Loading AI tools
অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটার উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
আর্নেস্ট রেমন্ড হার্বার্ট তোশ্যাক (ইংরেজি: Ernie Toshack; জন্ম: ৮ ডিসেম্বর, ১৯১৪ - মৃত্যু: ১১ মে, ২০০৩) নিউ সাউথ ওয়েলসের কোবার এলাকায় জন্মগ্রহণকারী বিখ্যাত অস্ট্রেলীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ছিলেন। অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দলের সদস্য হিসেবে ১৯৪৬ থেকে ১৯৪৮ মেয়াদে টেস্ট ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন তিনি। দলে তিনি মূলতঃ বামহাতি মিডিয়াম পেস বোলিং করতেন ও সঠিক নিশানা এবং শক্তিমত্তা প্রয়োগে নিজস্ব লেগ থিওরি প্রয়োগ করে স্মরণীয় হয়ে আছেন। এছাড়াও, ১৯৪৮ সালে ডন ব্র্যাডম্যানের ‘অপরাজেয়’ বা ‘অজেয় দলের’ সদস্যরূপে ইংল্যান্ড সফর করেন ‘ব্ল্যাক প্রিন্স’ ডাকনামে পরিচিত আর্নি তোশ্যাক। সেখানে দলটি কোন খেলাতেই পরাজিত হয়নি ও তিনি রে লিন্ডওয়াল এবং কিথ মিলারের সাথে নতুন বল দিয়ে অস্ট্রেলিয়ার বোলিং আক্রমণে নেতৃত্ব দিয়েছেন।
ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | আর্নেস্ট রেমন্ড হার্বার্ট তোশ্যাক | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | কোবার, নিউ সাউথ ওয়েলস, অস্ট্রেলিয়া | ৮ ডিসেম্বর ১৯১৪|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
মৃত্যু | ১১ মে ২০০৩ ৮৮) ববিন হেড, নিউ সাউথ ওয়েলস, অস্ট্রেলিয়া | (বয়স|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ডাকনাম | দ্য ব্ল্যাক প্রিন্স | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | ডানহাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | বামহাতি মিডিয়াম-পেস | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ভূমিকা | বিশেষজ্ঞ বোলার | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টেস্ট অভিষেক | ২৯ মার্চ ১৯৪৬ বনাম নিউজিল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টেস্ট | ২২ জুলাই ১৯৪৮ বনাম ইংল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ঘরোয়া দলের তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বছর | দল | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯৪৫-১৯৪৯ | নিউ সাউথ ওয়েলস | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ক্রিকইনফো, ৩০ নভেম্বর ২০১৬ |
স্টেশনমাস্টার পিতার পাঁচ সন্তানের একজন তিনি। কিন্তু ছয় বছর বয়সেই অনাথ হন।[1][2] ফলে লিন্ডহার্স্টের এক প্রতিবেশীর কাছে শৈশবকাল অতিবাহিত করেন। সেখানেই তিনি ক্রিকেট খেলতে শুরু করেন ও কাউরা দলের পক্ষে রাগবি লীগে অংশ নেন।[3] এ পর্যায়ে তোশ্যাক অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে রাগবি লীগে খেলার আগ্রহ প্রকাশ করেন। শৈশবকালীন বন্ধু নিউহ্যাম উভয় খেলায় অংশ নিলেও টেস্ট ক্রিকেটের দিকে ঝুঁকেন। কিন্তু শহরের এক চিকিৎসক তাদেরকে ভুল দিকে ধাবিত হবার কথা জানান ও বালকদ্বয় তার পরামর্শ গ্রহণ করে। পরবর্তীকালে নিঊহ্যাম অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে রাগবি লীগে অংশ নিয়েছিলেন।[4]
আন্তর্জাতিক পর্যায়ের ক্রিকেটে অংশগ্রহণের জন্য তোশ্যাককে বেশ প্রতিযোগিতায় অবতীর্ণ হতে হয়েছিল। শৈশবেই অনাথ হবার ফলে অর্থনৈতিক সঙ্কটের কারণে প্রচণ্ড মর্মবেদনায় ভুগতেন।[3] দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের কারণে তোশ্যাক প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অংশ নিতে পারেননি। অতঃপর বিশ্বযুদ্ধ শেষ হবার পর ত্রিশ বছর বয়সে ১৯৪৫-৪৬ মৌসুমে প্রথমবারের মতো মাঠে নামেন।
শেফিল্ড শিল্ডে মাত্র সাত খেলায় অংশগ্রহণের পর নিউজিল্যান্ড সফরে যাবার জন্য অস্ট্রেলিয়া দলের সদস্য মনোনীত হন। ওয়েলিংটনে তিনি বোলিং উদ্বোধনে নামেন ও খেলাটি স্মারকসূচক শ্রেণী থেকে পরবর্তীতে দুই বছর পর আনুষ্ঠানিকভাবে টেস্ট খেলার মর্যাদা পায়।[3] এরপর দলের নিয়মিত সদস্য হিসেবে ১৯৪৭-৪৮ মৌসুমে ভারতের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজের সবগুলোতেই অংশ নেন। প্রথম টেস্টেই খেলোয়াড়ী জীবনের সেরা টেস্ট পরিসংখ্যান ১১/৩১ গড়েন। কিন্তু এরপর থেকেই হাঁটুর আঘাতে আক্রান্ত হতে থাকেন। চিকিৎসক দল কর্তৃক ৩-২ সম্মতিক্রমে ১৯৪৮ সালে ইংল্যান্ড সফরের জন্য মনোনীত হন।[5] প্রথম চার টেস্টে আঘাতবিহীন অবস্থায় খেলা শেষ করেন তিনি। দীর্ঘদিন মাঠের বাইরে অবস্থান করে ১৯৪৯-৫০ মৌসুমে আবারো অস্ট্রেলিয়া দলে ফিরে আসার চেষ্টা চালান। কিন্তু পুনরায় আঘাতপ্রাপ্তির ফলে জোরপূর্বক অবসর নিতে বাধ্য হন তিনি।
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.
Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.