গুরু তেগ বাহাদুর
From Wikipedia, the free encyclopedia
গুরু তেগ বাহাদুর (পাঞ্জাবি: ਗੁਰੂ ਤੇਗ਼ ਬਹਾਦਰ (গুরুমুখী); পাঞ্জাবি উচ্চারণ: [gʊɾuː t̯eːɣ bəɦaːd̯ʊɾᵊ]; ১ এপ্রিল ১৬২১ – ১১ নভেম্বর ১৬৭৫)[6][7] হলেন শিখধর্মের গোড়াপত্তনকারী দশ জন শিখ গুরুর নবম গুরু এবং ১৬৬৫ সাল থেকে ১৬৭৫ সালে তার শিরোচ্ছেদের পূর্ব পর্যন্ত শিখদের নেতৃত্বদানকারী। তিনি ১৬২১ সালে ভারতের পাঞ্জাবের অমৃতসরে জন্মগ্রহণ করেন এবং ষষ্ঠ শিখ গুরু গুরু হরগোবিন্দের কনিষ্ঠ সন্তান ছিলেন। একজন অকুতভয় ও সম্মুখ সারির যোদ্ধা হিসাবে স্বীকৃত তেগ বাহাদুর ছিলেন একজন প্রথিতযশা ধর্ম পণ্ডিত এবং কবি যার ১১৫টি স্তোত্র শিখদের মূল ধর্মগ্রন্থ গুরু গ্রন্থ সাহিবে সংকলিত রয়েছে।
গুরু তেগ বাহাদুর | |
---|---|
ਗੁਰੂ ਤੇਗ਼ ਬਹਾਦਰ | |
ব্যক্তিগত তথ্য | |
জন্ম | তেগ মাল ১ এপ্রিল ১৬২১ (1621-04) |
মৃত্যু | ১১ নভেম্বর ১৬৭৫ (1675-11-12) (বয়স ৫৪) |
মৃত্যুর কারণ | শিরোচ্ছেদ |
ধর্ম | শিখধর্ম |
দাম্পত্য সঙ্গী | মাতা গুজ্রি |
সন্তান | গুরু গোবিন্দ সিং |
পিতামাতা | গুরু হরগোবিন্দ ও মাতা নানকি |
যে জন্য পরিচিত |
|
অন্য নাম | নবম শিক্ষক নবম নানক সৃষ্ট-দি-চাদর ("মানবতার আচ্ছাদক") ধর্ম-দি-চাদর ("ধর্মের আচ্ছাদক")[5] হিন্দ-দি-চাদর ("ভারতের আচ্ছাদক") |
স্বাক্ষর | |
সামরিক সেবা | |
যুদ্ধ/সংগ্রাম | প্রারম্ভিক মুঘল-শিখ যুদ্ধ কার্টাপুর যুদ্ধ (১৬৩৫) ধুবরির সংঘর্ষ (১৬৬৯) |
ধর্মীয় জীবন | |
কাজের মেয়াদ | ১৬৬৪-১৬৭৫ |
পূর্বসূরী | গুরু হর কৃষাণ |
উত্তরসূরী | গুরু গোবিন্দ সিং |
ভারতের দিল্লিতে ষষ্ঠ মুঘল সম্রাট আওরঙ্গজেবের আদেশে তেগ বাহাদুরের মৃত্যুদন্ড কার্যকর করা হয়।[3][8][9] দিল্লির শিখ পবিত্র প্রাঙ্গণ গুরুদুয়ারা সিস গঞ্জ সাহিব এবং গুরুদুয়ারা রাকাব গঞ্জ সাহিব গুরু তেগ বাহাদুরের মৃত্যুদন্ড ও দাহের স্থানদুটিকে নির্দেশ করে।[10] ভারতে প্রতি বছর ২৪ নভেম্বরকে তার মৃত্যু দিবস (শহীদি দিবস) হিসাবে পালন করা হয়।[11]