![cover image](https://wikiwandv2-19431.kxcdn.com/_next/image?url=https://upload.wikimedia.org/wikipedia/commons/thumb/e/e3/Raja_Ravi_Varma_-_Sankaracharya.jpg/640px-Raja_Ravi_Varma_-_Sankaracharya.jpg&w=640&q=50)
আদি শঙ্কর
৮ম শতাব্দীর হিন্দু ধর্মগুরু ও সাধক / From Wikipedia, the free encyclopedia
আদি শঙ্কর (সংস্কৃত: आदिशङ्करः) ছিলেন একজন ভারতীয় দার্শনিক। ভারতীয় দর্শনের অদ্বৈত বেদান্ত নামের শাখাটিকে তিনি সুসংহত রূপ দেন।[2] তার শিক্ষার মূল কথা ছিল আত্মা ও ব্রহ্মের সম্মিলন। তার মতে ব্রহ্ম হলেন নির্গুণ।[3]
আদি শংকরাচার্য | |
---|---|
![]() আদি শঙ্কর ও তাঁর শিষ্যগণ, রাজা রবি বর্মা (১৯০৪) | |
ব্যক্তিগত তথ্য | |
জন্ম | শঙ্কর 788 AD(মতান্তর)[1] |
মৃত্যু | |
জাতীয়তা | ভারতীয় |
এর প্রতিষ্ঠাতা | দশনামী সম্প্রদায়, অদ্বৈত বেদান্ত, ষন্মত |
দর্শন | অদ্বৈত বেদান্ত |
ঊর্ধ্বতন পদ | |
গুরু | গোবিন্দ ভাগবতপাদ |
যাদের প্রভাবিত করেন | |
সাহিত্যকর্ম | বিবেকচূড়ামণি |
সম্মান | অদ্বৈত বেদান্ত ধর্মমতের ব্যাখ্যা ও প্রসার |
আদি শঙ্কর অধুনা কেরল রাজ্যের কালাডি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তিনি সারা ভারত পর্যটন করে অন্যান্য দার্শনিকদের সঙ্গে আলোচনা ও বিতর্কে অংশগ্রহণের মাধ্যমে নিজের দার্শনিক মতটি প্রচার করেন। তিনি চারটি মঠ প্রতিষ্ঠা করেন। এই মঠগুলি অদ্বৈত বেদান্ত দর্শনের ঐতিহাসিক বিকাশ, পুনর্জাগরণ ও প্রসারের জন্য বহুলাংশে দায়ী। শঙ্কর নিজে অদ্বৈত বেদান্ত দর্শনের প্রধান প্রবক্তা হিসেবে খ্যাত।[2] এছাড়া তিনি হিন্দু সন্ন্যাসীদের দশনামী সম্প্রদায় ও হিন্দুদের পূজার সন্মত নামক পদ্ধতির প্রবর্তক।
সংস্কৃত ভাষায় লেখা আদি শংকরাচার্যের রচনাবলির প্রধান লক্ষ্য ছিল অদ্বৈত তত্ত্বের প্রতিষ্ঠা। সেযুগে হিন্দু দর্শনের মীমাংসা শাখাটি অতিরিক্ত আনুষ্ঠানিকতার উপর জোর দিত এবং সন্ন্যাসের আদর্শকে উপহাস করত। আদি শঙ্কর উপনিষদ্ ও ব্রহ্মসূত্র অবলম্বনে সন্ন্যাসের গুরুত্ব তুলে ধরেন। তিনি উপনিষদ্, ব্রহ্মসূত্র ও ভগবদ্গীতার ভাষ্যও রচনা করেন। এই সব বইতে তিনি তার প্রধান প্রতিপক্ষ মীমাংসা শাখার পাশাপাশি হিন্দু দর্শনের সাংখ্য শাখা ও বৌদ্ধ দর্শনের মতও খণ্ডন করেন।[4][5][6]