![cover image](https://wikiwandv2-19431.kxcdn.com/_next/image?url=https://upload.wikimedia.org/wikipedia/commons/thumb/8/82/Archie_MacLaren.jpg/640px-Archie_MacLaren.jpg&w=640&q=50)
আর্চি ম্যাকলারেন
ইংরেজ ক্রিকেটার / From Wikipedia, the free encyclopedia
আর্চিবল্ড ক্যাম্পবেল আর্চি ম্যাকলারেন (ইংরেজি: Archie MacLaren; জন্ম: ১ ডিসেম্বর, ১৮৭১ - মৃত্যু: ১৭ নভেম্বর, ১৯৪৪) ল্যাঙ্কাশায়ারের হোয়ালিরেঞ্জ এলাকায় জন্মগ্রহণকারী বিখ্যাত ইংরেজ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট তারকা ছিলেন। ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। এছাড়াও, ১৮৯৮ থেকে ১৯০৯ সালের মধ্যে বিভিন্ন সময়ে ইংল্যান্ড দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন ‘আর্চি’ ডাকনামে পরিচিত আর্চি ম্যাকলারেন। সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে ৩৫ টেস্টে অংশ নিয়েছেন। তন্মধ্যে, ২২ টেস্টে দলকে পরিচালনা করার সুযোগ পেয়েছেন। তবে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে অ্যাশেজের চার সিরিজে পরাজিত হয় তার দল। দলে তিনি মূলতঃ ডানহাতি ব্যাটসম্যানের দায়িত্ব পালন করতেন তিনি।
![]() ১৯০৫ সালের সংগৃহীত স্থিরচিত্রে আর্চি ম্যাকলারেন | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | আর্চিবল্ড ক্যাম্পবেল ম্যাকলারেন | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | (১৮৭১-১২-০১)১ ডিসেম্বর ১৮৭১ হোয়ালি রেঞ্জ, ম্যানচেস্টার, ল্যাঙ্কাশায়ার, ইংল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
মৃত্যু | ১৭ নভেম্বর ১৯৪৪(1944-11-17) (বয়স ৭২) ব্রাকনেল, বার্কশায়ার, ইংল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ডাকনাম | আর্চি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | ডানহাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
সম্পর্ক |
| |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টেস্ট অভিষেক (ক্যাপ ৯২) | ১৪ ডিসেম্বর ১৮৯৪ বনাম অস্ট্রেলিয়া | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টেস্ট | ১১ আগস্ট ১৯০৯ বনাম অস্ট্রেলিয়া | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ঘরোয়া দলের তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বছর | দল | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৮৯০–১৯১৪ | ল্যাঙ্কাশায়ার | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো, ১৭ নভেম্বর ২০১৭ |
শৌখিন ক্রিকেটার হিসেবে ল্যাঙ্কাশায়ারের পক্ষে প্রথম-শ্রেণীর কাউন্টি ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করতেন ম্যাকলারেন। খেলোয়াড়ী জীবনের অধিকাংশ সময়ই কাউন্টি ক্লাবের অধিনায়কের দায়িত্বে ছিলেন। তিনি তার সময়কালে অন্যতম শীর্ষস্থানীয় ব্যাটসম্যানের মর্যাদা লাভ করেছেন। দ্রুতগতিতে রান তোলার ক্ষেত্রে তার জুড়ি মেলা ভার ছিল। ১৮৯৫ সালে সমারসেটের বিপক্ষে এক ইনিংসেই রান তুলেছিলেন ৪২৪। ১৯২৩ সাল পর্যন্ত প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ রান ও ১৯৯৪ সাল পর্যন্ত ইংরেজ ক্রিকেটে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড হিসেবে টিকেছিল। তার অধিনায়কত্বের বিষয়ে ভিন্নমত পরিলক্ষিত হয়। খেলাকে তিনি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করতেন ও ক্রিকেটবোদ্ধাদের অভিমত, কৌশলগতভাবে তিনি বেশ সফলতার পরিচয় দিয়েছেন। তবে, হতাশা, দল নির্বাচকমণ্ডলীর সাথে তিক্ততাপূর্ণ সম্পর্ক ও সেরা খেলোয়াড়দেরকে তুলে ধরার ব্যর্থতার বিষয়ে অধিকাংশ ধারাভাষ্যকারই দূর্বল নেতৃত্বের পরিচায়ক হিসেবে তাকে মূল্যায়ন করেছেন।
সরকারী বিদ্যালয়ে অধ্যয়নের পর ১৮৯৯ সাল পর্যন্ত বিরামহীনভাবে ল্যাঙ্কাশায়ারের পক্ষে খেলতে থাকেন। এ সময় তিনি খেলাধূলার বাইরে কর্মজীবন সৃষ্টির জন্য অবিরাম চেষ্টা চালাচ্ছিলেন। তাস্বত্ত্বেও ১৮৯৪ সালে কাউন্টি অধিনায়ক মনোনীত হন ও ইংল্যান্ডের পক্ষে ধারাবাহিকভাবে খেলতে থাকেন। ল্যাঙ্কাশায়ারের সহযোগী সচিব হিসেবে নিযুক্তির ফলে ১৯০০ সাল থেকে আরও নিয়মিতভাবে খেলার সুযোগ ঘটে তার। ১৮৯৮ সালে আকস্মিকভাবে প্রথমবারের মতো ইংল্যান্ড দলের পক্ষে অধিনায়ক মনোনীত হন। তবে, ১৮৯৯ সালে নিজ যোগ্যতাবলে অধিনায়কত্বের দায়িত্ব পালন করেন তিনি।
তার নেতৃত্বে ১৮৯৯, ১৯০১-০২ ও ১৯০২ সালে উপর্যুপরী তিনবার ইংল্যান্ড দল অস্ট্রেলিয়ার কাছে পরাজিত হয়েছিল। এ তিনবারের পরাজয়ে ম্যাকলারেন বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে ছিলেন। ফলশ্রুতিতে ১৯০৫ সালে তার কাছ থেকে নেতৃত্ব কেড়ে নেয়া হয়। তবে, তিনি দলের সদস্য ছিলেন। পরবর্তী বছরগুলো ব্যবসার দিকে ধাবিত হলে খেলা ছেড়ে দিতে বাধ্য হন। ১৯০৯ সালে আরও একবার ইংল্যান্ড দলকে নেতৃত্ব দিতে তাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়। তবে, ঐ সিরিজে দল পরাজিত হলে তার টেস্ট খেলোয়াড়ী জীবনের সমাপণ ঘটে। পরের বছর প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে নিয়মিতভাবে খেলাও বন্ধ করে দেন। ১৯২২-২৩ মৌসুম পর্যন্ত মাঝে-মধ্যে খেলতেন। খেলোয়াড়ী শেষদিকে কিছুটা সফলতা পান। নির্বাচিত একটি দলকে নেতৃত্ব দিয়ে পূর্বেকার অপরাজিত অস্ট্রেলিয়া দলকে পরাভূত করেন। ১৯২২-২৩ মৌসুমে সর্বশেষ প্রথম-শ্রেণীর খেলায় অংশ নেন। নিউজিল্যান্ড সফরে মেরিলেবোন ক্রিকেট ক্লাবের পক্ষে খেলে ২০০ রানের ইনিংস উপহার দেন তিনি।
ক্রিকেট, পরিবার ও জীবনমান উন্নয়নে খেলার পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের কাজের জন্য চেষ্টা করেন। বিভিন্ন সময় শিক্ষকতা, সাংবাদিকতা ও কোচের দায়িত্ব পালন করেন। অনেক বছর ল্যাঙ্কাশায়ারের সহকারী সচিব হিসেবে কর্মরত ছিলেন। আর্থিক দিক বিবেচনায় এনে কমিটির কাছ থেকে নগদ অর্থ প্রদানের কথা বলতেন। ফলশ্রুতিতে কমিটির সাথে তার সংঘাতময় সম্পর্ক তৈরী হয়। কে. এস. রণজিত সিংহের ব্যক্তিগত সচিব হিসেবেও বেশ কয়েকবছর কাজ করেছেন। রণজিত সিংহের কর্মচারীদের আর্থিক কেলেঙ্কারীর সাথেও তিনি জড়িয়ে পড়েন। পরবর্তীকালে ম্যাকলারেনের অনেকগুলো ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ড ব্যর্থতায় পর্যবসিত হয়েছিল। দুর্দশাগ্রস্ত অবস্থায় স্ত্রী দিনাতিপাত করলেও তিনি ও তার পরিবার আরামে বসবাস করতো। সমগ্র জীবনে ম্যাকলারেন বিভিন্ন মতানৈক্যের সাথে যুক্ত ছিলেন ও কখনো দলীয় সঙ্গীদের কাছে জনপ্রিয়তা লাভ করেননি। তাস্বত্ত্বেও, তাকে ঘিরে স্বতঃস্ফূর্তভাবে লেখা ক্রিকেট লেখক নেভিল কারদাসের কাছে বীর হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন।