ক্যাসিনি-হাইগেন্স
From Wikipedia, the free encyclopedia
ক্যাসিনি-হাইগেন্স তিনটি মহাকাশ সংস্থার (নাসা, এসা, ইতালীয় স্পেস এজেন্সি) যৌথ উদ্যোগে প্রেরিত একটি বেনামী মহাশূন্য অভিযান যার মূল লক্ষ্য হচ্ছে শনি গ্রহ এবং এর উপগ্রহগুলো নিয়ে বিস্তর গবেষণা কাজ চালানো।[1] অভিযানে ব্যবহৃত নভোযানটির মূল অংশগুলো হচ্ছে: নাসা নির্মীত ক্যাসিনি অরবিটার যা বিখ্যাত ইতালীয় জ্যোতির্বিজ্ঞানী জিওভান্নি ডোমেনিকো ক্যাসিনির নামে নামাঙ্কিত এবং এসা নির্মীত হাইগেন্স প্রোব যা ডাচ জ্যোতির্বিজ্ঞানী, গণিতবিদ এবং পদার্থবিজ্ঞানী ক্রিশ্চিয়ান হাইগেন্স-এর নামে নামাঙ্কিত।
সংস্থা | নাসা/এসা/এএসআই |
---|---|
অভিযানের ধরন | Fly-by, orbiter, and lander |
ফ্লাইবাই করেছে | বৃহস্পতি গ্রহ, শুক্র গ্রহ, পৃথিবী গ্রহ, শনির উপগ্রহ |
স্যাটেলাইট | শনি গ্রহ |
উৎক্ষেপণের তারিখ | অক্টোবর ১৫ ১৯৯৭ |
উৎক্ষেপণ যান | Titan IV-B/Centaur launch vehicle |
COSPAR ID | 1997-061A |
হোমপেজ | Cassini–Huygens Home |
১৯৯৭ সালে নাসা, ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সি এবং ইতালীয় স্পেস এজেন্সির যৌথ প্রচেষ্টায় প্রেরণ করা হয়। ক্যাসিনি অরবিটার, এবং হাইগেন্স ল্যান্ডার হিসাবে কাজ করে। ১৯৯৭ সালে উৎক্ষেপনের পর ১৯৯৮ সালের ২৬ শে এপ্রিল প্রথম গ্রাভিটি এ্যাসিস্ট ফ্লাইবাই Gravity assist হিসাবে শুক্র গ্রহের পাশ দিয়ে উড়ে যায়। ১৯৯৯ সালের ২৪ শে জুন এটি আবার দ্বিতীয় বারের মত ফ্লাই বাই করে শুক্র গ্রহরে পাশ দিয়ে উড়ে যায় এবং পর্যাপ্ত শক্তি সঞ্চয় করে তা ছুটে যায় গ্রহানুপুঞ্জের দিকে। গ্রহানু ২৬৫ মাসুরস্কাই 2685 Masursky কাছ থেকে উড়ে যাবার পর সূর্যের আকর্ষনে ক্যাসিনি ১৯৯৯ সালের ১৮ ই আগস্ট ফিরে আসে পৃথিবীর কক্ষপথের কাছাকাছি। এই সময়ে আরো একটি ফ্লাই বাই এর মাধ্যমে সে তার চূড়ান্ত গন্তব্য শনি গ্রহে যাবার জন্য প্রয়োজনীয শক্তি সঞ্চয় করে এবং অভিযানের মূল পর্ব শুরু করে। ২০০৪ সালে ক্যাসিনি শনির উপগ্রহ টাইটানের কক্ষপথে পৌছে। ক্যাসিনি এখন মূল গ্রহ শনির পৃথিবী থেকে প্রেরিত কৃত্রিম উপগ্রহ হিসাবে কাজ করছে।