আত্মহত্যার হার অনুযায়ী দেশের তালিকা
উইকিমিডিয়া নিবন্ধের তালিকা / From Wikipedia, the free encyclopedia
নিচে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কর্তৃক তৈরিকৃত আত্মহত্যার হার অনুযায়ী দেশের তালিকা দেয়া হল। এই তালিকায় একটি দেশের অবস্থান নির্ধারিত হয়েছে সাম্প্রতিক বছরে সেই দেশের সরকারি ভাবে লিপিবদ্ধ আত্মহত্যার ঘটনাসমূহের হারের উপর ভিত্তি করে। এটি সর্বশেষ ২০১১ সালে হালনাগাদ করা হয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এই পরিসংখ্যান স্ব-স্ব দেশের সরকারি উপাত্তের উপর ভিত্তি করে তৈরি হয়েছে। তাই এটি কোন দেশের নিজস্ব পরিসংখ্যানের চেয়ে যথার্থ হতে পারে না।
এই নিবন্ধটি মেয়াদোত্তীর্ণ। (মার্চ ২০১৬) |
সাধারণভাবে যতগুলো আত্মহত্যার ঘটনা ঘটে তার চেয়ে অনেক কম সংখ্যকই লিপিবদ্ধ করা হয়। এর কারণ হিসাবে মূলত সামাজিক ও ধর্মীয় চাপকে দায়ী করা যায়। আবার এমন কিছু অঞ্চল আছে যেখানে আত্মহত্যার ঘটনা লিপিবদ্ধই করা হয় না। যেহেতু সব দেশের প্রকৃত হার জানা যায় না, তাই পরিসংখ্যানগত দিক দিয়ে জাতিভিত্তিক আত্মহত্যা হারের তুলনা বাঞ্ছনীয় নয়। উদাহরণ হিসাবে বলা যায়, নেপালে আত্মহত্যা আইনগত ভাবে নিষিদ্ধ। তাই কেউ আত্মহত্যার চেষ্টা করলে তাকে কারাভোগ করতে হয় অথবা অর্থদণ্ড দিতে হয় এবং ক্ষেত্রবিশেষে উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হতে হয়। তাই স্বাভাবিকভাবেই নেপালে আত্মহত্যার ঘটনা কম লিপিবদ্ধকরণ হয়ে থাকে। [1]
নারী এবং পুরুষের আত্মহত্যার হার যথাক্রমে দেশে মোট নারীর সংখ্যা ও মোট পুরুষের সংখ্যার মধ্যে করা হয়েছে (অর্থাৎ মোট পুরুষ আত্মহত্যাকারীর সংখ্যাকে দেশের মোট পুরুষের সংখ্যা দ্বারা ভাগ করা হয়েছে )। কোন দেশের মোট আত্মহত্যাকারীর সংখ্যাকে সেই দেশের মোট জনসংখ্যা দ্বারা ভাগ করে সর্বমোট আত্মহত্যার হার বের করা হয়েছে। এক্ষেত্রে সর্বমোট আত্মহত্যার হার বের করতে নারী এবং পুরুষ আত্মহত্যা হারের গড় করা হয় নি কেননা সব দেশের নারী পুরষের অণুপাত সমান নয়। তালিকায় যে সাল নির্দেশিত হয়েছে, সেটি সেই দেশের জন্য সবচেয়ে সাম্প্রতিক।