এয়ার ইন্ডিয়া
ভারতের পতাকাবাহী বিমান পরিবহন সংস্থা / From Wikipedia, the free encyclopedia
এয়ার ইন্ডিয়া ভারতের পতাকাবাহী বিমান পরিবহন সংস্থা, এর সদর দফতর নতুন দিল্লিতে অবস্থিত। এটি সরকারি মালিকানাধীন উদ্যোগ এয়ার ইন্ডিয়া লিমিটেডের মালিকানাধীন এবং ১০২ টি অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক গন্তব্যস্থলে এয়ারবাস ও বোয়িং বিমানের দ্বারা উড়ান পরিষেবা পরিবেশন করে। সংস্থাটির ভারত জুড়ে বিভিন্ন মননিবেশ শহরের পাশাপাশি, নতুন দিল্লির ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ঘাঁটি রয়েছে। এয়ার ইন্ডিয়া ১৮.৬% বাজার দখলের সাথে ভারত থেকে ভারতের বাইরে উড়ান পরিচালনাকারী সবচেয়ে বড় আন্তর্জাতিক উড়ান সংস্থা।[9] এয়ার ইন্ডিয়া চারটি মহাদেশের ৬০ টিরও বেশি আন্তর্জাতিক গন্তব্যস্থলে উড়ান পরিষেবা পরিবেশন করে। বিমান সংস্থাটি ২০১৮ সালের ১১ জুলাই স্টার অ্যালায়েন্সের ২৭ তম সদস্য হয়।
| |||||||
প্রতিষ্ঠাকাল | ১৫ অক্টোবর ১৯৩২ (টাটা এয়ারলাইন্স হিসাবে) | ||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|
কার্যক্রম শুরু | ২৯ জুলাই ১৯৪৬; ৭৭ বছর আগে (1946-07-29)[4] | ||||||
হাব | ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর (দিল্লি) | ||||||
গৌণ হাব | ছত্রপতি শিবাজী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর (মুম্বাই) | ||||||
ফোকাস শহর |
| ||||||
নিয়মানুযায়ী উড়ান পরিকল্পনা | প্রত্যাবর্তন উড়ান | ||||||
জোট | স্টার অ্যালায়েন্স | ||||||
অধীনস্ত কোম্পানি | |||||||
বিমানবহরের আকার | ১২৭ (স্বতন্ত্র. অধীনস্থ কোম্পানী) | ||||||
গন্তব্য | ১০২ | ||||||
প্রধান কোম্পানি | এয়ার ইন্ডিয়া লিমিটেড | ||||||
প্রধান কার্যালয় | এয়ারলাইন্স হাউস, দিল্লি, ভারত[5] | ||||||
গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি | রাজীব বনসাল (চেয়ারম্যান ও এমডি)[6] জে আর ডি টাটা (প্রতিষ্ঠাতা) | ||||||
আয় | ₹২৬,৪৩০.৫৯ কোটি (US$ ৩.২৩ বিলিয়ন) (২০১৯)[7] | ||||||
পরিচালন আয় | ₹−৩,৭৬৩.৫০ কোটি (US$ −০.৪৬ বিলিয়ন) (২০১৯)[7] | ||||||
লাভ | ₹−৮,৫৫৬.৩৬ কোটি (US$ −১.০৫ বিলিয়ন) (২০১৯)[7] | ||||||
মোট সম্পদ | ₹৫২,৩৫২.১৮ কোটি (US$ ৬.৪ বিলিয়ন) (২০১৯)[8] | ||||||
মোট ইক্যুইটি | ₹−২৯,৪৬৬.৩৬ কোটি (US$ −৩.৬ বিলিয়ন) (২০১৯)[8] | ||||||
কর্মচারী | ৯,৯৯৩ (২০১৯) | ||||||
ওয়েবসাইট | airindia |
জে আর ডি টাটা ১৯৩২ সালে টাটা এয়ারলাইন্স নামে বিমান পরিবহন সংস্থাটি প্রতিষ্ঠা করেন; টাটা নিজেই তাঁর প্রথম একক-ইঞ্জিন বিশিষ্ট ডি হ্যাভিল্যান্ড পুস মথকে উড়েছিলেন, যা করাচির ড্রিঘ রোড এরোড্রোম থেকে বোম্বের জুহু এরোড্রোমে এয়ারমেল বহন করে এবং পরে মাদ্রাজ (বর্তমানে চেন্নাই) পর্যন্ত চলাচল শুরু করে। এটি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর, একটি পাবলিক লিমিটেড কোম্পানি হয়ে ওঠে এবং এয়ার ইন্ডিয়া নামকরণ করা হয়। এটি ১৯৬০ সালের ২১ শে ফেব্রুয়ারি গৌরী শঙ্কর নামে প্রথম বোয়িং ৭০৭ বিমানকে পরিষেবায় যুক্ত করে এবং বিমান বহরে জেট বিমান যুক্তকারী প্রথম এশিয়ান বিমান পরিবহন সংস্থা হয়ে ওঠে।[10] এয়ার ইন্ডিয়াকে ২০০০-০১ সালে বেসরকারিকরণের চেষ্টা করা হয় এবং ইন্ডিয়ান এয়ারলাইন্সের সাথে ২০০৬ সালে একীভূতকরণের ফলে সংস্থাটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
এয়ার ইন্ডিয়া তার অধীনস্থ অ্যালায়েন্স এয়ার ও এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেসের এর মাধ্যমে অভ্যন্তরীণ ও এশীয় গন্তব্যগুলিতে উড়ান পরিষেবা পরিচালনা করে। এয়ার ইন্ডিয়ার মাসকট মহারাজা (সম্রাট) এবং লোগোর ভেতরে কোণার্কের চক্রের সাথে একটি উড়ন্ত রাজহাঁস রয়েছে।