Loading AI tools
উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
কোরিয়া প্রণালী হল দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপানের মধ্যে অবস্থিত সংকীর্ন সমুদ্রভাগ। এটি পূর্ব চীন সাগর, পীতসাগর (পশ্চিম সমুদ্র) এবং উত্তর পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরের অংশ জাপান সাগরকে (পূর্ব সমুদ্র) সংযুক্ত করেছে। তসুশিমা দ্বীপটি প্রণালীটিকে পশ্চিম চ্যানেল এবং তসুশিমা প্রণালী বা পূর্ব চ্যানেলে বিভক্ত করেছে।
কোরিয়া প্রণালী | ||||||
---|---|---|---|---|---|---|
কোরিয়া প্রণালীকে দেখাচ্ছে মানচিত্রটি | ||||||
দক্ষিণ কোরিয়ান নাম / উত্তর কোরিয়ার নাম | ||||||
| ||||||
জাপানি নাম | ||||||
|
উত্তরে এটি কোরিয় উপদ্বীপের দক্ষিণ উপকূল এবং দক্ষিণে এটি জাপানের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের কিউশু এবং হংসুর দ্বীপগুলো দ্বারা আবদ্ধ। এটি প্রায় ২০০ কিলোমিটার (১২০ মাইল) প্রশস্ত এবং প্রায় ৯০ থেকে ১০০ মিটার (৩০০ ফুট) গভীর।
তাসুশিমা দ্বীপটি কোরিয়া প্রণালীকে পশ্চিমা চ্যানেল এবং সুশিমা প্রণালীতে ভাগ করে। পশ্চিমা চ্যানেলের গভীর (২২৭ মিটার পর্যন্ত) বেশি এবং তাসুশিমা প্রণালী তুলনায় কম গভীর।
কুরোশিও স্রোতের একটি শাখা প্রণালীর মধ্য দিয়ে অতিক্রম করে। এই শাখা স্রোতকে কখনও কখনও তাসুশিমা স্রোত বলা হয়। জাপান দ্বীপপুঞ্জের উপকূল বরাবর স্রোতটি পূর্ব সাগরের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়ে সেখালিন দ্বীপের তীরে বিভক্ত হয়। অবশেষে স্রোতটি হক্কাইডো দ্বীপের উত্তরের প্রণালীর মাধ্যমে উত্তরাঞ্চলীয় প্রশান্ত মহাসাগরে এবং ভ্লাদিভোস্টকের কাছে সাখালিন দ্বীপের উত্তরের প্রণালী মাধ্যমে ওখোৎস্ক সমুদ্রের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়। কোরিয়া ও চীনের দক্ষিণ-পূর্ব উপকূলগুলোর নিম্ন-লবণাক্ত জলের কারণে জলের ভর বৈশিষ্ট্য ব্যাপকভাবে পরিবর্তিত হয়।
বেশিরভাগ আন্তর্জাতিক জাহাজগুলো দক্ষিণ কোরিয়ার দক্ষিণ ভাগে অবস্থিত বন্দরগুলোতে কোরিয়া প্রণালীর মধ্য দিয়ে চলাচল করে। দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপান উভয় উপকূল থেকে ৩ নটিক্যাল মাইল (৫.৬ কিলোমিটার) পর্যন্ত প্রশস্ত অঞ্চলে তাদের আঞ্চলিক দাবিগুলো সীমিত করেছে, যাতে এটির মাধ্যমে বিনামূল্যে জাহাজ চলাচলের অনুমতি দেয় যায়।[1]
যাত্রী ফেরি প্রণালী জুড়ে অসংখ্য রুট চলাচল করে। বাণিজ্যিক ফেরি দক্ষিণ কোরিয়ার বুসান ও জাপিও বন্দরে থেকে ফুকুওকা, তসুশিমা, শিমনোস্কি এবং হিরোশিমাসহ বিভিন্ন জাপানি বন্দরে চলাচল করে। ফেরিগুলো ফুকুওকা দিয়ে তসুশিমা দ্বীপ এবং কোরিয়ার মূল ভূখণ্ডের সাথে দক্ষিণ কোরিয়ার জেজু দ্বীপকেও সংযুক্ত করে। চীনের বন্দরসহ বুসান এবং জাপানি শহরগুলোকে সংযোগকারী ফেরিগুলোও এই প্রণালী অতিক্রম করে।
জাপানের আঞ্চলীক জলভাগ উপকূল থেকে ৩ নটিক্যাল মাইল (৫.৬ কিলোমিটার) পর্যন্ত প্রশস্ততায় বিস্তৃত, যা পারমাণবিক সশস্ত্র মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নৌবাহিনী এবং ডুবোজাহাজেকে জাপানের নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘন না করেই এই প্রণালী অতিক্রমের অনুমতি দেয়।
কোরীয় উপদ্বীপের - কিউশু | কোরীয় উপদ্বীপের - তসুশিমা দ্বীপ | তসুশিমা দ্বীপ - কিউশু | |
---|---|---|---|
আন্তর্জাতিক নাম (বাংলা ভাষায় সাধারণত ব্যবহার করা হয়) |
কোরিয়া প্রণালী | কোরিয়া প্রণালীর পশ্চিম চ্যানেল | কোরিয়া প্রণালীর পূর্ব চ্যানেল |
দক্ষিণ কোরিয়ার নাম | 대한해협 - 大韓海峡 দাহান হেহিওপ " কোরিয়া প্রণালী" | ||
উত্তর কোরিয়ার নাম | 조선해협 - 朝鮮海峡 Chosŏn Haehyŏp "কোরিয়া প্রণালী" | ||
জাপানি নাম | 対馬海峡 বা 朝鮮海峽 তসুশিমা কাইকো বা ছসেন কাইকো বা "তসুশিমা প্রণালী" | 朝鮮海峡 ্বা 対馬海峡西水道 ছসেন কাইকো বা সুশিমা কাইকো নিশি-সুদো "কোরিয়া প্রণালী" বা "তসুশিমা প্রণালী পশ্চিম চ্যানেল" | 対馬海峡 বা 対馬海峡東水道 তসুশিমা কাইকো বা তসুশিমা কাইকো হিগশি-সুদো "তসুশিমা প্রণালী" বা "তসুশিমা প্রণালী পূর্ব চ্যানেল" |
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.
Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.