![cover image](https://wikiwandv2-19431.kxcdn.com/_next/image?url=https://upload.wikimedia.org/wikipedia/commons/thumb/b/b4/Chandrayaan-3_Integrated_Module_in_clean-room_02.webp/640px-Chandrayaan-3_Integrated_Module_in_clean-room_02.webp.png&w=640&q=50)
চন্দ্রযান-৩
ভারতের তৃতীয় চন্দ্র অনুসন্ধান অভিযান / From Wikipedia, the free encyclopedia
চন্দ্রযান–৩[7] হল ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা (ইসরো) কর্তৃক পরিচালিত ভারতের চন্দ্রাভিযান কর্মসূচির[8] অন্তর্গত তৃতীয় চন্দ্রান্বেষণ অভিযান ও চন্দ্র পৃষ্ঠে প্রথম অবতরণ। এই অভিযানের উদ্দেশ্য হলো চন্দ্রপৃষ্ঠে নিরাপদ ও সুরক্ষিত অবতরণ, রোভারের নির্বিঘ্নে ঘুরে বেড়ানোর সক্ষমতা যাচাই এবং বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা সম্পাদনা করা। চন্দ্রযান-৩ এর অবতরণস্থল হিসাবে চাঁদের দক্ষিণ মেরুকে বেছে নেওয়া হয়। এর কারণ হল ইসরোর বিজ্ঞানীগণ আশা করেছিলেন যে, এর দক্ষিণ মেরু থেকে চাঁদ সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ কোনো বৈজ্ঞানিক তথ্য আবিষ্কার সম্ভব হবে।[9]
এই নিবন্ধ বর্তমান বা সাম্প্রতিক কোনও মহাকাশযান অভিযান সম্পর্কিত কর্মকাণ্ডের প্রামাণ্য তথ্য পরিবেশিত হয়েছে। অভিযান অগ্রসর হবার সাথে সাথে এতে লিখিত বিস্তারিত তথ্যাদি পরিবর্তিত হতে পারে। প্রাথমিক সংবাদ প্রতিবেদনগুলি নির্ভরযোগ্য না-ও হতে পারে। এই নিবন্ধ সর্বশেষ হালনাগাদে সবচেয়ে সাম্প্রতিক তথ্যাদির প্রতিফলন না-ও ঘটতে পারে। বিস্তারিত তথ্যের জন্য উইকিপ্রকল্প মহাকাশযাত্রা দেখুন। |
চন্দ্রযান-৩ | |||||
---|---|---|---|---|---|
![]() | |||||
অভিযানের ধরন | ল্যান্ডার, রোভার | ||||
পরিচালক | ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা (ইসরো) | ||||
সিওএসপিএআর আইডি | ২০২৩-০৯৮এ | ||||
এসএটিসিএটি নং | ৫৭৩২০ | ||||
ওয়েবসাইট | চন্দ্রযান ৩ | ||||
অভিযানের সময়কাল | ১০ মাস ও ১৮ দিন (অতিবাহিত)
| ||||
মহাকাশযানের বৈশিষ্ট্য | |||||
প্রস্তুতকারক | ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা (ইসরো) | ||||
উৎক্ষেপণ ভর | ৩৯০০ কেজি[1] | ||||
পেলোড ভর | প্রপালশন মডিউল: ২১৪৮ কেজি ল্যান্ডার মডিউল (বিক্রম): ১৭২৬ কেজি রোভার (প্রজ্ঞান): ২৬ কেজি মোট: ৩৯০০ কেজি | ||||
ক্ষমতা | প্রপালশন মডিউল: ৭৫৮ ওয়াট ল্যান্ডার মডিউল: ৭৩৮ ওয়াট রোভার: ৫০ ওয়াট | ||||
অভিযানের শুরু | |||||
উৎক্ষেপণ তারিখ | জুলাই ১৪ ,২০২৩[2] | ||||
উৎক্ষেপণ রকেট | উৎক্ষেপক যান মার্ক ৩[3] | ||||
উৎক্ষেপণ স্থান | দ্বিতীয় উৎক্ষেপণ মঞ্চ সতীশ ধওয়ান মহাকাশ কেন্দ্র | ||||
ঠিকাদার | ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা (ইসরো) | ||||
চাঁদ অরবিটার | |||||
কক্ষপথীয় সন্নিবেশ | ৫ অগাস্ট ২০২৩ | ||||
কক্ষপথীয় পরামিতি | |||||
অণুসূর উচ্চতা | ১৫৩ কিমি (৯৫ মা) | ||||
অপসূর উচ্চতা | ১৬৩ কিমি (১০১ মা) | ||||
চাঁদ ল্যান্ডার | |||||
মহাকাশযানের উপাদান | বিক্রম ল্যান্ডার | ||||
অবতরণের তারিখ | ২৩ আগস্ট ২০২৩ (2023-08-23), সন্ধ্যা ৬ টা ২ মিনিট আইএসটি, (১২:৩২ ইউটিসি)[4] | ||||
অবতরণ স্থল | ৬৯.৩৬৭৬২১° দক্ষিণ ৩২.৩৪৮১২৬° পূর্ব / -69.367621; 32.348126[5]
(মানজিনাস সি ও সিম্পেলিয়াস এন গহ্বরের মধ্যবর্তী স্থানে)[6] | ||||
চাঁদ রোভার | |||||
অবতরণের তারিখ | ২৩ আগস্ট ২০২৩ | ||||
![]()
|
পূর্ববর্তী চন্দ্রযান-২ একটি অরবিটারকে সফল ভাবে চাঁদের কক্ষপথে স্থাপন করেছিল, কিন্তু ল্যান্ডারের সফট ল্যান্ডিংয়ের প্রয়াস ব্যর্থ হয়েছিল। এই ঘটনার পরে, সফট ল্যান্ডিংয়ের মাধ্যমে চাঁদে অবতরণের জন্য ইসরো "চন্দ্রযান-৩" আরও একটি চন্দ্র অভিযানের কর্মসূচি শুরু করে।[10] অভিযানে প্রোপালশন মডিউল, ল্যান্ডার (বিক্রম) ও রোভার (প্রজ্ঞান) ব্যবহৃত হয়েছে, তবে কোনো কৃত্রিম উপগ্রহ পেরিত হয়নি। অন্ধ্রপ্রদেশ রাজ্যের শ্রীহরিকোটায় অবস্থিত সতীশ ধবন মহাকাশ কেন্দ্র থেকে ২০২৩ সালের ১৪ই জুলাই চন্দ্রযান-৩ মহাকাশযানের সফল উৎক্ষেপণ করা হয়েছিল।[11]
উৎক্ষেপণের ৯৬৯.৪২ সেকেন্ড পরে পৃথিবী পৃষ্ঠ থেকে ১৭৯.১৯২ কিমি উচ্চতায় উপগ্রহ পৃথকীকরণ ঘটে এবং মহাকাশযানটি পৃথিবীর কক্ষপথে স্থাপিত হয়। মহাকাশযানটি পৃথক পৃথক পাঁচটি কক্ষপথে পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করার পরে ১ আগস্ট ‘ট্রান্সলুনার ইঞ্জেকশন’-এর মধ্যমে পৃথিবীর আকর্ষণের বাধা কাটিয়ে চাঁদের পথে যাত্রা শুরু করেছিল। এটি ৫ আগস্ট সফলভাবে ১৬৪ কিমি x ১৮,০৭৪ কিমি পরিমাপের চন্দ্র কক্ষপথে প্রবেশ করেছিল। মহাকাশযানটি চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অবতরণের আগে পাঁচবার প্রদক্ষিণ করে, এবং পঞ্চম প্রদক্ষিণ সম্পূর্ণ করার পরে ল্যান্ডার থেকে প্রপালশান মডিউল পৃথক হয়ে যায়।[12]
চন্দ্রযান-৩ ২০২৩ সালের ২৩শে আগস্ট চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে সফলভাবে অবতরণ করে। অভিযানের মাধ্যমে পূর্বসূরী ইউএসএসআর, নাসা ও সিএনএসএ-এর পরে ইসরো চাঁদে সুরক্ষিত অবতরণে সক্ষম চতুর্থ মহাকাশ সংস্থায় পরিণত হয়।[13]