ইউনানি
দক্ষিণ এশিয়া ও মধ্য এশিয়ার মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে বিকশিত ঐতিহ্যগত চিকিৎসা পদ্ধতি / From Wikipedia, the free encyclopedia
ইউনানী এক ধরনের ঐতিহ্যগত চিকিৎসা পদ্ধতি যা দক্ষিণ এশিয়ার ও মধ্য এশিয়ার মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে অধিক বিকাশ লাভ করে। এটা পারসিক-আরবি ঔষধ সৃজনপদ্ধতির একটি ঐতিহ্যকে বোঝায়,[1][2] যা গ্রিক চিকিৎসক হিপোক্রেটিস এবং রোমান চিকিৎসক গ্যালেন এর শিক্ষার উপর ভিত্তি করে সৃষ্ট এবং আরব এবং পারসিক চিকিৎসক যেমন, আল রাযী, ইবনে সিনা, আল জাহরাবী, এবং ইবনে আন নাফীস দ্বারা সম্প্রসারিত এবং বিকশিত এক চিকিৎসা ব্যবস্থা ।[3]
ইউনানী ঔষধ চারটি মানসিক অবস্থার(Mi'zaj) ধারণার উপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছে: শ্লেষা ( বলগম), রক্ত (দাম), হলুদ পিত্ত (সাফ্রা) এবং কালো পিত্ত (সাউদা)।[4][5] এ চিকিৎসা পদ্ধতির উপর ভারতীয় ও চৈনিক প্রাচীন ঐতিহ্যগত চিকিৎসার প্রভাবও বিদ্যমান।[6]
নাবয্(পালস্ রেট), বওল(মূত্র), বারায(মল) ছাড়াও আরও কয়েকটি নিদর্শনের উপর নির্ভর করা হয় রোগ নির্ণয়ের জন্য। ইউনানী পদ্ধতির চিকিৎসকদের নিজস্ব পরিভাষায় "হাকীম" (Hakeem/Hakim) পদবী নামের পূর্বে ব্যবহার করা হয়। যেমন হাকীম আজমল খান,হাকীম হাবিবুর রহমান,হাকীম অপূর্ব আকবর। যার অর্থ সূক্ষ্ম জ্ঞানের অধিকারী, রোগ নির্ণয় করে ইউনানী পদ্ধতির ঔষধ প্রস্তুত করে আরোগ্য লাভে দায়িত্ব পালন করেন।
এ ব্যবস্থায় রোগ প্রতিরোধে ছয়টি পূর্বশর্তের (আসবাব-ই-সিত্তা যারুরীয়্যাহ্) উপর নির্ভর করা হয়:
১- বায়ু;
২- খাদ্য এবং পানি;
৩- দৈহিক সঞ্চালন ও স্থিতি ;
৪- মানসিক সক্রিয়তা ও বিশ্রাম;
৫- নিদ্রা ও জাগরণ এবং
৬- নিঃসরণ ও অবরোধ ।