বিজ্ঞান কল্পকাহিনী
বিজ্ঞানভিত্তিক সাহিত্য / From Wikipedia, the free encyclopedia
বিজ্ঞান কল্পকাহিনী (কখনও কখনও SF বা sci-fi-তে সংক্ষিপ্ত করা হয়) হল অনুমানমূলক কল্পকাহিনীর একটি ধারা, যা সাধারণত উন্নত বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, মহাকাশ অনুসন্ধান, সময় ভ্রমণ, সমান্তরাল মহাবিশ্ব এবং বহির্জাগতিক জীবনের মতো কল্পনাপ্রসূত এবং ভবিষ্যত ধারণা নিয়ে কাজ করে। এটি ফ্যান্টাসি, হরর এবং সুপারহিরো কথাসাহিত্যের সাথে সম্পর্কিত এবং এতে অনেকগুলি উপশৈলী রয়েছে। এর সঠিক সংজ্ঞা নিয়ে লেখক, সমালোচক, পণ্ডিত এবং পাঠকদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিতর্ক রয়েছে।
বিজ্ঞান কল্পকাহিনী, বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী বা কল্পবিজ্ঞান আধুনিক কল্পসাহিত্যের একটি বিশেষ শাখা বা শ্রেণী, যাতে ভবিষ্যৎ বৈজ্ঞানিক বা প্রযুক্তিগত আবিষ্কার ও উদ্ভাবন এবং মানব সভ্যতাকে কেন্দ্র করে পটভূমি রচনা করা হয়। মানব সভ্যতা মধ্যযুগে থেকে আধুনিক যুগে প্রবেশের সময় যে বৈজ্ঞানিক বিপ্লবের সৃষ্টি হয় তার অনিবার্য ফসল ছিল বিজ্ঞান কল্পকাহিনী। ইংরেজিতে একে “সাইন্স ফিকশন” বলা হয়। বাংলা ভাষায় প্রথম বিজ্ঞান কল্পকাহিনী লেখা শুরু হয় ঊনবিংশ শতাব্দীতে। বাংলা বিজ্ঞান কল্পকাহিনী সাহিত্যের অগ্রদূত বলা যায় জগদানন্দ রায়কে; তিনি শুক্র ভ্রমণ নামক একটি জনপ্রিয় বই লিখেছিলেন। অন্যান্য লেখকদের মধ্যে লীলা মজুমদার, ক্ষিতীন্দ্রনারায়ন ভট্টাচার্য, প্রেমেন্দ্র মিত্র, সত্যজিত রায়, অদ্রীশ বর্ধন, সিদ্ধার্থ ঘোষ-এর নাম প্রাসঙ্গিক। বিজ্ঞানী জগদীশ চন্দ্র বসুও একটি কল্পবিজ্ঞান গল্প লিখেছেন পলাতক তুফান নামে।