এরিথ্রোমাইসিন
রাসায়নিক যৌগ / From Wikipedia, the free encyclopedia
এরিথ্রোমাইসিন হলো একটি অ্যান্টিবায়োটিক যা অনেকগুলি ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের চিকিৎসার জন্য ব্যবহৃত হয়।[1] এর মধ্যে রয়েছে শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণ, ত্বকের সংক্রমণ, ক্ল্যামাইডিয়া সংক্রমণ, শ্রোণীর প্রদাহ রোগ এবং সিফিলিস ।[1] এটি গর্ভাবস্থায় নবজাতকের মধ্যে গ্রুপ বি স্ট্রেপ্টোকক্কাল সংক্রমণ প্রতিরোধ করার জন্যও ব্যবহার করা যেতে পারে,[1] সেইসাথে আন্ত্রিক চলন বিলম্বনার উন্নতিতে ব্যবহৃত হয়।[3] এটি শিরা এবং মুখ দিয়ে দেওয়া যেতে পারে।[1] নবজাতকের চোখের সংক্রমণ রোধ করতে প্রসবের পরে নিয়মিতভাবে একটি চোখের মলম দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।[4]
রোগশয্যাসম্বন্ধীয় তথ্য | |
---|---|
বাণিজ্যিক নাম | Eryc, Erythrocin, others[1] |
এএইচএফএস/ ড্রাগস.কম | মনোগ্রাফ |
মেডলাইনপ্লাস | a682381 |
লাইসেন্স উপাত্ত |
|
গর্ভাবস্থার শ্রেণি |
|
প্রয়োগের স্থান | মুখ, শিরা, পেশী, স্থানীয় প্রয়োগ, চোখ |
ঔষধ বর্গ | ম্যাক্রোলাইড এন্টিবায়োটিক |
এটিসি কোড |
|
আইনি অবস্থা | |
আইনি অবস্থা |
|
ফার্মাকোকাইনেটিক উপাত্ত | |
জৈবপ্রাপ্যতা | ৩০%~৬৫% |
প্রোটিন বন্ধন | ৯০% |
বিপাক | যকৃত |
বর্জন অর্ধ-জীবন | ১.৫ ঘন্টা |
রেচন | পিত্তরস |
শনাক্তকারী | |
আইইউপিএসি নাম
| |
সিএএস নম্বর |
|
পাবকেম সিআইডি | |
আইইউপিএইচএআর/ বিপিএস | |
ড্রাগব্যাংক |
|
কেমস্পাইডার |
|
ইউএনআইআই | |
কেইজিজি |
|
সিএইচইবিআই | |
সিএইচইএমবিএল | |
পিডিবি লিগ্যান্ড | |
কমপটক্স ড্যাশবোর্ড (আইপিএ) | |
ইসিএইচএ ইনফোকার্ড | 100.003.673 |
রাসায়নিক ও ভৌত তথ্য | |
সংকেত | C37H67NO13 |
মোলার ভর | ৭৩৩.৯৪ g·mol−১ |
এসএমআইএলইএস
| |
|
এরিথ্রোমাইসিনের সাধারণ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াগুলির মধ্যে রয়েছে পেটে ব্যথা, বমি এবং ডায়রিয়া।[1] আরও গুরুতর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াগুলির মধ্যে ক্লোস্ট্রিডিয়াম ডিফিসিল কোলাইটিস, যকৃতের সমস্যা, ইসিজিতে প্রলম্বিত QT ওয়েব, অ্যালার্জির প্রতিক্রিয়া।[1] যাদের পেনিসিলিন ব্যবহারে অ্যালার্জি রয়েছে তাদের ক্ষেত্রেও এটি সাধারণত নিরাপদ।[1] এরিথ্রোমাইসিন গর্ভাবস্থায় ব্যবহার করা নিরাপদ বলে মনে হয়।[2] স্তন্যপান করানোর সময় সাধারণত নিরাপদ হিসেবে বিবেচিত হলেও, জীবনের প্রথম দুই সপ্তাহে মায়ের দ্বারা এর ব্যবহার শিশুর পাইলোরিক স্টেনোসিসের ঝুঁকি বাড়িয়ে দিতে পারে।[5][6] এই বয়সে শিশু সরাসরি গ্রহণ করলেও এই ঝুঁকি প্রযোজ্য।[7] এটি অ্যান্টিবায়োটিকের ম্যাক্রোলাইড পরিবারে ৎপাদন এবং ব্যাকটেরিয়া প্রোটিন উৎপাদন হ্রাস করে কাজ করে।[1]
১৯৫২ সালে এরিথ্রোমাইসিন প্রথম স্যাকারোপলিস্পোরা এরিথ্রিয়া ব্যাকটেরিয়া থেকে বিচ্ছিন্ন করা হয়েছিল।[1][8] এটি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রয়োজনীয় ওষুধের তালিকায় রয়েছে[9] ।[10][11]