হৈসল সাম্রাজ্য
১০ম-১৪শ শতাব্দীর দক্ষিণ ভারতীয় সাম্রাজ্য / From Wikipedia, the free encyclopedia
}} হৈসল সাম্রাজ্য ছিল দক্ষিণ ভারতের একটি উল্লেখযোগ্য কন্নড় সাম্রাজ্য। খ্রখ্রিস্টীয় ১০ম থেকে ১৪শ শতাব্দীর মধ্যবর্তী সময়ে অধুনা ভারতের কর্ণাটক রাজ্যের অধিকাংশ অঞ্চল এই সাম্রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল। প্রথম দিকে হৈসল সাম্রাজ্যের রাজধানী ছিল বেলুরু শহর। পরে তা হৈলেবিডু শহরে স্থানান্তরিত হয়।
হৈসল সাম্রাজ্য ಹೊಯ್ಸಳ ಸಾಮ್ರಾಜ್ಯ | |||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
১০২৬–১৩৪৩ | |||||||||
হৈসল সাম্রাজ্যের প্রসার, আনুমানিক ১২০০ খ্রিস্টাব্দ | |||||||||
অবস্থা | সাম্রাজ্য (১১৮৭ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত পশ্চিম চালুক্য সাম্রাজ্যের অধিভুক্ত) | ||||||||
রাজধানী | হৈলেবিডু বেলুরু | ||||||||
প্রচলিত ভাষা | কন্নড়, সংস্কৃত | ||||||||
ধর্ম | হিন্দুধর্ম, জৈনধর্ম | ||||||||
সরকার | রাজতন্ত্র | ||||||||
রাজা | |||||||||
• ১০২৬–১০৪৭ | দ্বিতীয় নৃপ কাম | ||||||||
• ১২৯২–১৩৪৩ | তৃতীয় বীর বল্লাল | ||||||||
ইতিহাস | |||||||||
• সর্বপ্রাচীন হৈসল নথি | ৯৫০ | ||||||||
• প্রতিষ্ঠা | ১০২৬ | ||||||||
• বিলুপ্ত | ১৩৪৩ | ||||||||
|
হোয়সল রাজন্যবর্গ (১০২৬-১৩৪৩) | |
দ্বিতীয় নৃপ কাম | (১০২৬-১০৪৭) |
হৈসল বিনয়াদিত্য | (১০৪৭-১০৯৮) |
এরিয়াঙ্গা | (১০৯৮-১১০২) |
প্রথম বীর বল্লাল | (১১০২-১১০৮) |
বিষ্ণুবর্ধন | (১১০৮-১১৫২) |
প্রথম নরসিংহ | (১১৫২-১১৭৩) |
দ্বিতীয় বীর বল্লাল | (১১৭৩-১২২০) |
দ্বিতীয় বীর নরসিংহ | (১২২০-১২৩৫) |
বীর সোমেশ্বর | (১২৩৫-১২৬৩) |
তৃতীয় নরসিংহ | (১২৬৩-১২৯২) |
তৃতীয় বীর বল্লাল | (১২৯২-১৩৪৩) |
হরিহর রায় (বিজয়নগর সাম্রাজ্য) |
(১৩৪২-১৩৫৫) |
হৈসল রাজাদের আদি নিবাস ছিল পশ্চিমঘাট পর্বতমালার মালেনাড়ু কর্ণাটক উচ্চভূমি অঞ্চলে। খ্রিস্টীয় ১২শ শতাব্দীতে তৎকালীন শাসক পশ্চিম চালুক্য ও কলচুরি রাজ্যের মধ্যে ঘনীভূত যুদ্ধ পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে হৈসলরা অধুনা কর্ণাটক রাজ্যের ভূখণ্ড এবং অধুনা তামিলনাড়ু রাজ্যের কাবেরী নদীর উত্তর তীরস্থ উর্বর অঞ্চলগুলি অধিকার করেন। খ্রিস্টীয় ১৩শ শতাব্দীর মধ্যেই তারা অধুনা কর্ণাটকের অধিকাংশ ভূখণ্ড, অধুনা তামিলনাড়ুর সামান্য অংশ এবং দাক্ষিণাত্যের অধুনা অন্ধ্রপ্রদেশ ও তেলঙ্গানা রাজ্যের পশ্চিম দিকের কিছু কিছু অঞ্চল নিজেদের অধীনে আনতে সমর্থ হন।
দক্ষিণ ভারতের শিল্পকলা, স্থাপত্য ও ধর্মের বিকাশের ক্ষেত্রে হৈসল যুগ বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ। আজ এই সাম্রাজ্যকে বিশেষভাবে স্মরণ করা হয় এর মন্দির স্থাপত্যের জন্য। এই যুগে নির্মিত একশোরও বেশি মন্দির এখনও কর্ণাটকের বিভিন্ন অংশে ছড়িয়ে রয়েছে।
যে সব বহুল পরিচিত মন্দির হৈসল সাম্রাজ্যের “বিস্ময়কর স্থাপত্য সৌকর্য প্রদর্শন” করে, সেগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য বেলু্রুর চেন্নকেশব মন্দির, হৈলেবিডুর হৈসলেশ্বর মন্দির ও সোমনাথপুরার চেন্নকেশব মন্দির।[1] হৈসল শাসকেরা চারুকলার পৃষ্ঠপোষকতা করতেন এবং কন্নড় ও সংস্কৃত ভাষায় সাহিত্য রচনা করতে উৎসাহ দান করতেন।