যশোদাবেন মোদি
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর স্ত্রী / From Wikipedia, the free encyclopedia
যশোদাবেন নরেন্দ্রভাই মোদী (জন্ম ১৯৫২) হচ্ছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর স্ত্রী। ঐতিহ্য অনুসারে তারা শিশু থাকা অবস্থায় উভয় পরিবারের আয়োজনে তাদের বিয়ে অনুষ্ঠিত হয়। ১৯৬৮ সালে তাদের বিয়ের সময় নরেন্দ্র মোদীর বয়স ছিলো ১৮[3] এবং যশোদাবেনের ১৬।[2] বিয়ের কিছুদিন পরে নরেন্দ্র মোদী যশোদাবেনকে ছেড়ে তিন বছরের জন্য সন্যাসব্রত পালনের উদ্দেশ্যে জন্য গৃহত্যাগ করেন। পরবর্তী জীবনে তিনি তার কাকার ব্যবসায় কাজ শুরু ও সরকারি অফিসে চাকরি করলেও যশোদাবেনকে স্ত্রী হিসেবে গ্রহণ করেননি।[4] আনুষ্ঠানিক ভাবে তিনি প্রথম বারের মতো তার বিয়ের কথা স্বীকার করেন ২০১৪ সালে, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য প্রচারণা প্রাক্কালে। যশোদাবেন নিজেকে নরেন্দ্র মোদীর স্ত্রী হিসেবে পরিচয় দিয়ে থাকেন। তিনি বিয়ের পরেও তার পড়াশোনা চালিয়ে যান ও শিক্ষাজীবন শেষ করেন এবং পরবর্তীতে শিক্ষকতাকে পেশা হিসেবে বেছে নেন।[5]
যশোদাবেন নরেন্দ্রভাই মোদী[1] | |
---|---|
ভারতের প্রধানমন্ত্রীর দাম্পত্য সঙ্গী | |
দায়িত্বাধীন | |
অধিকৃত কার্যালয় ২৬ মে ২০১৪ | |
পূর্বসূরী | গুরুশরণ কাউর |
গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রীর দাম্পত্য সঙ্গী | |
কাজের মেয়াদ ৭ অক্টোবর ২০০১ – ২২ মে ২০১৪ | |
পূর্বসূরী | লীলা প্যাটেল |
উত্তরসূরী | মাফাটলাল প্যাটেল |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
জন্ম | ১৯৫২ (বয়স ৭১–৭২)[2] ব্রহ্মওয়াদা, বোম্বে প্রদেশ (বর্তমানে গুজরাত), ভারত |
জাতীয়তা | ভারতীয় |
দাম্পত্য সঙ্গী | নরেন্দ্র মোদী (বি. ১৯৬৮)[3] |
পেশা | শিক্ষক (অবসরপ্রাপ্ত) |
ধর্ম | হিন্দু |
শিক্ষকতা থেকে অবসর গ্রহণ করার পর যশোদাবেন খুবই সাধারণ জীবন যাপন করেন, যেখানে তার বেশিরভাগ সময় কাটে প্রার্থনা করে।[6] প্রধানমন্ত্রীর স্ত্রী হিসেবে তিনি সরকারের একটি অংশ এবং সরকারিভাবে তাকে নিরাপত্তা প্রদান করা হয়, কিন্তু নিরাপত্তাকর্মীদের দায়িত্ব বা এই অবস্থানে থেকে তার অধিকার কী সে সম্পর্কে তিনি অবগত নন।[7] ভারতীয় সমাজে নারী ও পুরুষের সম্পর্কের ক্ষেত্রে যশোদাবেনের সাথে মোদীর এই বিয়ের বিতর্ক ভারতের গণমাধ্যমের অন্যতম আলোচিত একটি বিষয়।