Loading AI tools
এক ধরনের পাহাড় যার ভেতর দিয়ে ভূ-গর্ভস্থ উত্তপ্ত গলিত পাথর, ছাই এবং গ্যাস বেরিয়ে আসে উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
আগ্নেয়গিরি হল বিশেষ ধরনের পাহাড় যার ভেতর দিয়ে ভূ-অভ্যন্তর থেকে 'ম্যাগমা' নামক উত্তপ্ত ও গলিত পাথর, ছাই এবং গ্যাসের মিশ্রণ বেরিয়ে আসতে পারে। এটি একটি ভৌগোলিক প্রক্রিয়া। কোনো কোনো ফাটল বা ছিদ্রপথ দিয়ে ভূগর্ভস্থ গরম বাতাস, জলীয় বাষ্প, গলিত শিলা, কাদা, ছাই, গ্যাস প্রবল বেগে বেরিয়ে আসে। নির্গত এই সকল পদার্থ ভূপৃষ্ঠের শীতল বায়ুর সংস্পর্শে এসে দ্রুত ঠান্ডা হয়ে কঠিন আকার ধারণ করে যার কিছুটা ফাটলের চারপাশে এসে ধীরে ধীরে জমা হয়ে মোচাকৃতি আকার ধারণ করে। তখন একে "আগ্নেয়গিরি" বলে। আগ্নেয়গিরি থেকে ভূগর্ভস্থ পদার্থের নির্গমনকে বলা হয় অগ্ন্যুৎপাত। আগ্নেয়গিরির বহিঃস্থ যে মুখ বা নির্গমনপথ দিয়ে অগ্ন্যুৎপাত ঘটে, তাকে জ্বালামুখ বলে। প্রতি বছর প্রায় ৬০টি আগ্নেয়গিরির অগ্নুৎপাত ঘটে।[1]
বর্তমানে পৃথিবীতে প্রায় অর্ধ সহস্র সক্রিয় বা জীবন্ত আগ্নেয়গিরি আছে। যেসমস্ত আগ্নেয়গিরি থেকে অগ্ন্যুৎপাতের কোনও সম্ভাবনা নেই, তাদেরকে মৃত বা নির্বাপিত আগ্নেয়গিরি বলে। এছাড়াও বর্তমানে সক্রিয় নয়, কিন্তু ভবিষ্যতে অগ্ন্যুদ্গীরণ করতে পারে, এমন আগ্নেয়গিরিকে সুপ্ত আগ্নেয়গিরি বলে।
ভূত্বকে ফাটল দেখা দিলে, ভূত্বকের কোনও দুর্বল ছিদ্রপথ থাকলে, কিংবা ভূগর্ভের তরল শিলা ও চাপ বৃদ্ধি পেলে অগ্ন্যুৎপাত হতে পারে। অগ্ন্যুৎপাতের কারণে আকাশে ছাই ও বায়বীয় গ্যাস জাতীয় পদার্থের মেঘ তৈরি হতে পারে। সমুদ্রের মাঝেও আগ্নেয়গিরি সৃষ্টি হতে পারে। ভূ অভ্যন্তরে সঞ্চিত তরল শিলাকে বলে ম্যাগমা, আর যে তরল শিলা ভূ পৃষ্ঠের বাইরে বেরিয়ে আসে তাকে বলে লাভা।
উদ্গীরণ ক্ৰিয়ার ওপর নিৰ্ভর করে আগ্নেয়গিরিকে প্ৰধানত তিন ভাগে ভাগ করা হয়:
১। জাগ্ৰত (Active) — যেসব আগ্নেয়গিরির মুখে সদায় নিয়মিত ভাবে ধোঁয়া,ছাই,গলিত লাভা, গ্যাস থাকে,সেসকল আগ্নেয়গিরিকে জাগ্ৰত আগ্নেয়গিরি বলে৷ যেমন সিসিলির এটনা পর্বত। জাগ্ৰত আগ্নেয়গিরিকে আবার দুইভাগে ভাগ করা যায়, যথা:
২। সুপ্ত (Dorment) — যেসকল আগ্নেয়গিরির আগে উদগীরণ হয়েছিল,কিন্তু বৰ্তমানে সক্ৰিয় অবস্থায় নেই, কিন্তু যেকোন সময় উদ্গীরণ হবার সম্ভাবনা আছে, সেসব আগ্নেয়গিরিকে সুপ্ত আগ্নেয়গিরি বলে; যেমন জাপানের ফুজি পর্বত৷
৩। লুপ্ত (Extinct) — যেসসব আগ্নেয়গিরি কোন এক সময় জাগ্ৰত ছিল কিন্তু আগামীতে বা ভবিষ্যতে এর অগ্ন্যুৎপাত হবার কোনো সম্ভাবনা নাই,সেসকল আগ্নেয়গিরিকে লুপ্ত আগ্নেয়গিরি বলা হয়; যেমন তানজানিয়া কিলিমাঞ্জারো৷ কখনো কখনো লুপ্ত ও সুপ্ত আগ্নেয়গিরির মুখে জল জমা হয়ে একটা হ্ৰদের সৃষ্টি হয়৷ একে ধরনের হ্ৰদকে আগ্নেয়গিরি হ্ৰদ বলে৷
আগ্নেয়গিরির উৎপত্তির কারণ এখনো অনিশ্চিত অবস্থায় আছে যদিও ভূমিকম্পে দেবে আগ্নেয়গিরি সৃষ্টি হবার মূল কারণ হল —
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.
Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.