রচেস্টার, নিউ ইয়র্ক
From Wikipedia, the free encyclopedia
রচেস্টার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্ক অঙ্গরাজ্যের একটি শহর ও মনরো কাউন্টির আসন। জনসংখ্যায় এটি নিউ ইয়র্ক অঙ্গরাজ্যের তৃতীয় বৃহত্তম শহর। ২০১৯ সালের হিসাব অনুযায়ী এর জনসংখ্যা ২,০৫,৬৯৫। [1] রোচেস্টার শহর যেমন নগর এলাকা নিয়ে গঠিত, তেমনি শহরতলি ও গ্রামীণ এলাকা-ও রোচেস্টারের অংশ।
রচেস্টার শহরটি একসময় যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম দ্রুত বর্ধনশীল শহর ছিল। জেনেসি নদী উপত্যকার অংশ হওয়ায় এতে অনেকগুলো ময়দা কারখানা গড়ে ওঠে। বিভিন্ন দ্রব্য উৎপাদনের প্রাণকেন্দ্র হয়ে ওঠায় রচেস্টারের জনসংখ্যা দ্রুত বৃদ্ধি পায়। [2] ইস্টম্যান কোডাক, জেরক্স, বাউশ্চ অ্যান্ড লোম্ব, ওয়েগম্যানস, গ্যানেট, পেচেক্স, ওয়েস্টার্ন ইউনিয়ন, কনস্টেলেশন ব্র্যান্ডস, রাগুসহ অনেক খ্যাতনামা প্রতিষ্ঠানের গোড়াপত্তন হয় রোচেস্টারে। এছাড়াও রোচেস্টার বিশ্ববিদ্যালয় ও রোচেস্টার ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির মত বিশ্বখ্যাত শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান এ শহরের অহংকার। রোচেস্টারের অর্থনৈতিক বিকাশে এগুলোর গুরুত্ব অপরিসীম। [3] ক্রীতদাস প্রথার বিলুপ্তি[4] ও নারী অধিকার আন্দোলনের[5] অনেক গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা রোচেস্টারে সংঘটিত হয়। শিল্পকারখানাগুলোর অবস্থার অবনতি ঘটতে থাকলে রোচেস্টারের জনসংখ্যা-ও কমতে শুরু করে। কিন্তু স্বাস্থ্য ও প্রযুক্তি খাতের উন্নয়ন একে নিকটবর্তী পিটসবুর্গ ও বাফেলো শহরের মত অর্থনৈতিক মন্দার মুখে ফেলে দেয়নি।
রচেস্টার শহরটি সাংস্কৃতিক গরিমার জন্যও প্রসিদ্ধি লাভ করেছে। ইস্টম্যান স্কুল অব মিউজিক ও রচেস্টার আন্তর্জাতিক জাজ উৎসব এর সাংগীতিক ঐতিহ্যের এক অনন্য বহিঃপ্রকাশ। [6] এখানে "স্ট্রং ন্যাশনাল মিউজিয়াম অব প্লে"ও "জর্জ ইস্টম্যান জাদুঘরের" মত বিশ্ববিখ্যাত জাদুঘর অবস্থিত। জাদুঘরগুলো বিশ্বের বৃহত্তম আলোকচিত্র সংগ্রহশালার স্বীকৃতি পেয়েছে। [7] জীবনযাত্রার মান ও বসবাসযোগ্যতার দিক দিয়ে রোচেস্টার যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম শ্রেষ্ঠ শহর। [8] এছাড়াও রোচেস্টার বৈশ্বিক শহরের স্বীকৃতি পেয়েছে।[9]