Loading AI tools
উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
উয়েফা ইউরো ২০২০ ফাইনাল ইউরোপের ফুটবল সংস্থা উয়েফা কর্তৃক আয়োজিত চতুর্বষীয় আন্তর্জাতিক ফুটবল প্রতিযোগিতা উয়েফা ইউরোপীয় চ্যাম্পিয়নশিপের ১৬তম আসর উয়েফা ইউরো ২০২০-এর ফাইনাল ম্যাচ ছিল। এই ম্যাচটি ২০২১ সালের ১১ই জুলাই তারিখে ইংল্যান্ডের লন্ডনের ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে সেমি-ফাইনালের দুই বিজয়ী দল ইতালি এবং ইংল্যান্ড প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছে।[5]
প্রতিযোগিতা | উয়েফা ইউরো ২০২০ | ||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|
| |||||||
অতিরিক্ত সময়ের পর ইতালি পেনাল্টিতে ৩–২ গোলের ব্যবধানে জয়ী | |||||||
তারিখ | ১১ জুলাই ২০২১ | ||||||
ম্যাচসেরা | লেওনার্দো বোনুচ্চি (ইতালি)[1] | ||||||
রেফারি | বিয়র্ন কইপার্স (নেদারল্যান্ডস)[2] | ||||||
দর্শক সংখ্যা | ৬৭,১৭৩[3] | ||||||
আবহাওয়া | মেঘলা ১৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস (৬৬ ডিগ্রি ফারেনহাইট) আর্দ্রতা ৬৮%[4] | ||||||
এই ম্যাচের অতিরিক্ত সময় শেষে ১–১ গোলে ড্র হওয়ার পর পেনাল্টি শুট-আউটে ইতালি ইংল্যান্ডকে ৩–২ গোলের ব্যবধানে পরাজিত করে ১৯৬৮ সালের পর প্রথম, উয়েফা ইউরোপীয় চ্যাম্পিয়নশিপের ইতিহাসে দ্বিতীয়বারের মতো শিরোপা জয়লাভ করেছে।[6][7][8]
এই আসরে ফাইনাল ম্যাচটি ইংল্যান্ডের লন্ডনের ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়েছে, যা ব্রেন্ট বরোর ওয়েম্বলিতে অবস্থিত। ২০১২ সালের ৬ই ডিসেম্বর তারিখে উয়েফা এক ঘোষণায় জানিয়েছিল যে, এই প্রতিযোগিতার ৬০তম বার্ষিকী উপলক্ষে ইউরোপের একাধিক শহরে এই আসরটি অনুষ্ঠিত হবে, যেখানে কোন আয়োজক দল স্বয়ংক্রিয়ভাবে উত্তীর্ণ হবে না।[9][10] ২০১৪ সালের ১৯শে সেপ্টেম্বর তারিখে উয়েফা নির্বাহী কমিটি ওয়েম্বলিকে এই আসরের সেমি-ফাইনাল ও ফাইনালের মাঠ হিসেবে নির্বাচিত করে। মিউনিখের আলিয়ানৎস আরেনার এই আসরের ফাইনাল ম্যাচটি আয়োজনের নিলাম-ডাক প্রত্যাহারের পর এই স্টেডিয়ামটিকে নির্বাচিত করা হয়।[11] আয়োজকের অধিকার লাভের পর, লন্ডনের গ্রুপ পর্বের ম্যাচগুলোর জন্য সাধারণ এবং পূর্বের নকআউটের ম্যাচের নিলাম-ডাক প্রত্যাহার করা হয়েছিল।[12] তবে, উয়েফা নির্বাহী কমিটি ইউরোস্টেডিয়াম নির্মাণে বিলম্বের কারণে ২০১৭ সালের ৭ই ডিসেম্বর তারিখে ব্রাসেলসকে আয়োজক শহরের পদ থেকে অপসারণ করা হয়। প্রাথমিকভাবে ব্রাসেলসে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া চারটি ম্যাচ (গ্রুপ পর্বের তিনটি এবং ১৬ দলের পর্বের একটি) লন্ডনে স্থানান্তর করা হয়, যার ফলে ওয়েম্বলিতে এই আসরের ৭টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল।[13] পরবর্তীকালে, কোভিড-১৯ এর মহামারীর কারণে ২৩ এপ্রিল ২০২১ তারিখে ডাবলিনকে আয়োজক শহরের পদ থেকে অপসারণ করার পর, ওয়েম্বলিতে সর্বমোট ৮টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে।[14]
২০০৭ সালে, ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামটি মূল স্টেডিয়ামের জায়গায় উদ্বোধন করা হয়, যা ২০০২ সাল থেকে ২০০৩ সালের মধ্যে ধ্বংস করা হয়েছিল।[15][16] এই স্টেডিয়ামটি দ্য ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের মালিকানাধীন এবং ইংল্যান্ড জাতীয় ফুটবল দল এই স্টেডিয়ামটি তাদের জাতীয় স্টেডিয়াম হিসেবে ব্যবহার করে। পূর্বে এম্পায়ার স্টেডিয়াম নামে পরিচিত মূল স্টেডিয়ামটি ১৯২৩ সালে উদ্বোধন করা হয়েছিল এবং উয়েফা ইউরো ১৯৯৬-এ বেশ কয়েকটি ম্যাচ আয়োজন করেছে, যার মধ্যে জার্মানি এবং চেক প্রজাতন্ত্রের মধ্যকার ফাইনাল অন্যতম। ওয়েম্বলি ১৯২৩ সালের হোয়াইট হর্স ফাইনালের পর থেকে এফএ কাপের প্রতিটি ফাইনাল (২০০১–০৬ সাল ব্যতীত, যখন স্টেডিয়ামটি পুনর্নির্মাণ করা হচ্ছিল) আয়োজন করেছে। ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামের সেমি-ফাইনাল এবং ফাইনাল ম্যাচের আয়োজনের ব্যাপারটি, উয়েফা এবং যুক্তরাজ্য সরকার ভক্ত এবং ভিআইপিদের জন্য কোয়ারেন্টাইন নিয়ম নিয়ে একটি চুক্তিতে ভিত্তিতে নির্ধারণ করা হয়েছে। বুদাপেস্টের পুশকাশ এরিনাকে ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামের স্থলাভিষিক্ত করার জন্য বিবেচনা করা হয়েছিল, যদি এটি ফাইনাল ম্যাচ আয়োজন করার সক্ষমতা অর্জন করে না। তা সত্ত্বেও উয়েফা আত্মবিশ্বাসী ছিল যে ওয়েম্বলি স্টেডিয়াম ফাইনাল আয়োজন করতে পারে।[17]
ইতালি | পর্ব | ইংল্যান্ড | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
প্রতিপক্ষ | ফলাফল | গ্রুপ পর্ব | প্রতিপক্ষ | ফলাফল | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
তুরস্ক | ৩–০ | ম্যাচ ১ | ক্রোয়েশিয়া | ১–০ | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
সুইজারল্যান্ড | ৩–০ | ম্যাচ ২ | স্কটল্যান্ড | ০–০ | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ওয়েলস | ১–০ | ম্যাচ ৩ | চেক প্রজাতন্ত্র | ১–০ | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
গ্রুপ এ-এর প্রথম স্থান অধিকারী
|
অবস্থান | গ্রুপ ডি-এর প্রথম স্থান অধিকারী
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
প্রতিপক্ষ | ফলাফল | নকআউট পর্ব | প্রতিপক্ষ | ফলাফল | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
অস্ট্রিয়া | ২–১ (অ.স.প.) | ১৬ দলের পর্ব | জার্মানি | ২–০ | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বেলজিয়াম | ২–১ | কোয়ার্টার-ফাইনাল | ইউক্রেন | ৪–০ | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
স্পেন | ১–১ (অ.স.প.) (৪–২ পে.) | সেমি-ফাইনাল | ডেনমার্ক | ২–১ (অ.স.প.) |
ইতালি[4]
|
ইংল্যান্ড[4]
|
|
|
ম্যান অব দ্য ম্যাচ:
সহকারী রেফারি:[2]
|
ম্যাচের নিয়ম[18]
|
|
|
|
|
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.
Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.