চাকমা
বাংলাদেশের একটি প্রধান ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী / From Wikipedia, the free encyclopedia
চাকমা বা চাঙমা (𑄌𑄋𑄴𑄟𑄳𑄦) বাংলাদেশের একটি ক্ষুদ্র-নৃগোষ্ঠী। চাকমারা নিজেদের মধ্যে আলোচনার সময় চাঙমা শব্দই ব্যবহার করে থাকে। চাকমারা মঙ্গোলীয় জাতির একটি শাখা। বর্তমান মিয়ানমারের আরাকানে বসবাসকারী ডাইংনেট জাতিগোষ্ঠীকে চাকমাদের একটি শাখা হিসেবে গণ্য করা হয়। এরা অধিকাংশ এবং প্রধানত থেরবাদ বৌদ্ধ ধর্মের অনুসারী। বুদ্ধ পূর্ণিমা ছাড়া তাদের অন্যতম প্রধান আনন্দ উৎসব হচ্ছে বিজু । চাকমা নারীরা বেইন নামক তাঁতে কাপড় তৈরি করে থাকেন। চাকমাদের ঐতিহ্যবাহী বস্ত্রের নাম পিনোন হাদি, যা বিভিন্ন নকশা ও সুতার মিশ্রণে বোনা হয়ে থাকে। পোশাকের নিচের অংশকে পিনোন, যা কোমর থেকে গোড়ালি পর্যন্ত এবং ওপরের অংশকে হাদি বলা হয়। পিনোনের সঙ্গে চিবুকি নামক সুন্দর নকশাযুক্ত আচল থাকে।
![]() | এই নিবন্ধে একাধিক সমস্যা রয়েছে। অনুগ্রহ করে নিবন্ধটির মান উন্নয়ন করুন অথবা আলাপ পাতায় বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করুন।
|
𑄌𑄋𑄴𑄟𑄳𑄦 | |
---|---|
![]() একজন চাকমা নারী | |
মোট জনসংখ্যা | |
~১০ লক্ষ (প্রায়)[1][2][3] | |
উল্লেখযোগ্য জনসংখ্যার অঞ্চল | |
বেশিরভাগ বাংলাদেশ[4], ভারত[5] এবং মিয়ানমারে বসবাস করে | |
ভাষা | |
চাঙমা বা চাকমা | |
ধর্ম | |
থেরবাদ বৌদ্ধ |
বাংলাদেশের রাঙ্গামাটি ও খাগড়াছড়িতে এদের সংখ্যা বেশি। তবে বান্দরবানেও কিছু সংখ্যক চাকমাদের উপস্থিতি রয়েছে। চাকমা জনগোষ্ঠীর কিছু অংশ বর্তমান ভারতের উত্তর-পূর্বাংশে তথা ত্রিপুরা, অরুণাচল ও মিজোরাম রাজ্যে বসবাস করছে। এছাড়া চাকমাদের বড় একটি অংশ অভিবাসন নিয়ে বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, চীন, কোরিয়া, অস্ট্রেলিয়া ও জাপানসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অবস্থান করছে। এদের প্রধান জীবিকা কৃষি কাজ। পার্বত্য চট্টগ্রামের সমতল অংশে স্বাভাবিক সেচ পদ্ধতিতে মৌসুমী কৃষি কাজ, এবং পাহাড়ি অঞ্চলে জুম চাষের মাধ্যমে চাকমা জনগোষ্ঠী বিভিন্ন খাদ্যশস্য ও রবিশস্য উৎপাদন করে থাকে।
চাকমাদের ভাষার নামও আচিক। চাকমাদের নিজস্ব বর্ণমালা রয়েছে। চাকমারা ৪৬টি গোজা ও বিভিন্ন গুত্তি বা গোষ্ঠীতে বিভক্ত। ২০২২ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী বাংলদেশে চাকমাদের সংখ্যা ৪ লাখ ৮৩ হাজার ২৯৯ জন।[6] চাকমারা পূর্বে মহাযানী বৌদ্ধ ধর্ম চর্চার পাশাপাশি কিছু কিছু হরি ধর্মও চর্চা করত পরবর্তীতে সবাই থেরবাদী বৌদ্ধ ধর্ম গ্রহণ করে।