![cover image](https://wikiwandv2-19431.kxcdn.com/_next/image?url=https://upload.wikimedia.org/wikipedia/commons/thumb/a/a2/Sri_Guru_Granth_Sahib_Nishan.jpg/640px-Sri_Guru_Granth_Sahib_Nishan.jpg&w=640&q=50)
গুরু গ্রন্থ সাহিব
শিখধর্মের পবিত্র ধর্মগ্রন্থ / From Wikipedia, the free encyclopedia
গুরু গ্রন্থ সাহিব বা সাম্মানিক উপাধি সহ শ্রী গুরু গ্রন্থ সাহিব জি (পাঞ্জাবি: ਸ਼੍ਰੀ ਗੁਰੂ ਗ੍ਰੰਥ ਸਾਹਿਬ ਜੀ, স্রি গুরু গ্রান্থ্ সাহিব্ জি ), বা আদি গ্রন্থ শিখধর্মের পবিত্র ধর্মগ্রন্থ। প্রাতিষ্ঠানিকভাবে এই গ্রন্থখানি শিখদের সর্বশেষ গুরু।[1] গুরু গ্রন্থ সাহিব ১৪৩০টি অঙ্গে বিভক্ত, যেগুলি ১৪৬৯ থেকে ১৭০৮ সালের মধ্যবর্তী সময়ে বিভিন্ন শিখ গুরু কর্তৃক রচিত ও সংকলিত হয়।[1] এটি একটি শবদ বা স্তোত্র সংকলন। এর মূল উপজীব্য ঈশ্বরের গুণকীর্তন[2] এবং ঈশ্বরের নাম জপ করার কারণ ব্যাখ্যা।
![](http://upload.wikimedia.org/wikipedia/commons/thumb/a/a2/Sri_Guru_Granth_Sahib_Nishan.jpg/640px-Sri_Guru_Granth_Sahib_Nishan.jpg)
দশম শিখ গুরু গোবিন্দ সিংহ (১৬৬৬-১৭০৮) পবিত্র ধর্মগ্রন্থ আদি গ্রন্থ-কে তার উত্তরসূরি ঘোষণা করেন এবং এটিকে গুরু গ্রন্থ সাহিব সম্মানে ভূষিত করেন।[3] সেই থেকে এই গ্রন্থই দশ গুরুর শিক্ষার প্রতিনিধিরূপে শিখদের পবিত্র ধর্মগ্রন্থের মর্যাদা পেয়ে আসছে।[4] শিখধর্মের উপাসনার ক্ষেত্রে প্রার্থনার সহায়ক বা সূত্র হিসেবে এই গ্রন্থের স্থান সর্বাগ্রগণ্য।[5]
পঞ্চম শিখ গুরু অর্জুন দাস (১৫৬৩-১৬০৬) প্রথম পাঁচ শিখ গুরু এবং হিন্দু ও মুসলমান সন্ত সহ বিভিন্ন মহান সন্তের রচিত স্তোত্রাবলি থেকে রচনা চয়ন করে প্রথম আদি গ্রন্থ সংকলন করেন।[2] দশম শিখ গুরুর প্রয়াণের পর বাবা দীপ সিংহ বিতরণের জন্য এই গ্রন্থের একাধিক সম্পাদিত নকল প্রস্তুত করেছিলেন।
![](http://upload.wikimedia.org/wikipedia/commons/thumb/5/5f/Map_birth_place_of_Writers_of_Guru_Granth_Sahib.jpg/640px-Map_birth_place_of_Writers_of_Guru_Granth_Sahib.jpg)
গ্রন্থটি গুরুমুখী হরফে লিখিত। প্রধানত প্রাচীন পাঞ্জাবি ভাষা ব্যবহৃত হলেও কোনো কোনো স্থলে ব্রজ, পাঞ্জাবি, খড়িবোলি (হিন্দি), সংস্কৃত, বিভিন্ন স্থানীয় উপভাষা ও ফার্সি ব্যবহৃত হয়েছে। এই গ্রন্থের ভাষাকে বলা হয় সন্ত ভাষা।[6]