লোকজ্ঞান
কোনও বিশেষ নৃগোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক অভিব্যক্তি / From Wikipedia, the free encyclopedia
লোকজ্ঞান, লোককথা, লোককাহিনী, লোকাচার বা লোকসংস্কৃতি বলতে একটি নির্দিষ্ট জনগোষ্ঠীর মধ্যে আদান-প্রদানকৃত সাংস্কৃতিক অভিব্যক্তি বোঝানো হয়। এটি সেই সংস্কৃতি, উপ-সংস্কৃতি বা গোষ্ঠীর মধ্যে প্রচলিত ঐতিহ্যগুলোকে অন্তর্ভুক্ত করে। এর মধ্যে মৌখিক ঐতিহ্য যেমন গল্প, প্রবাদ এবং কৌতুক অন্তর্ভুক্ত। বস্তুগত সংস্কৃতি তথা ঐতিহ্যবাহী প্রস্তুতশৈলী থেকে শুরু করে হাতে তৈরি খেলনাও লোকসংস্কৃতির অন্তর্গত। ফোকলোর বা লোকসংস্কৃতির মধ্যে প্রচলিত গল্প, লোকবিশ্বাসের জন্য গৃহীত পদক্ষেপ, বড়দিন এবং বিবাহের মতো আনন্দ আয়োজনের বিভিন্ন রীতি ও প্রথাও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এগুলোর প্রত্যেকটিই এককভাবে বা সংমিশ্রণে লোকশৈলীর নিদর্শন হিসেবে বিবেচিত হয়। এই লোকশৈলীর ধারা যেমনি লোকসংস্কৃতির অন্তর্গত তেমনি এই শিল্পকর্মগুলোর এক অঞ্চল থেকে অন্য অঞ্চলে বা এক প্রজন্ম থেকে পরবর্তী প্রজন্মে সঞ্চারিত হওয়াও লোকসংস্কৃতির অন্তর্গত। তবে লোকসংস্কৃতি এমন কিছু নয় যা সাধারণভাবে যেকোন আনুষ্ঠানিক বিদ্যালয়ের পাঠ্যক্রম বা চারুকলায় অধ্যয়নের মাধ্যমে অর্জন করা যায়। বরং এই ঐতিহ্যগুলো মৌখিক নির্দেশনা বা প্রদর্শনের মাধ্যমে এক ব্যক্তি থেকে অন্য ব্যক্তিতে অনানুষ্ঠানিকভাবে প্রবাহিত হয়। লোকাচারের উচ্চশিক্ষায়তনিক অধ্যয়নকে লোকাচারবিদ্যা (ফোকলোর স্টাডিজ বা ফোকলরিস্টিক্স) বলা হয় এবং এটি স্নাতক, স্নাতক এবং পিএইচডি পর্যায়ে গবেষণামূলক অনুসন্ধানের বিষয়বস্তু হতে পারে।[1]