গৌড়ীয় বৈষ্ণববাদ
চৈতন্য মহাপ্রভু অনুপ্রাণিত হিন্দুধর্মীয় অন্দোলন / From Wikipedia, the free encyclopedia
গৌড়ীয় বৈষ্ণব হিন্দু বৈষ্ণব সম্প্রদায়ের একটি শাখা সম্প্রদায়। এটি চৈতন্য বৈষ্ণববাদ নামেও পরিচিত। খ্রিষ্টীয় ষোড়শ শতাব্দীতে পূর্ব ভারতের চৈতন্য মহাপ্রভু (১৪৮৬-১৫৩৪) দ্বারা অনুপ্রাণিত একটি বৈষ্ণব হিন্দু ধর্মীয় আন্দোলন। এই কারণে এই মত চৈতন্য বৈষ্ণববাদ নামেও পরিচিত। "গৌড়ীয়" শব্দটির উৎস বঙ্গের প্রাচীন নাম "গৌড়" শব্দটি থেকে। গৌড়ীয় বৈষ্ণববাদের দার্শনিক ভিত্তি ভগবদ্গীতা, ভাগবত পুরাণ, অন্যান্য পৌরাণিক ধর্মশাস্ত্র এবং ঈশোপনিষদ্, গোপালতাপনী উপনিষদ ও কলি-সন্তারণ উপনিষদ প্রভৃতি উপনিষদ গ্রন্থ।
প্রতিষ্ঠাতা | |
---|---|
চৈতন্য মহাপ্রভু (১৪৮৬–১৫৩৪) | |
উল্লেখযোগ্য জনসংখ্যার অঞ্চল | |
ধর্ম | |
বৈষ্ণব সম্প্রদায় (হিন্দুধর্ম) | |
ধর্মগ্রন্থ | |
ভাষা | |
গৌড়ীয় বৈষ্ণব ধর্মোপাসনার কেন্দ্রীয় বিষয় হল রাধা ও কৃষ্ণ এবং তাদের বিভিন্ন দৈব অবতারকে স্বয়ং ভগবান বা সর্বোচ্চ ঈশ্বর রূপে পূজা করা। এই ধর্মের প্রধান প্রতিপাদ্য বিষয় হল ভক্তি। এই ধর্মে পূজার এক বিশিষ্ট অঙ্গ হল হরে কৃষ্ণ মন্ত্র সহ রাধা ও কৃষ্ণের নানান পবিত্র নাম জপ এবং কীর্তন। প্রচলিত বিশ্বাস অনুযায়ী, এই ধর্মের আদিগুরু ব্রহ্মা। সেই কারণে এই সম্প্রদায়কে ব্রহ্মা-মাধ্ব-গৌড়ীয় সম্প্রদায়ও বলা হয়। এই ধর্ম মূলত একেশ্বরবাদী; কারণ এই ধর্মে বিষ্ণুর বিভিন্ন রূপকে একক সর্বোচ্চ ঈশ্বর আদিপুরুষ-এর রূপভেদ মনে করা হয়। বর্তমানে নবদ্বীপ হলো এই গৌড়ীয় বৈষ্ঞ সমাজের মূল শিকর, এখানেই রয়েছে গৌরের প্রধান পার্শদ প্রভু নিত্যানন্দের বংশধরেরা তাছাড়াও গৌড়ীয় মঠ এবং আন্তর্জাতিক কৃষ্ণভাবনামৃত সংঘ গৌড়ীয় বৈষ্ণববাদ অনুসরণ করেন।