হিট স্ট্রোক
উচ্চ তাপমাত্রায় অত্যধিক সূর্যালোক-সম্পাত দ্বারা সৃষ্ট অবস্থা / From Wikipedia, the free encyclopedia
আতপাঘাত কিংবা ইংরেজি পরিভাষায় হিট স্ট্রোক হল একটি গুরুতর তাপজনিত অসুস্থতা যার ফলে শরীরের তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের (১০৪ ডিগ্রি ফারেনহাইট) বেশি হয়ে যায়।[4] ত্বক লাল হয়ে যাওয়া, মাথাব্যথা, মাথা ঘোরা এবং বিভ্রান্তি আতপাঘাতের প্রধান কিছু লক্ষণ-উপসর্গ।[2] চিরাচরিত আতপাঘাতে সাধারণত ঘাম হয় না, তবে পরিশ্রমজনিত আতপাঘাতে শরীর থেকে ঘাম নিঃসৃত হয়।[5] আতপাঘাতের শুরু হঠাৎ করে বা ধীরে ধীরে হতে পারে।[3] আতপাঘাত জীবনের জন্য হুমকিস্বরূপ একট পরিস্থিতি, কারণ এর ফলে বহুসংখ্যক অঙ্গ বিকল হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।[6] আতপাঘাতজনিত জটিলতার মধ্যে খিঁচুনি, ডুরেপেশী লোপ (র্যাবডোমায়োলাইসিস) ও বৃক্ক বৈকল্য খুবই সাধারণ।[3]
আতপাঘাত | |
---|---|
প্রতিশব্দ | হিট স্ট্রোক (ইংরেজি), সান স্ট্রোক (ইংরেজি), সিরিয়াসিস (ইংরেজি)[1] |
১৯৪৩ সালের ইরাকের একটি স্থিরচিত্র, যেটিতে আতপাঘাতে (হিট স্ট্রোক) আক্রান্ত একজন ব্যক্তির শরীরের তাপমাত্রা কমাতে তার দেহে পানি ছিটানো হচ্ছে। | |
বিশেষত্ব | জরুরি চিকিৎসা |
লক্ষণ | অতিজ্বর (হাইপারথারমিয়া), লাল, শুষ্ক অথবা আর্দ্র ত্বক, মাথা ব্যথা, মাথা ঘোরা, বিভ্রান্তি, বমি ভাব[2] |
জটিলতা | সংজ্ঞালোপ বা মূর্ছা যাওয়া, ডুরেপেশী লোপ (র্যাবডোমায়োলাইসিস), বৃক্ক বৈকল্য[3] |
প্রকারভেদ | সাধারণ আতপাঘাত, পরিশ্রমজনিত আতপাঘাত[3] |
কারণ | অত্যধিক বাহ্যিক তাপমাত্রা, অত্যধিক শারীরিক পরিশ্রম[3][4] |
ঝুঁকির কারণ | বৃদ্ধ বয়স, তাপদাহ, উচ্চ আর্দ্রতা, ঔষধ, হৃদরোগ, চর্মরোগ[3] |
রোগনির্ণয়ের পদ্ধতি | লক্ষণ-উপসর্গের উপর নির্ভর করে[3] |
পার্থক্যমূলক রোগনির্ণয় | নিউরোলেপ্টিক ম্যালিগন্যান্ট সিনড্রোম, ম্যালেরিয়া, মস্তিষ্কঝিল্লিপ্রদাহ (মেনিনজাইটিস)[3] |
চিকিৎসা | দ্রুত শরীর ঠাণ্ডা করা, সহ-চিকিৎসা[4] |
আরোগ্যসম্ভাবনা | মৃত্যুহার <৫% (শারীরিক পরিশ্রম বিবেচনায় না নিয়ে) , ৬৫% পর্যন্ত (শারীরিক পরিশ্রম বিবেচনায় নিয়ে)[3] |
মৃতের সংখ্যা | প্রতি বছর > ৬০০ (মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে)[4] |
পরিবেশের উচ্চ তাপমাত্রা এবং/অথবা শারীরিক পরিশ্রমের কারণে আতপাঘাত ঘটে।[3][4] এটি সাধারণত চরম পরিবেশে অবস্থান করা ও পরিশ্রমমূলক কাজের জন্য বা দীর্ঘ সময় তাপের সংস্পর্শে থাকার জন্য ঘটে থাকে।[6] তবে কিছু স্বাস্থ্যগত অবস্থাও আতপাঘাতের ঝুঁকি বাড়াতে পারে। বংশগত প্রবণতার কারণে কিছু রোগীর, বিশেষ কিছু শিশুর জন্য তুলনামূলকভাবে মৃদু পরিবেশ-পরিস্থিতিতেও আতপাঘাতের ঝুঁকিপ্রবণতা বেশি থাকতে পারে।[7]
আতপাঘাতের প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থার মধ্যে রয়েছে পর্যাপ্ত তরল পানীয় পান করা এবং অতিরিক্ত তাপমাত্রাযুক্ত পরিবেশ এড়িয়ে চলা।[8] শরীর দ্রুত ঠাণ্ডা করে এবং সার্বিক যত্নের মাধ্যমে আতপাঘাতের চিকিৎসা করা হয়।[4] অন্যান্য প্রস্তাবিত চিকিৎসা পদ্ধতিগুলির মধ্যে রয়েছে ভুক্তভোগী ব্যক্তির দেহে পানি ছিটানো, তাকে পাখা দিয়ে বাতাস করা, তাকে বরফশীতল পানিতে নিমজ্জিত রাখা, ইত্যাদি।[4][4]