ঐতিহাসিক কাহিনী
From Wikipedia, the free encyclopedia
ঐতিহাসিক কাহিনি একটি সাহিত্যবর্গ যেটাতে গল্পের ঘটনাগুলো ঘটে অতীতের কোনো স্থানে। ঐতিহাসিক কাহিনি শব্দবন্ধটি দ্ব্যর্থবোধক হতে পারে, কারণ প্রায়ই ঐতিহাসিক উপন্যাস বোঝাতে এটি প্রয়োগ করা হয়। প্রকৃতপক্ষে অন্যান্য বর্ণনাধর্মী মাধ্যম, যেমন পারফর্মিং আর্টস এবং দৃশ্যশিল্প- থিয়েটার, অপেরা, সিনেমা, টেলিভিশন, কমিকস ও গ্রাফিক নভেল সবকিছুর ক্ষেত্রেই শব্দবন্ধটি ব্যবহার করা যায়।
ঐতিহাসিক কাহিনির একটি অপরিহার্য উপাদান হলো এটি অতীতে সংঘটিত হবে এবং সেকালের রীতিনীতি ও সংস্কৃতির খুঁটিনাটি ফুটিয়ে তুলবে।[1] লেখকেরা মাঝেমধ্যে উল্লেখযোগ্য ঐতিহাসিক ব্যক্তিত্বদেরকে গল্পে হাজির করেন, এতে পাঠক ধারণা করে নিতে পারে যে তারা কীভাবে যুগের সাথে মানিয়ে চলতেন। কিছু উপবর্গ, যেমন বিকল্প ইতিহাস বা ঐতিহাসিক ফ্যান্টাসিতে উপন্যাসের মধ্যে কল্পসাহিত্য বা অনৈতিহাসিক উপাদান মেশানো হয়।
ঐতিহাসিক কল্পকাহিনি কখনো কখনো পাঠকদের কাছে বস্তুনিষ্ঠতার অভাবে ও ইতিহাসগত ভুলের কারণে অভিযুক্ত হয়। কল্পকাহিনি এবং ঐতিহাসিকতার মধ্যে এই টানাপোড়নে পাঠক ও জনপ্রিয় সমালোচকরা বহু মন্তব্য করলেও পণ্ডিত সাহিত্য সমালোচকগণ এসব এড়িয়ে বর্গটিকে এর অন্যান্য থিমেটিক ও সাহিত্যিক আলোকে বিচার করে থাকেন।
পশ্চিমা সাহিত্য বর্গের সমসাময়িক এই ধারাটির ভিত্তি স্থাপন করেন ১৯ শতকে ইংরেজ স্যার ওয়াল্টার স্কট, ফরাসী অনরে দ্য বালজাক, মার্কিন জেমস ফেনিমোর কুপার এবং পরবর্তীতে রুশ লিও তলস্তয়। অবশ্য অনেক আগে থেকেই পাশ্চাত্যে গ্রীক ও রোমান সাহিত্যের উত্তরাধিকার সূত্রে এবং প্রাচ্যে লোককথা, মহাকাব্য বা নাটকের মধ্য দিয়ে "ইতিহাস" এবং "কল্পকাহিনি" মেশানোর একটি প্রচলন ছিল। ২০ শতকে এসে তাতে নতুনত্ব যোগ হয়।