Loading AI tools
আজারবাইজানী সুরকার উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
আফরাসিয়াব বাদাল অগলু বাদালবেয়লি (আজারবাইজানি: Əfrasiyab Bədəlbəyli) ১৯ এপ্রিল ১৯০৭, বাকু – ৬ জানুয়ারি ১৯৭৬, বাকু) ছিলেন সোভিয়েত আজারবাইজানি সুরকার; তার পূর্বসূরীরা ছিল সম্ভ্রান্ত ইরানি ( বাহমান মির্জা এবং আব্বাস মির্জা'র বংশধর তিনি)। পাশাপাশি তিনি ছিলেন সঙ্গীত সমালোচক এবং পরিচালক, সঙ্গীত লেখক এবং যাত্রাগানের বই গিজ গালাসি (অকলুষিত মিনার) লেখক যা প্রথম আজারবাইজানি নৃত্য নাট্য এবং মুসলিম প্রাচ্যের প্রথম নৃত্য নাট্য। [1]
আফরাসিয়েব বাদালবেয়লি ১৯০৭ সালে বাদাল এবং রহিমা বাদালবেয়লির ঘরে শুশা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। সেই সময়, বাদালবেয়লি'র পরিবার বিখ্যাত সঙ্গিতজ্ঞ পরিবার হিসেবে খ্যাতি লাভ করতে শুরু করে। তার বাবা বাদালের বাবা, বাদাল বে বাদালবেয়লি ছিলেন মুঘাম বিশেষজ্ঞ পাশাপাশি তিনি বাকুতে অবস্থিত রুশো-টারটারের এক বিদ্যালয়ের সঙ্গীত শিক্ষক; এছাড়াও তিনি তার চাচাতো ভাই উজেয়ির হাজিবেয়ভকে আজারবাইজানে প্রথম থিয়েটার প্রতিষ্ঠা করতে সাহায্য করেন।[2][3] আফরাসিয়াব বাদালবেয়লি এর চাচা আহমেদ বাদালবেয়লি(আগদামস্কি) ছিলেন একজন বিখ্যাত অপেরা সঙ্গীত (একধরনের ইউরোপী উচ্চাঙ্গ সঙ্গীত) শিল্পী।আফরিসিয়াবের ভাই শামসি বাদালবেয়লি পরবর্তীতে একজন সঙ্গীত পরিচালকে পরিণত হয়। ১৯৩০ সালে, আফরাসিয়াব বাদাল্বেয়লি আজারবাইজান স্টেট বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রাচ্য সম্পর্কীয় বিষয়ের উপর স্নাতক লাভ করেন[4], এবং পরবর্তীতে তিনি লেনিনগ্রাদ সঙ্গীত শিক্ষালয় (লেনিনগ্রাদ কনজারভেটরি) কর্তৃক অনুমোদিত একটি বিদ্যালয়ে তার পড়ালেখা চালিয়ে যান, এবং উক্ত বিদ্যালয়ে তার পড়ালেখা ১৯৩৯ সালে শেষ হয়। তিনি আজারবাইজান স্টেট অপেরা এন্ড ব্যালেট থিয়েটারে ১৯৩০ সালে পরিচালক হিসেবে কাজ করা শুরু করেন।[5] তিনি ১৯৩১ সালে ব্যালে নর্তকী (নাট্য নৃত্যের নর্তকী) গামার আলমাসযাদেহ্ কে বিয়ে করেন যিনি নিজে লেনিনগ্রাদে ( একটি প্রফেশনাল ব্যালে বিদ্যালয়ে) উচ্চ শিক্ষা গ্রহণ করার সময়ও বাদালবেয়লিকে সঙ্গ দেন। কোনো এক কারণে তাদের এই বিবাহ বন্ধন ভেঙে যায় এবং এর ফলে বাদালবেয়লি পরবর্তীতে আবার বিয়ে করেন।
১৯২৮ সালে বাদালবেয়লির সঙ্গীতের কর্মজীবন শুরু হয় প্রথমবারের মতো যখন তিনি জাফর জাব্বারলির জন্য স্টেজ নৃত্যের একটি গান (ওড গালিনি) রচনা করেন। তাছাড়াও তিনি প্রথম আজারবাইজানি ব্যালে (নাট্য নৃত্য)- গিজ গালাসি(অকলুষিত মিনার) রচনার জন্য সমাদৃত; এটি তিনি ১৯৪০ সালে কম্পোজ করেন। উক্ত ব্যালে গামার আলমাজাদেহকে উত্সর্গ করা হয়।[6] তার পরবর্তী কাজগুলোর মধ্যে আছে খাল্গ গাযাবি ("জনগণের ক্রোধ", ১৯৪১, সহ লেখক বরিস যাইদমান),নিজামি(১৯৪৮) এবং সয়ুদলার আঘলামায ("উইলোরা কাঁদেনাঃ, ১৯৭১)। তিনি আজারবাইজানি অপেরা বাহাদির ভা সোনা এবং গিয গালাসি, গারাজা গিয("নিগেলা") ও গিযিল আখার ("সোনার চাবি") এর জন্য যাত্রা গানের বই রচনা করেন। থিয়েটারের বিভিন্ন কার্যক্রমের জন্য তিনি ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক তৈরী করেন এবং সে সময়কার একমাত্র যাত্রাগানের বইয়ের অনুবাদক ছিলেন তিনি। পায়র চাইকোভোস্কি, গিয়োচ্চানিয়ো রোসিনি, আরমেন তিগারনায়ন এবং জাকারিয়া পালিয়াশভিলির অপেরা সঙ্গীতবিশিষ্ট যাত্রাগানের বই আজেরিতে অনুবাদ করেন। ১৯৫০ থেকে ১৯৬০ পর্যন্তি তিনি আজারবাইজানের উচ্চাঙ্গ সঙ্গীতের ইতিহাস এবং উন্নতি নিয়ে কিছু বই লিখেন, এদের নামঃ ডিসকাশন অন মিউজিক, গুরবান পিরিমোভ, মিউজিক্যাল ডিকশেনারি, এবং দ্য আজারবাইজান স্টেট অপেরা এন্ড ব্যালেট থিয়েটার। ১৯৬০ সালে তিনি আজারবাইজানের জন সঙ্গীতশিল্পী উপাধিতে ভূষিত হন। তিনি মৃত্যুর আগ পর্যন্ত (১৯৭৬) অপেরা এবং ব্যালে থিয়েটারে পরিচালক হিসেবে কাজ করেন।
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.
Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.