revenge) এবং ৫x৫x৫ মাত্রার প্রফেসর্স কিউব (Professor's cube) উল্লেখযোগ্য।
সমাধানকৃত অবস্থায় রুবিক্স কিউবের একটি তলে সবগুলো বর্গ একই রঙের হয়। ঘনকের ৬টি তলের প্রত্যেকটিতে একটি করে ভিন্ন রঙ থাকে। মজার ব্যাপার হলো এর একসাথে ৩টি তলের বেশি দেখা যায় না । সমাধানকৃত একটি রুবিকস্ কিউবের বিভিন্ন তলকে ইচ্ছামত ঘুরিয়ে এলোমেলো করা যায়। এরকম এলোমেলো অবস্থা বা কনফিগারেশন থেকে সমাধানকৃত অবস্থায় নিয়ে আসাই এই যান্ত্রিক ধাঁধাঁটির লক্ষ্য।