গেঁটেবাত
From Wikipedia, the free encyclopedia
গেঁটে বাত বা গাউট (ইংরেজি: Gout) হচ্ছে একটি প্রদাহজনিত রোগ; এতে সাইনোভিয়াল অস্থিসন্ধি ও এর আশেপাশের টিস্যুতে মনোসোডিয়াম ইউরেট মনোহাইড্রেট ক্রিস্টাল জমা হয়। সাধারণত মাত্র ১-২% লোক এই রোগে আক্রান্ত হয় তবে মহিলাদের তুলনায় পুরুষেরা ৫ গুণ বেশি আক্রান্ত হয়। এটি পুরুষ ও বৃদ্ধা মহিলাদের ক্ষেত্রে সবচেয়ে লক্ষণীয় প্রদাহজনিত আর্থ্রাইটিস। পুরুষরা সাধারণত ৩০ বছরের পর এবং মহিলারা মেনোপজ বা রজোনিবৃত্তির পরে বেশি আক্রান্ত হয়। বয়স বৃদ্ধি ও রক্তে ইউরিক এসিডের মাত্রা বৃদ্ধি পেলে এই রোগের ঝুঁকি বাড়ে। মহিলাদের তুলনায় পুরুষদের ইউরিক এসিডের মাত্রা বেশি থাকে তবে বয়স ও ওজন বাড়লে রক্তে ইউরিক এসিডও বাড়বে। কিছু এথনিক গ্রুপ যেমন মাউরি উপজাতি ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপের জনগোষ্ঠীদের রক্তে ইউরিক এসিড একটু বেশি থাকে। রক্তে ইউরিক এসিডের পরিমাণ স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি থাকলে তাকে হাইপারইউরিসেমিয়া বলে। রক্তে ইউরিক এসিডের স্বাভাবিক মাত্রা হলো পুরুষের ক্ষেত্রে ২.০-৭.০ mg/dL ও নারীদের ক্ষেত্রে ২.০-৬.০ mg/dL।
গেঁটেবাত | |
---|---|
প্রতিশব্দ | পোডাগ্রা |
বিশেষত্ব | বাত রোগ |
লক্ষণ | Joint pain, swelling, and redness |
পার্থক্যমূলক রোগনির্ণয় | Joint infection, reactive arthritis, pseudogout, others[1] |
ঔষধ | NSAIDs, steroids, colchicine, allopurinol |
সংঘটনের হার | ১-২% (উন্নত বিশ্ব) |
যদিও হাইপারইউরিসেমিয়ার ফলে উচ্চরক্তচাপ, ভাস্কুলার রোগ, বৃক্কীয় রোগ ও হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়লেও খুব অল্পসংখ্যক লোকের ক্ষেত্রে গাউট করে। সাম্প্রতিককালে মানুষের আয়ু বৃদ্ধি পাওয়া ও মেটাবলিক সিনড্রোমে আক্রান্ত হবার হার বেড়ে যাওয়ার সাথে সমান্তরালভাবে গাউটে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যাও বাড়ছে। [2] ঐতিহাসিকভাবে এটাকে "রাজাদের রোগ" বা ধনীদের রোগ বলে।,[3]