ইমামত (শিয়া তত্ত্ব)
From Wikipedia, the free encyclopedia
ইমামত (আরবি: إمامة) হল শিয়া ইসলামের একটি তত্ত্ব ও আকীদা। এই তত্ত্ব অনুসারে নবী মুহাম্মদের বংশোদ্ভূত নির্দিষ্ট ব্যক্তিরাই তার মৃত্যুর পর তার স্থলাভিষিক্ত ও মুসলিম উম্মাহর নেতা ও পথপ্রদর্শক হওয়ার যোগ্যতা রাখেন।[2] শিয়ারা বিশ্বাস করে যে ইমামগণ হলেন মুহাম্মদের খলিফা বা ন্যায্য উত্তরাধিকারী। তারা (জায়েদি ব্যতীত) আরও বিশ্বাস করে যে ইমামগণ ঐশী জ্ঞান, অভ্রান্ততা, নিষ্পাপতা, কর্তৃত্ব প্রভৃতির অধিকারী এবং মুহাম্মদের পরিবার বা আহল আল-বাইতের সদস্য।[3] ইমামদের কুরআনের তাফসীর ও ব্যাখ্যার পাশাপাশি[4] দিকনির্দেশনা দেওয়ার ক্ষমতা আছে।
ইমামত | |
---|---|
إمامة | |
দায়িত্ব | |
বারো ইমাম (ইসনা আশারিয়া) ইসমাইলি ইমামগণ (ইসমাইলি) জায়েদি ইমামগণ (জায়েদি) | |
বিস্তারিত | |
প্রথম সম্রাট/সম্রাজ্ঞী | আলী |
শেষ সম্রাট/সম্রাজ্ঞী | মাহদী |
গঠন | ৬৩২ খ্রি. (মুহাম্মদের ওফাত দিবসে) |
নাসিরুদ্দীন তুসীর মতে ইমাম এমন এক মাধ্যম যার মাধ্যমে মানুষ ঐশ্বরিক অনুগ্রহ লাভ করে, কারণ “তিনি মানুষদেরকে আল্লাহর আনুগত্যের নিকটে নিয়ে আসেন এবং তাদের অবাধ্যতা থেকে দূরে রাখেন।” তার লক্ষ্য মানুষের পূর্ণতাপ্রাপ্তি, এটা যৌক্তিক যে ঈশ্বর ইমামকে তার ইচ্ছার অধীনে মনোনীত করেন। সুতরাং তার জীবন ও কর্মকাণ্ড মানুষের প্রতি ঈশ্বরের অনুগ্রহের দুটি রূপ প্রদর্শন করে।[5]