ওরেল (মহাকাশযান)
পুনরায় ব্যবহারযোগ্য রুশ মহাকাশযান / From Wikipedia, the free encyclopedia
ওরেল(রুশ: Орёл, অনুবাদ 'ঈগল')[7] বা ওরিওল,[5] পূর্বে ফেডারেশন[8] ও পিপিটিএস হল রসকোমোসের একটি প্রকল্প, যা একটি নতুন প্রজন্মের আংশিক পুনরায় ব্যবহারযোগ্য ক্রু মহাকাশযানের উন্নয়নে নিয়োজিত রয়েছে।
প্রস্তুতকারক | আরকেকে এনার্জিয়া |
---|---|
উৎস দেশ | রাশিয়া |
চালনাকারী | রসকসমস |
প্রয়োগ | পৃথিবীর নিন্ম কক্ষপথে ও চাঁদে, সম্ভবত মঙ্গল গ্রহে ক্রু পরিবহন |
সবিস্তার বিবরণী | |
সময়কাল |
|
উৎক্ষেপণ ভর | ১৭,০০০ কেজি (এলইও) –২১,৩৬৭ কেজি (চাঁদ)[4] |
শুষ্ক ভর | ১৪,০০০ কেজি (ক্রু মডিউল ৯,৫০০ কেজি, প্রপালশন মডিউল ৪,৫০০ কেজি)[4] |
মনুষ্য ধারণ ক্ষমতা | ৪–৬[3] |
আয়তন | ১৮মিটার৩[3] |
অবস্থান | এলইও, টিএলআই, চন্দ্র কক্ষপথ |
উৎপাদন | |
অবস্থা | উন্নয়নাধীন |
প্রথম উৎক্ষেপণ | পরিকল্পিত: ২০২৩ (রোবটিক)[5] ২০২৫ (ক্রু)[5] ২০২৬ (ক্রুবিহীন চন্দ্র কক্ষপথ)[6] |
দাপ্তরিক নাম ২০১৬ পর্যন্ত নিউ জেনারেশন পাইলটেড ট্রান্সপোর্ট শিপ বা পিটিকে এনপি ছিল। প্রকল্পের লক্ষ্য হল প্রাক্তন সোভিয়েত ইউনিয়ন দ্বারা নিন্ম পৃথিবী কক্ষপথ ও চন্দ্র কার্যক্রম পরিচালনার জন্য সমর্থিত সয়ুজ মহাকাশযানের প্রতিস্থাপনের জন্য একটি পরবর্তী প্রজন্মের মহাকাশযানের উন্নয়ন করা। এটি মার্কিন ওরিওন বা বাণিজ্যিক ক্রু উন্নয়ন মহাকাশযানের অনুরূপ।[9]
রাশিয়া ও ইউরোপীয় স্পেস এজেন্সির (ইএসএ) দ্বারা ক্রু স্পেস ট্রান্সপোর্টেশন সিস্টেমের (সিএসটিএস) সহ-উন্নয়নে ব্যর্থ প্রয়াসের পরে পিপিটিএস প্রকল্প শুরু হয়। ইএসএ সদস্য দেশসমূহ ২০০৬ সালে ওয়ার্কশেয়ার নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করার পরে ক্লিপারকে অর্থায়ন করতে অস্বীকার করে, এর পরে 'রাশিয়ায় প্রযুক্তি হস্তান্তর করা হলে তা সামরিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা হতে পারে' এমন সন্দেহের কারণে আবার সিএসটিএস-এর উন্নয়নে অর্থায়ন করতে অস্বীকার করে,[10] রাশিয়ান ফেডারেল স্পেস এজেন্সি একটি নতুন ক্রু মহাকাশ যানের আদেশ রুশ সংস্থাসমূহকে প্রদান করে।[11] আরকেকে এনার্জিয়াকে ২০১৩ সালের ১৯শে ডিসেম্বর একটি উন্নয়ন চুক্তি প্রদান করা হয়।[12]
ওরেলের উদ্দেশ্য চার জন ক্রুকে পৃথিবীর কক্ষপথে ও তার বাইরেও ৩০ দিনের অভিযানে বহন করতে সক্ষমতা অর্জন করা। এটি যদি কোনও মহাকাশ স্টেশনে ডক করা হয় তবে এক বছর পর্যন্ত মহাকাশে থাকতে সক্ষম হবে, যা সযুজ মহাকাশযানের দ্বিগুণ। মহাকাশযানটি লুনার অরবিটাল স্টেশন নামে একটি মহাকাশ স্টেশন স্থাপনের পরিকল্পনা সহ চন্দ্র কক্ষপথে মহাকাশচারী প্রেরণ করবে।[13]