আলোকবর্ণমিতি
ফটোগ্রাফিক ছবি ও প্যাটার্ন রেকর্ডিং, পরিমাপণ ও ব্যাখ্যা করার প্রক্রিয়া / From Wikipedia, the free encyclopedia
আলোকবর্ণমিতি হচ্ছে তড়িচ্চুম্বকীয় উজ্জ্বল চিত্রকল্পসমূহ ও অন্যান্য ঘটনার ফটোগ্রাফিক ছবিসমূহ ও প্যাটার্নসমূহ রেকর্ডিং, পরিমাপণ ও ব্যাখ্যা করার প্রক্রিয়াগুলোর দ্বারা ভৌত বস্তুসমূহ ও পরিবেশ সম্পর্কে নির্ভরযোগ্য তথ্য পাওয়ার বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি।[1]
আলোকবর্ণমিতি উনবিংশ শতাব্দীর মাঝামাঝি সময়ে, প্রায় একই সময়ে ফটোগ্রাফির সাথে হাজির হয়েছিল। ১৮৪০ সালের দিকে সর্বপ্রথম ফরাসি সার্ভেয়ার ডমিনিক এফ. আরাগো ফটোগ্রাফের ব্যবহার করে টপোগ্রাফিক মানচিত্র তৈরির প্রস্তাবনা দেন। পরিমাপ করার উদ্দেশ্যের জন্য ফটোগ্রাফ ব্যবহার করার ধারণা সর্বপ্রথম ফরাসি আর্মির প্রকৌশলী সেনাবাহিনীর আইমে লঁসেদত এর পরীক্ষা থেকে উদ্ভুত হয়েছিলো, যিনি ১৮৫১ সালে প্রথম পরিমাপকরণের ক্যামেরা বানিয়েছিলেন। তিনি পারস্পেক্টিভ প্রজেকশন হিসেবে ফটোগ্রাফের গাণিতিক বিশ্লেষণের উন্নতিসাধন করেছিলেন, যা টপোগ্রাফিতে এদের ব্যবহার বাড়িয়ে দেয়। [2] প্রায় একই সময়ে (১৮৫৮), কিন্তু লঁসেদত থেকে পৃথকভাবে, জার্মানিতে একটি স্থাপনার দুইটি ফটোগ্রাফের ওপর ভিত্তি করে ইন্টারসেকশন মেথড দ্বারা স্থাপত্যবিদ্যা সম্পর্কিত খুঁটিনাটির জটিল পরিমাপ করতে ম্যাডেনবাওয়ার প্রথম পরীক্ষাসমূহ চালান। [2]
ফটোগ্রামেট্রি শব্দটি প্রুশিয়ান স্থপতি আলব্রেচ ম্যাডেনবাওয়ারের সৃষ্টি,[3] যা তাঁর ১৮৬৭ সালের প্রবন্ধ "ডি ফটোমেট্রোগ্রাফি"-তে প্রকাশিত হয়েছিল।[4]
আলোকবর্ণমিতির বহু প্রকরণ রয়েছে। একটি উদাহরণ হচ্ছে দ্বিমাত্রিক ডেটা থেকে ত্রিমাত্রিক পরিমাপ হিসাবনিকাশ (অর্থাৎ চিত্রসমূহ); উদাহরণস্বরূপ, ফটোগ্রাফিক বিম্ব সমতলের সমান্তরাল একটি সমতলে থাকা দুইটি বিন্দুর মধ্যবর্তী দূরত্ব ছবির মধ্যে তাদের দূরত্ব পরিমাপ করার মাধ্যমে নির্ণয় করা যায়, যদি ছবির স্কেল জানা থাকে। আরেকটি হচ্ছে ফিজিক্যালি বেজড রেন্ডারিং এর উদ্দেশ্যে সঠিক রং পরিসীমা ও মানগুলোর নিষ্কাশন, যা আলবেডো, অনুমিত প্রতিবিম্ব, ধাতবত্ব, বা পারিপার্শ্বিক শোষণের মতো পরিমাপগুলোর প্রতিনিধিত্ব করে।
নিকট-রেঞ্জ আলোকবর্ণমিতি বলতে চিরাচরিত এরিয়াল (বা অরবিটাল) আলোকবর্ণমিতি অপেক্ষা নিকটতর দূরত্ব থেকে তোলা ছবির সংগ্রহকে বুঝায়।
আলোকবর্ণমিতি বিশ্লেষণ একটি ছবিতে প্রয়োগ করা যেতে পারে, অথবা ক্রমবর্ধমান নির্ভুলতার সাথে প্রকৃত ত্রিমাত্রিক আপেক্ষিক গতিসমূহ পরিমাপ করতে পরিমিতি ও চিত্রকল্প বিশ্লেষণের দ্বারা জটিল দ্বিমাত্রিক ও ত্রিমাত্রিক গতিক্ষেত্রসমূহ শনাক্ত, পরিমাপ ও রেকর্ড করতে উচ্চগতি ফটোগ্রাফি ও রিমোট সেন্সিং ব্যবহার করা যেতে পারে।
টপোগ্রাফিক মানচিত্রগুলোতে কনট্যুর রেখাসমূহ প্লট করতে ব্যবহৃত স্টেরিওপ্লটারের প্রারম্ভ থেকে শুরু করে, এটির এখন খুব বিস্তৃত পরিসরের ব্যবহার রয়েছে, যেমনঃ সোনার, রাডার ও লিডার।