এ. পি. জে. আবদুল কালাম
ভারতীয় বিজ্ঞানী এবং ভারতের একাদশ রাষ্ট্রপতি / From Wikipedia, the free encyclopedia
আভুল পাকির জয়নুলাবেদিন আবদুল কালাম (বাংলা: [abdul kalam]; তামিল: அவுல் பக்கிர் ஜைனுலாபுதீன் அப்துல் கலாம்; ১৫ অক্টোবর ১৯৩১ - ২৭ জুলাই ২০১৫) একজন ভারতীয় পরমাণু বিজ্ঞানী ছিলেন যিনি ভারতীয় প্রজাতন্ত্রের একাদশ রাষ্ট্রপতি (২০০২ - ২০০৭) হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। তাঁর জন্ম বর্তমান ভারতের তামিলনাড়ু রাজ্যের রামেশ্বরমে। তিনি পদার্থবিদ্যা বিষয়ে সেন্ট জোসেফস কলেজ থেকে এবং বিমান প্রযুক্তিবিদ্যা (এরোনটিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং) বিষয় নিয়ে মাদ্রাজ ইন্সটিটিউট অব টেকনোলজি (এমআইটি) থেকে পড়াশোনা করেছিলেন। চল্লিশ বছর তিনি প্রধানত রক্ষা অনুসন্ধান ও বিকাশ সংগঠন (ডিআরডিও) ও ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থায় (ইসরো) বিজ্ঞানী ও বিজ্ঞান প্রশাসক হিসেবে কাজ করেন। ভারতের অসামরিক মহাকাশ কর্মসূচি ও সামরিক সুসংহত নিয়ন্ত্রিত ক্ষেপণাস্ত্র উন্নয়ন কর্মসূচির সঙ্গে তিনি যুক্ত ছিলেন।[1] ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ও উৎক্ষেপক যান রকেট উন্নয়নের কাজে তার অবদানের জন্য তাকে ‘ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র মানব’ বা ‘মিসাইল ম্যান অফ ইন্ডিয়া’ বলা হয়।[2]
এ. পি. জে. আবদুল কালাম | |
---|---|
ভারতের একাদশ রাষ্ট্রপতি | |
কাজের মেয়াদ ২৫ জুলাই, ২০০২ – ২৫ জুলাই, ২০০৭ | |
প্রধানমন্ত্রী | অটলবিহারী বাজপেয়ী মনমোহন সিংহ |
উপরাষ্ট্রপতি | কৃষ্ণ কান্ত ভৈরোঁ সিং শেখাওয়াত |
পূর্বসূরী | কে. আর. নারায়ণন |
উত্তরসূরী | প্রতিভা দেবীসিংহ পাটিল |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
জন্ম | আভুল পাকির জয়নুলাবেদিন আবদুল কালাম (১৯৩১-১০-১৫)১৫ অক্টোবর ১৯৩১ রামেশ্বরম, রামনাথস্বামী জেলা, মাদ্রাজ প্রেসিডেন্সি, ব্রিটিশ ভারত (অধুনা ভারতের তামিলনাড়ু রাজ্যে) |
মৃত্যু | ২৭ জুলাই ২০১৫(2015-07-27) (বয়স ৮৩) শিলং, মেঘালয়, ভারত |
মৃত্যুর কারণ | হৃদরোগ |
জাতীয়তা | ব্রিটিশ ভারতীয় (১৯৩১-১৯৪৭) ভারতীয় (১৯৪৭-২০১৫) |
প্রাক্তন শিক্ষার্থী | সেন্ট জোসেফস কলেজ, তিরুচিরাপল্লি মাদ্রাজ ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি |
জীবিকা | অধ্যাপক লেখক বিমান প্রযুক্তিবিদ |
ধর্ম | ইসলাম |
স্বাক্ষর | |
ওয়েবসাইট | abdulkalam.com |
১৯৯৮ সালে পোখরান-২ পরমাণু বোমা পরীক্ষায় তিনি প্রধান সাঙ্গঠনিক, প্রযুক্তিগত ও রাজনৈতিক ভূমিকা পালন করেন। এটি ছিলো ১৯৭৪ সালে স্মাইলিং বুদ্ধ নামে পরিচিত প্রথম পরমাণু বোমা পরীক্ষার পর দ্বিতীয় পরমাণু বোমা পরীক্ষা।[3]
২০০২ সালে কালাম তৎকালীন শাসকদল ভারতীয় জনতা পার্টি ও বিরোধী দল ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের সমর্থনে রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন। পাঁচ বছর এই পদে আসীন থাকার পর তিনি শিক্ষাবিদ, লেখক ও জনসেবকের সাধারণ জীবন বেছে নেন। ভারতের সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মান ভারতরত্নসহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ সম্মান ও পুরস্কার পেয়েছিলেন কালাম।তাঁর বিজ্ঞানের কৃতিত্ব ও রাষ্ট্রপতি হিসেবে তাঁর দায়িত্ব পালন ভারতের কাছে স্মরণীয়।